বেড়ানোর বাহানায় ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার দুই

আগের সংবাদ

মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

পরের সংবাদ

গাফিলতিতে ডুবেছিল রজনীগন্ধা ১১ স্টাফ সাময়িক বরখাস্ত : ফেরি ডুবির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে স্টাফদের গাফিলতি ও অবহেলার কারণে ফেরি রজনীগন্ধা ডুবেছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ১১ জনকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে।
ফেরির প্রায় সব স্টাফকে শাস্তির আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ।
তিনি জানান, বিআইডব্লিউটিসির ওয়েবসাইট থেকে রজনীগন্ধা ফেরির স্টাফদের বরখাস্তের কপি সংগ্রহ করা হয়। তাদের গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বরখাস্ত করা হয়েছে। ৩ মার্চ বরখাস্তের আদেশ বিআইডব্লিউটিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
সাময়িক বরখাস্তকৃতরা হলেন- ফেরির সেকেন্ড মাস্টার মো. আঞ্জুমান, ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার মেহের আলী, লস্কর মো. মুরাদ, মানিক রায়, আরিফুর রহমান, মনির আহমেদ, গ্রিজার মামুন সিকদার, এনায়েত হোসেন, মাছুম শিকদার ও হুইল সুকানী সবুজ মিয়া। এছাড়াও এজিএম (মেরিন) মো. আহম্মেদ আলীসহ কয়েকজনকে শোকজ করা হয়েছে।
সংস্থার চিফ পার্সনাল ম্যানেজার মো. ফজলে রাব্বি স্বাক্ষরিত বরখাস্তের ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্ত কমিটি সার্বিক বিষয়টি তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ইনচার্জ মাস্টারের বিধি লঙ্ঘন এবং অন্যান্য কর্তব্যরত স্টাফদের চরম গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে ফেরিটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। তাই কর্মচারী চাকরি প্রবিধানমালা-১৯৮৯-এর ৪৬(১) ধারা মোতাবেক চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, রজনীগন্ধা ফেরির বাবুর্চি, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ দুর্ঘটনায় সময় ফেরিতে উপস্থিত ছিলেন না এমন ৪ জন ছাড়া বাকি সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
গত ১৭ জানুয়ারি মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ৫ নম্বর ঘাটের কাছে পদ্মা নদীতে ৯টি যানবাহন নিয়ে ডুবে যায় ‘রজনীগন্ধা’ নামে ইউটিলিটি ফেরি। এতে প্রাণ হারান ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিন চালক হুমায়ুন কবীর। ৮ দিনের মাথায় ফেরিটি উদ্ধার করে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’। উদ্ধারের পর ফেরিটি মেরামতের জন্য নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে।
প্রথমদিকে বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে গেছে। কিন্তু স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, কোনো কিছুর সঙ্গে আঘাত ছাড়াই ফেরিটি নোঙর করা অবস্থায় আস্তে আস্তে ডুবে যায়।
এ ঘটনায় বিআইডব্লিউটিসি ও মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়