ডায়েট ভুলে জমিয়ে খান নুসরাত

আগের সংবাদ

অভিযানে কোণঠাসা কেএনএফ

পরের সংবাদ

হাওরাঞ্চলে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ থেকে : হাওর বেষ্টিত ভাটির জনপদ ও পর্যটন জেলা খ্যাত সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের ছোট বড় হাটবাজারগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। তবে এ বছর হাওরাঞ্চলের মানুষ ঈদ উৎসবে একটু বেকায়দায় পড়েছে। একদিকে যেমন হাওরের ফসল কাটা শুরু হয়নি। অন্যদিকে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড় সীমান্ত এলাকায় ৩৬০ আওলিয়ার অন্যতম সফর সঙ্গী হজরত শাহ্ আরেফিনের (র.) ওরস মোবারক ও রাজারগাও অদ্বৈত আখড়াবাড়িসংলগ্ন সীমান্ত নদী যাদুকাটায় ৭১৯ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী সনাতন ধর্ম্বাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ পুণ্যতীর্থ বারুণী স্নান গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে একই সঙ্গে তিন দিনব্যাপী ওরস মোবারক, পুণ্যতীর্থ স্নান, বালুচরে বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন হাঠবাজার ও শহরের বিপণিবিতানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ বাজারে পুরুষের চেয়ে নারী ক্রেতার সমাগম বেশি। সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হচ্ছে, মেয়েদের ড্রেস, বাচ্চাদের কাপড়, জুতা ও কসমেটিক্স। পরিবারের বড়দের জন্য কোনো কেনাকাটা না করলেও ছেলেমেয়ে ও বাচ্চাদের জন্য কাপড়, জুতা ও কসমেটিক্স কেনাকাটা করতে হচ্ছে অনেকটা বাধ্য হয়েই।
এদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দোকান ও মার্কেটগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। এই ভিড় প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত থাকছে। জামালগঞ্জ, দিরাই, শাল্লা, মধ্যনগর, তাহিরপুর ও জগন্নাথপুর উপজেলাসহ সবকটি উপজেলার হাটবাজারগুলোতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। এসব উপজেলার হাটবাজার ও বিপণিবিতানগুলোতে কাপড়, জুতা ও কসমেটিক্সের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। অন্যদিকে ফুটপাতের মৌসুমি ও ভ্রাম্যমাণ দোকানেও নি¤œবিত্ত মানুষদের আনাগোনা আছে।
সরজমিন বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। অনেকে পরিবার নিয়ে এসেছেন। অনেকে অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে আগেভাগেই সেরে নিচ্ছেন ঈদের কেনাকাটা। পছন্দের পণ্যটি নিয়ে খুশি মনে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার পোশাকের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি। অন্যদিকে রমজানের এই সময়ে ক্রেতাদের এমন সমাগম দেখে ঈদে ভালো বিক্রির আশা করছেন বিক্রেতারা। ঈদকে ঘিরে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে আলিয়াকাট ও নায়রা এবং ছেলেদের পোশাকের মধ্যে সিকুয়েন্স ও সুলতান পাঞ্জাবি এবার বেশি সাড়া ফেলেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ধর্মপাশা উপজেলার সবচেয়ে বড় তৈরি পোশাকের দোকান মালিক বিপ্লব সরকার বলেন, এবার ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে নানা ডিজাইনের পোশাক তুলেছি। ১৫ রমজানের পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। আশা করি এবার বিক্রি ভালো হবে। শান্তিগঞ্জ উপজেলার মা ফ্যামনের স্বত্বাধীকারী মালিক সুষেন তালুকদার পিন্টু সরকার বলেন, এবার রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই মোটামুটি ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি সামনে যে কয়েকদিন রয়েছে আরও ভালো বেচাকেনা হবে।
তাহিরপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় ব্যবসা কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারের দিগন্ত মেঘা শপের স্বত্বাধীকারী মো. খোকন মিয়া ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পলক হাসান বলেন, এবারের ঈদ বাজারে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে আলিয়াকাট ও নায়রা এবং ছেলেদের পোশাকের মধ্যে সিকুয়েন্স ও সুলতান পাঞ্জাবি এবার সাড়া ফেলেছে বেশি। সুনামগঞ্জ শহরের দোজা মার্কেটের শাওন ফ্যাশনের স্বত্বাধীকারী শাওন আহমেদ বলেন, এবারের ঈদে মেয়ে ও বাচ্চাদের ড্রেসই বিক্রি হচ্ছে বেশি। বড়দের শাড়ি কিংবা পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে খুবই কম।
পরিবারসহ কেনাকাটা করতে এসেছেন শিক্ষক আক্তার হোসেন তিনি বলেন, পরিবারের ছোট-বড় সবার জন্য কেনাকাটা করেছি। গত বছরের তুলনায় দাম অনেকটাই হাতের নাগালের বাইরে থাকায় পছন্দের জিনিস কিনতে অনেকটা হিমশিম খেতে হয়েছে। বাজেটের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ লেগেছে। জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ্ জানান, শহর থেকে শুরু করে প্রতিটি উপজেলা এমনকি বড় বড় হাটবাজারগুলোতে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা যেন নির্বিঘেœ বেচাকেনা করতে পারেন এবং চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে সাদা পোশাকে পুলিশের গোয়েন্দা সদস্য এবং ট্রাফিক জ্যাম এড়াতে ট্রাফিক পুলিশসহ দিবা-রাত্রি ঈদ মার্কেটে দুই শিফটে ৪ শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়