বেড়ানোর বাহানায় ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার দুই

আগের সংবাদ

মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

পরের সংবাদ

স্থায়ী জামিন পেলেন না ড. ইউনূস

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি আদালত। তবে ওই মামলায় তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন।
এর আগে সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপর বেলা ১১টায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হন ড. ইউনূস। এ সময় বাকি তিন আসামি গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে আদালত স্থায়ী জামিন নামঞ্জুর করে আগামী ২৩ মে মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ পর্যন্তÍ ড. ইউনূসসহ ৪ আসামির জামিনের মেয়াদ বাড়ান।
পরে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, এক মাসের জামিন দেয়া আইনের বরখেলাপ। নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। টার্গেট করে এমনটা করছে সরকার। অপরদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের দাবি, ড. ইউনূসকে কোনো হয়রানি করা হচ্ছে না। তাকে আইনের মধ্যেই থাকতে হবে। আইন লঙ্ঘন করেছেন বলেই বিচার হচ্ছে।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন দেন একই আদালত। পরে গত ৩ মার্চ এই মামলায় তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ান আদালত। সেদিনই পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়।
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেয়া হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়