গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা : অর্থ আত্মসাৎ

আগের সংবাদ

মন্ত্রী-এমপির হস্তক্ষেপে লাগাম

পরের সংবাদ

ডিএসসিসি মেয়র তাপস : জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জ হবে নান্দনিক উদ্যান

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর পান্থকুঞ্জকে আগামী জুলাইয়ের আগে নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করার কথা জানালেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল বুধবার সকালে কারওয়ান বাজার মোড়ে অবস্থিত পান্থকুঞ্জ পার্কে পান্থপথ বক্স কালভার্টের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, পান্থকুঞ্জ এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যান। ২০১৭ সালে মেগা প্রকল্পের আওতায় এর উন্নয়ন শুরু হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কারণে এদিক দিয়েই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নেয়ার একটি উদ্যোগ নেয়া হয়। ফলে পার্কের উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর তাদের (কর্তৃপক্ষের) সঙ্গে আলোচনা করেছি, দেনদরবার করেছি। ফলে তারা সুনির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করবে। বাকি জায়গা আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। সেই জায়গায় আমরা কাজ শুরু করেছি। বর্তমানে এটার অবকাঠামো উন্নয়ন চলছে।
মেয়র তাপস বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে একটি নান্দনিক উদ্যান উপহার দিতে চাই। যদিও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের কারণে উদ্যানের বড় একটা অংশ তাদের কাছে চলে যাবে। তারপরও যতটুকু রক্ষা করতে পেরেছি, তা ঢাকাবাসীর জন্য অচিরেই উন্মুক্ত করে দিতে পারব। পার্কের উন্নয়ন কাজ চলছে। জুলাইয়ের আগে পান্থকুঞ্জকে একটি নান্দনিক উদ্যানে পরিণত করা হবে।
নিউমার্কেট এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, গত বছর কয়েকটি জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়েছে, বিশেষ করে নিউমার্কেটের সামনে ও শান্তিনগরে। যেসব কারণে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমরা সেগুলো পরিষ্কার করেছি। আশা করি, এবার আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।
নিউমার্কেট এলাকার জন্য নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পিলখানার ভেতর দিয়ে আগে যে পানিপ্রবাহের নর্দমা ছিল, তা ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এ জন্য গত বছর সেখানে বড় ধরনের জলাবদ্ধতা হয়।
আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি ও সম্মতি পেয়েছি। আমরা পিলখানার ভেতর দিয়ে পানিপ্রবাহের বড় নর্দমা করছি। এটা করতে পারলে ওই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা থাকবে না।
পরে সায়েদাবাদ টার্মিনাল সংলগ্ন সায়েদাবাদ সুপার মার্কেট, গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র পাঠাগার ও ওয়ারীর তাজউদ্দীন স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শন করেন ডিএসসিসি মেয়র। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, অঞ্চল-১ এর নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের, নির্বাহী প্রকৌশলী সফিউল্লাহ সিদ্দিক ভূঁইয়া, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়