মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ২০

আগের সংবাদ

ভোগান্তি মেনেই ঘরে ফেরা : ঈদযাত্রা

পরের সংবাদ

‘ছবিটি দেখলে অনুদানের কাজ সম্পর্কে ধারণা বদলাবে’

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অভিনেতা আজম খান মূলত একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। কিন্তু অভিনয়ের প্রতি তীব্র ভালোলাগা থেকে বড় ও ছোট পর্দায় নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা ‘দেয়ালের দেশ’। ঈদের কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কথা বলেছেন রাশেদ রায়হান

‘দেয়ালের দেশ’ সিনেমায় কীভাবে যুক্ত হলেন?
এটি সরকারি অনুদানের ছবি। ছবিটির নির্মাতা মিশুক মনি। আমি তার সঙ্গে নাটকে কাজ করেছিলাম। তিনিই আমাকে ফোন করে কাজটি করার প্রস্তাব দেন। আগেও তার টিমে কাজ করে ভালো লেগেছে। সেই জায়গা থেকেই যুক্ত হওয়া।

সিনেমায় আপনার অভিনীত চরিত্র সম্পর্কে জানতে চাই…
গল্পে একটি মেডিকেল কলেজের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব দেখা যাবে। আমি সেই কলেজের প্রিন্সিপালের চরিত্রটি করেছি। সিনেমাটিতে আমি যে দৃশ্যগুলো করেছি সেখানে আমার সহশিল্পী ছিলেন আজিজুল হাকিম ও সমাপ্তি মাসুক।

সাধারণত অনুদানের সিনেমা নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ কম থাকে, সেক্ষেত্রে এটি কেমন প্রভাব ফেলবে?
ছবিটি দর্শক দেখলে অনুদানের কাজ সম্পর্কে ধারণা বদলাবে। কারণ এটি অন্যরকম ভালোবাসার ছবি। আমরা ইতোমধ্যে মিট দ্য প্রিস করেছি, ফার্স্ট লুক ও টিজার প্রকাশ করেছি। দর্শকদের ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। আমাদের টিমওয়ার্কটা খুবই ভালো এবং আমরা সিনেমাটি রিলিজ হওয়া পর্যন্ত এটা বজায় রাখছি। কাজের ব্যাপারে এখানে সবাই খুব আন্তরিক। আমি এর আগেও সরকারি অনুদানের বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছি। এর মধ্যে এই ছবিকে আমার আলাদা মনে হয়েছে।

আর কোন কোন সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে?
দেয়ালের দেশ ছাড়াও আমার অভিনীত বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কবরী সারোয়ারের ‘এই দিন সেই দিন’, আবু সাঈদের ‘সংযোগ’, শহীদুর রহমানের ‘নন্দিনি’ ও অনিরুদ্ধ রাসেলের ‘জামদানি’। এগুলোর মধ্যে ‘সংযোগ’ আর ‘জামদানি’ সরকারি অনুদানে বাইরের ছবি। আর ‘সংযোগ’ গণঅর্থায়নে নির্মিত। আশা করছি ছবিগুলো এ বছরের মধ্যে মুক্তি পাবে।

‘সংযোগ’ নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই…
আবু সাঈদ ভাই আমাকে ‘সংযোগ’ সিনেমার গল্পটা শুনিয়েছিলেন। গল্প শুনে আমার ভালো লেগেছে। এতে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে জনগোষ্ঠী কীভাবে উপকৃত হতে পারে ও একই সঙ্গে এর অপব্যাহারে কী হতে সে বিষয়ে বার্তা আছে। সিনেমায় আমার কাজগুলো ছিল অভিনেতা সজলের সঙ্গে। এছাড়া বারী ভাই আছেন। সবাই মিলে আমরা ভালোভাবেই কাজ করেছি। আর গণঅর্থায়নের ব্যাপারে আমার নিজেরও অতটা জানা ছিল না। এই ছবিতে পরিচালক যত টাকা পেয়েছেন এবং রিলিজ হওয়ার পর যে অর্থ পাওয়া যাবে তা দিয়ে তিনি আরেকটি সিনেমা নির্মাণ করবেন। পরিচালকের এই জায়গাটা আমার ভালো লেগেছে।

মনের মতো চরিত্র সব সময় পাচ্ছেন?
আমার অভিনয়ের বয়স ৯ বছর। প্রায় সব মাধ্যমেই কাজ করেছি। অনেক ধরনের চরিত্র করেছি। তবে পরিচালকরা সব সময় আমাকে বাবার চরিত্রে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। নব্বই দশক থেকে শুরু এখন পর্যন্ত যারা ভালো করেছেন এমন নায়ক-নায়িকার বাবা হয়েছি। এটা সত্যিই অনেক ভালো লাগার। তবে মনের মতো বলতে আত্মতৃপ্তি পাব এমন চরিত্র এখনো পাইনি।

যদি পেছনে ফিরে যেতে পারতেন তাহলে ক্যারিয়ার হিসেব কী বেছে নিতেন?
একেবারে ছোটবেলা থেকেই শোবিজের প্রতি আগ্রহ ছিল। কিন্তু তখন আসলে সাহস হয়নি। চাকরির দিকে ঝুঁকতে হয়েছে। এখন মনে হয়, যদি অনেক আগে অভিনয়ে আসতাম তাহলে অনেক অবদান রাখতে পারতাম। এখন যদি তরুণ থাকতাম তাহলে অভিনয়কে ক্যারিয়ার হিসেবে নেয়াই যেত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়