বেড়ানোর বাহানায় ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার দুই

আগের সংবাদ

মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ

পরের সংবাদ

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার প্রভাব পড়বে না আমদানি পণ্যে : মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনায় আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন- রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ, লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলা, ইসরায়েলে ইরানের হামলা এসব আন্তর্জাতিক ঘটনা হলেও এতে জ্বালানির দাম বেড়ে যায়। ফলে পরিবহন খরচ বাড়ে, প্রভাব পড়ে নানা পণ্যে। আমদানি-রপ্তানিতে তৈরি হয় সংকট। তবে এসব ব্যাপার মাথায় রাখছি। আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম যেন না বাড়ে সে লক্ষ্যে বিকল্পভাবে পণ্য আমদানি ও সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখার চেষ্টা করছি।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অন্যতম প্রধান কাজ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। এর সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি, দ্বিপক্ষীয় পলিসি নিয়ে কাজ করছি। ট্যারিফ পলিসি নিয়ে কাজ চলছে, আমদানি-রপ্তানি নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে। অফিসিয়ালি লঞ্চ (আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু) করব।
ভোজ্যতেলের দাম আগের দামে ফিরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, তেলে ৫ শতাংশ ডিউটি কমিয়েছিলাম, এতে ভোক্তা পর্যায়ে ১০ টাকা কমেছিল তেলের দাম। সেই ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। ট্যারিফ কমিশন এটা নিয়ে কাজ করছে – মিলাররা কী দামে তেলের কাঁচামাল আনছেন তার দাম কেমন পড়ছে ইত্যাদি বিষয়ে। তবে তেলের দাম পূর্বের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই এটা বলতে পারি।
তেলের দাম বাড়াতে গত সোমবার বাণিজ্য সচিবকে চিঠি দেন মিল মালিকরা। সেখানে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিঠির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
অনুষ্ঠানে ট্রেড করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্য বিক্রি ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে স্থায়ী দোকান তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, টিসিবি সাধারণত একত্রে ৪-৫টি পণ্য সরবরাহ করে। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যে একটি পণ্য পৌঁছাতে দেরি হলে ডিসিরা বাকি পণ্যগুলো আটকে রাখেন সব পণ্য একত্রে দেবেন বলে। কিন্তু যখন ফিক্সড দোকান থাকবে তখন সেখান থেকেই পণ্য বিক্রি শুরু হবে।
তিনি বলেন, জরুরিভাবে পণ্য সরবরাহ ও সেবা নিশ্চিত করতে টিসিবির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। পরে এটাকে একটা কাঠামোতে আনতে আমরা কাজ করছি। আমাদের নিজস্ব কোনো গুদাম ছিল না। যে কোনো পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখতে সেটার বাফার স্টক থাকা দরকার। বাফার স্টকের জন্য আমাদের গুদাম দরকার। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে ৪০ হাজার স্কয়ার ফিটের একটি নতুন গুদাম করা হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গুদাম তৈরির কাজ চলছে। চেষ্টা করব যাতে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে বাফার স্টক তৈরি করতে পারি।
মূলত তিনটি কারণে প্রায়ই টিসিবি পণ্য সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে উল্লেখ করে আহসানুল ইসলাম বলেন, বাফার স্টক না থাকায় পণ্য কিনেই বিক্রি করতে হচ্ছে। দ্বিতীয়- সংরক্ষণের জন্য স্টোরেজ নেই এবং ডিলারেরও ১৫ দিন বা এক মাস পণ্য রাখার মতো নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা নেই। এসব কারণে টিসিবির পণ্য সরবরাহে ৭ বা ১০ দিন আগ-পিছ হচ্ছে।
তিনি আরো জানান- টিসিবির পণ্য হতদরিদ্র মানুষের জন্য না। কারণ ৬০০ থেকে এক হাজার টাকার পণ্য ক্রয় করার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই এমন মানুষদের সম্পৃক্ত করব যাতে নি¤œ, মধ্যবিত্ত ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ কিছুটা হলেও উপকৃত হয়। ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গরুর মাংস আমদানি-রপ্তানির কোনো সিদ্ধান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নেবে না। এটি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে নেয়া হবে। এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, কথা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়