রাজধানীতে ছাদ থেকে নিচে পড়ে নারীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন

পরের সংবাদ

পল্লবীতে পাভেল হত্যা : তিন জেলা থেকে গ্রেপ্তার আরো তিনজন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর পল্লবী থানার স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকায় চাঞ্চল্যকর রিহান ইসলাম ওরফে পাভেল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন- রায়হান বাবু, সোহেল ওরফে তোতা মামা ও বাচ্চু ওরফে কাজল বাচ্চু। গত বুধবার টাঙ্গাইল, বরগুনা ও বরিশাল মহানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পল্লবী থানা পুলিশ। এ নিয়ে মোট গ্রেপ্তার হলো আটজন। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাজমুল ও হানিফ নামে আরো দুজনকে খুঁজছে ডিবি পুলিশ।
ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মাদক সেবনের জন্য তাজমুল নামে আরেক সহযোগীর মাধ্যমে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে গত ১৪ এপ্রিল বিকালে রাজধানীর বাড্ডার পাঁচতালা বাজার এলাকার বাসা থেকে মোটরসাইকেলে করে পাভেলকে ডেকে নেয়া হয় পল্লবীতে। পল্লবী থানার ১২ নম্বর সেক্টরের স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকার টেকেরবাড়ি নামক স্থানে গণপূর্তের পুকুরের উত্তরপাড়ে মাদক সেবন করেন পাভেল। এর মধ্যে সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থলে বাসযোগে আসেন মূল পরিকল্পনাকারী হাবিবসহ আরো কয়েকজন। সবাই একসঙ্গে পাভেলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। চাকু ও ছুরি দিয়ে পেট ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৪৫টি আঘাত করা হয়। এরপর তাকে গণপূর্তের পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় সবাই। স্থানীয়দের দেয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে পাভেলের মরদেহ উদ্ধারের পর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পল্লবী থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর গত ১৫ এপ্রিল তার মা পারুল বেগম বাদী হয়ে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- মো. হাবিব, মো. হানিফ, মো. আনিছ, রায়হান নানু, মো. মিলন ও মো. জনি। বাকি ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, পূর্বশত্রæতা, চাঁদাবাজি ও মাদকের জের ধরে হত্যার শিকার পাভেল। ভুক্তভোগী ও মূল অভিযুক্ত বন্ধু হলেও তাদের মধ্যে শত্রæতা ছিল। তিনি বলেন, রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় গ্রুপিং নিয়ে পাভেল ও হাবিবের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। সে সময় পাভেল হাবিবের হাতে কোপ দিয়েছিল। ওই ঘটনায় ২০২৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় মামলাও হয়। পাভেল জেল খাটলেও হাবিব শত্রæতা ভুলে যায়নি।
ডিবি প্রধান আরো বলেন, জেল থেকে বের হলেও হাবিব পাভেলকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে। তাজমুল মোটরসাইকেলযোগে পাভেলকে পল্লবীতে নিয়ে যায়। হাবিবের দুই ভাই হানিফ ও আনিছসহ কয়েকজন মিলে পাভেলকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত তিনজনকে ডিবি মিরপুর বিভাগ বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি থানা পুলিশও আগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছিল।
ডিবি মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদ হাসান জানান, পাভেল হত্যায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা সম্ভব হলেও পাভেলকে তুলে নিয়ে আসা তাজমুল ও হাবিবের আরেক ভাই হানিফ এখনো পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়