রাজধানীতে ছাদ থেকে নিচে পড়ে নারীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন

পরের সংবাদ

ফেসবুক লাইভে অস্ত্রাগার : চাকরি হারালেন পুলিশ সুপার

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বহিরাগতদের অস্ত্রাগার দেখানো ও সেখান থেকে তাদের ফেসবুকে লাইভ করার সুযোগ দেয়ায় শাহেদ ফেরদৌস রানা নামের এক পুলিশ সুপারকে (এসপি) চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। গত ৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। গত বুধবার এটি প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিন বহিরাগতকে অস্ত্রাগার পরিদর্শন করানো, অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুক লাইভ করার সুযোগ দিয়েছিলেন খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার শাহেদ ফেরদৌস রানা। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) গোলাম মোস্তফা, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ আনিসুর রহমান, এসআই (নিরস্ত্র) নুর-এ-সরোয়ার রিপন, এসআই (সশস্ত্র)-১২১২৬ আবু সাঈদ মো. ওবাইদুর রহমান এবং এসআই (সশস্ত্র) মানিক খান। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নজরে এলে ২০২২ সালের ২৭ জুলাই ফেরদৌস রানার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর পুলিশের এ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাব ও ব্যক্তিগত শুনানিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের পর্যাপ্ত ভিত্তি রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গত বছরের ১৯ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদন্ত শেষে গত ২৩ মে তার বিরুদ্ধে আনীত অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, গত ২০ জুলাই দ্বিতীয় দফায় কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাব দেন শাহেদ ফেরদৌস রানা। তবে এবারো তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ খণ্ডনের মতো কোনো যুক্তি উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন তিনি। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় উপস্থাপিত ভিডিওটি সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়। ২৪ আগস্ট সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের পাঠানো প্রতিবেদনে উপস্থাপিত ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়নি বলে মতামত দেয়া হয়। অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ড হিসেবে শাহেদ ফেরদৌস রানাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তীতে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হয়।
এরপর গত ১ জানুয়ারি সরকারি কর্ম কমিশন বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়ার দণ্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেয়। এরপর তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়