সাবের হোসেন চৌধুরী : বনের জমি দখলে সরকারি প্রতিষ্ঠানকেও ছাড় নয়, বন কর্মকর্তার খুনিদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে

আগের সংবাদ

সর্বাত্মক অভিযানে যৌথবাহিনী

পরের সংবাদ

এখনো প্রধান আকর্ষণ উপন্যাস : সংবাদপত্রের ঈদসংখ্যা ১৯৭২-২০২৩

প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈদসংখ্যা সংবাদপত্রের সারা বছরের সবচাইতে বড় আয়োজন। ক্রেতাদের কাছে পণ্যের বা প্রতিষ্ঠানের খবর পৌঁছে দেয়ার জন্য বিজ্ঞাপনদাতারাও এ সংখ্যাটিকে গুরুত্ব দেন। ঈদসংখ্যা প্রকাশের সময়টি তাদের কাছে আকর্ষণীয় কারণ মুনাফা অর্জনের একটি বড় সুযোগ ঈদ উৎসব। ঈদসংখ্যার বিজ্ঞাপন খাতে একটা বড় বাজেট রাখে ছোট বড় প্রায় সব ব্যবসা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। শাড়ি, সালওয়ার-কামিজ, শিশুদের পোশাক এবং পুরুষের পাঞ্জাবি ঈদের বাজারের প্রধান পণ্য। প্রসাধন সামগ্রীর বাজারও বেশ বিস্তৃত। পাশাপাশি গৃহসামগ্রী বিশেষ করে ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচার দ্রব্যও এখন ঈদের বাজারের পণ্যে পরিণত হয়েছে বিক্রেতাদের মার্কেটিং কৌশলের প্রেক্ষিতে।
স্বাধীনতার পর প্রথম ঈদসংখ্যা আসে ১৯৭২ সালে বছরের শেষ দিকে। স্বাধীন বাংলাদেশে ৮ ী ১১ ইঞ্চি সাইজের ঈদসংখ্যা ওটাই প্রথম। সেন্টার-স্টিচ্ করা ১১২ পৃষ্ঠার হলুদ-নীল-কমলা রঙের প্রচ্ছদের এই সংখ্যার দাম ছিল ১.৫০ টাকা। ঐ বছরের মে মাসে বিচিত্রা নতুন করে সাপ্তাহিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। স্বাধীনতার আগে এটি ছিল মাসিক রম্য ম্যাগাজিন। এ সময়ের সাপ্তাহিক পত্রিকার মধ্যে সচিত্র সন্ধানী ছিল সংস্কৃতি ঘেঁষা, স্বাধীনতার কয়েক বছর পর প্রকাশিত দুটি সাপ্তাহিকের মধ্যে রোববার অনেকটা সাহিত্য নির্ভর আর পূর্ণিমা সাহিত্য ও রাজনীতি কেন্দ্রিক নিবন্ধ নির্ভর ছিল। বিচিত্রা প্রথম দিকে রম্য ধাঁচের হলেও নির্ভরতা ছিল সংবাদের ওপর। ক্রমে পত্রিকাটি নিউজ ম্যাগাজিনে রূপ নেয়। একইসঙ্গে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতির সমকালীন ঘটনাগুলোকে বিশেষ আঙ্গিকে উপস্থাপন করে। পত্রিকাটি সাংবাদিকতায় একটি উল্লেখযোগ্য ধারা তৈরি করে। ১৯৮০-র দশকে যায় যায় দিন তৈরি করে আরেকটি নতুন ধারা। পত্রিকাটি ক্যালেন্ডার সাংবাদিকতার চাইতে নিজস্ব সিদ্ধান্তের আলোকে ঘন ঘন নানান বিষয়ে পৃষ্ঠা সংখ্যা বাড়িয়েছে বিশেষ সংখ্যার আবরণে। দৈনিক পত্রিকাগুলো ডবল ডিমাই (২৩/৩৬ কাটার পর পাশে ১৮/লম্বায়২৩ বা ১৬/২২) সাইজের পূর্ণ পৃষ্ঠাতেই ঈদসংখ্যা প্রকাশ করেছে দীর্ঘদিন। এখন দৈনিক পত্রিকার সাইজ একটু ভিন্ন, পাশে দুই ইঞ্চি কমে গেছে। (পাশে ১৪ ইঞ্চি লম্বায় ২২ ইঞ্চি) ম্যাগাজিন সাইজে তাদের ঈদসংখ্যা প্রকাশ একবিংশ শতাব্দর শক্তিশালী প্রক্রিয়া বলা যায়। এখন বড় ছোট প্রায় সব দৈনিক পত্রিকাই ম্যাগাজিন সাইজে ঈদসংখ্যা প্রকাশ করে।
ঈদসংখ্যা সাধারণত ভরিয়ে তোলা হয় উপন্যাস, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, ভ্রমণ, ব্যক্তিগত রচনা, স্মৃতিকথা, গবেষণা নিবন্ধ ইত্যাদির মাধ্যমে। তবে মূল আকর্ষণ উপন্যাস। পত্রিকাগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে কে কয়টি উপন্যাস দিতে পারল। জনপ্রিয় লেখকদের নিয়েও বেশ টানাটানি চলে। সত্তরের দশকজুড়ে ছিল এই প্রতিযোগিতা। পরবর্তি সময়ে এটিই হয়ে ওঠে সর্বজনীন ধারা। এখনো চলছে সেটি। বর্তমানেও উপন্যাস নিয়েই চলে বেশ টানাটানি। পত্রিকার সংখ্যা বাড়লেও কথাসাহিত্যিকের সংখ্যা সে তুলনায় এখনো কম। তাছাড়া সর্বজনপ্রিয়-লেখকের সংখ্যা আরো কম। আবার লেখকরাও বেশি সার্কুলেশন আছে এমন পত্রিকার দিকে নজর দেন। তাই সব মিলিয়ে পত্রিকাগুলো ঈদসংখ্যার জন্য সংকটেই পড়ে বিশেষ করে উপন্যাসের ক্ষেত্রে। অবশ্য নতুন শতক শুরু হওয়ার কয়েক বছর আগে থেকে সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আসে। নানা ধরনের বিষয় নিয়ে প্রকাশিত লেখার সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে উপন্যাসের কদর কমে না। অবশ্য ঈদ নিয়ে বিশেষ কোনো লেখা নিয়মিত থাকে না। ঈদ প্রসঙ্গে ধর্মীয় আঙ্গিকের লেখা থাকে কোনো কোনো পত্রিকায়।
১৯৭২ সালের ৯ নভেম্বর ১ম বর্ষ ২৫ সংখ্যা হিসেবে প্রকাশিত বিচিত্রা ঈদসংখ্যায় সূচিপত্র অনুসারে উপন্যাস ছিল একটি-সর্বনাশ চতুর্দিকে বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, বড় গল্প অবশেষে দ্বৈরথ শওকত আলী, গল্প চারটি, অনুবাদ গল্প একটি, কবিতা ১৮টি, প্রবন্ধ ও আলোচনা সাতটি, যুদ্ধের স্মৃতি একটি, ফিচার সাতটি (অর্ধ পৃষ্ঠার একটি লেখাও ফিচার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে পৃ. ১০৫, অর্ধ পৃষ্ঠার পাইথনের বন্ধু এবং জঘন্য এক হত্যাকারী জোসেফ মেঙ্গেল শিরোনামের দুটি লেখা সূচিতে উল্লেখ করা হয়নি পৃ. ১০৩, ১০৫)।
হাইনরিখ ব্যোল (মূল জার্মান থেকে অনুবাদ শিহাবুদ্দিন আহমেদ সূচিতে বানান আর লেখার সঙ্গে ছাপানো বানানে [শেহাবউদ্দীন আহমদ] পার্থক্য দ্রষ্টব্য। আবার গল্পের অনুবাদে ও প্রবন্ধে ১৯৭২ সালে নোবেল বিজয়ী লেখকের নামের বানানেও পার্থক্য রয়েছে, অনুবাদ গল্পে (‘কোথাও না কোথাও যেতে হবে’ পৃ. ৫৬) বানান হাইনরিখ ব্যোল আর প্রবন্ধে বানান হেইনরিশ ব্যোল (পৃ. ৫৪)।
১৯৮০ সালের বিচিত্রা ঈদসংখ্যার সূচিটি লক্ষ করা যাক: কবিতা আছে ২৫টি। উপন্যাস চারটি। প্রবন্ধ দুটি।
ব্যক্তিগত রচনা একটি। গল্প একটি। নিবন্ধ তিনটি। স্মৃতিচারণ দুটি। কার্টুন একটি সিরিজি।
১৯৯৭ সালে বিচিত্রার শেষ ঈদসংখ্যায় ছিল ৬টি উপন্যাস, ৩টি গল্প, ২টি প্রবন্ধ, ১টি জীবনী, ২টি স্মৃতিকথা, ২৮টি কবিতা, কার্টুন একটি সিরিজ।
একই বছর (১৯৯৭) পাক্ষিক অন্যদিন ঈদ ও প্রথম বর্ষপূর্তি সংখ্যা একসাথে প্রকাশিত হয়। এখানে উপন্যাস ৮টি, গল্প ১০টি, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ৫টি, আবার একাধিক নিবন্ধ রাখা হয়েছে অন্য শিরোনামে যেমন চিত্রকলা-দেশ বিদেশ, ঈদ ফ্যাশন, ঈদের রান্না, খাওয়া দাওয়া, স্বাস্থ্য ইত্যাদি। আরো রয়েছে স্মৃতিকথা, রম্য রচনা, অডিও, বলিউড, একই বিষয় দুই শিরোনামে এসেছে সাক্ষাৎকার ও মুখোমুখি।
স্মৃতিকথা প্রায় স্থায়ী বিষয় হয়ে যায় ঈদসংখ্যায়। ছয়টি স্মৃতিকথা পাওয়া যায় বিচিত্রা ঈদসংখ্যা ‘৯২তে- এরা হলেন জোহরা তাজউদ্দিন, যোবায়দা মীর্জা, আসমা আব্বাসী, আশরাফ-উজ-জামান, রকিবুল হাসান, রাজ্জাক। অন্যান্য পত্রিকায়-ও স্মৃতিকথা আসে নিয়মিত। এছাড়া অপ্রকাশিত লেখা প্রকাশের একটি ধারাও লক্ষ করা যায়। এ ক্ষেত্রে বিশিষ্ট লেখক ও খ্যাতিমান ব্যক্তিদের গল্প-উপন্যাস-কবিতা-দিনলিপি-চিঠি উল্লেখযোগ্য। লেখাগুলোকে নানা উপশিরোনাম বা বিভাগীয় নামের আওতায় নিয়ে এসে পাঠকের চোখে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করেন পত্রিকা কর্তৃপক্ষ। যেমন বিশেষ রচনা, বিজ্ঞান, ভ্রমণ, ঈদের রান্না, ফ্যান্টাসি (অন্যদিন ২০০৩); চিঠি, রহস্য উপন্যাস, উন্নয়ন, রাজনীতি, গণহত্যা, তথ্যমাধ্যম, প্রেম, ঢাকা (প্রথম আলো ২০১৫)। আর বিভাগ হিসেবে শিল্পকলা, চিত্রকলা, খেলা, চলচ্চিত্র, ফ্যাশন, ইত্যাদি।
সূচি উপস্থাপনার ক্ষেত্রে বিচিত্রা এক বা দুই পূর্ণ পৃষ্ঠা আকারে প্রকাশ করেছে। পরবর্তী পর্যায়ে অনেকেই সূচি প্রকাশে কলকাতার ‘দেশ’ পত্রিকা অনুসরণে অর্ধ পৃষ্ঠা বিজ্ঞাপন আর অর্ধপৃষ্ঠা সূচি দিয়ে পাঁচ-ছয় পৃষ্ঠা পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। (প্রথম আলো ২০১৫/সমকাল ২০১৫)। কলকাতার লেখকদের লেখা পাওয়া যায় মাঝে মাঝে-বিশেষ করে উপন্যাস। বিচিত্রায় ১৯৮০ সালে মহাশ্বেতা দেবী-র উপন্যাস চোট্টি মুন্ডা ও তার তীর ছাপানো হয়েছিল বিশেষ কারণে, উপন্যাসটি কলকাতার কোথাও প্রকাশ করা যাচ্ছিল না রাজনৈতিক পরিস্থিতির ঘনঘটার জন্য। এটি শাহরিয়ার কবিরকে দিয়েছিলেন লেখক সম্ভব হলে বাংলাদেশে প্রকাশের জন্য।
২০০৪ সালে ঈদসংখ্যা ম্যাগাজিন প্রকাশের পর ব্রডশিটে ডবল ডিমাই সাইজে বাড়তি ঈদসংখ্যা পাওয়া গেছে। প্রথম আলোর আট পৃষ্ঠার এই বাড়তি ঈদসংখ্যায় পাঁচটি গল্প, দুটি নিবন্ধ, একটি সাক্ষাৎকার, দুই কবির একটি কথোপকথন (নির্মলেন্দু গুণ-অ্যালেন গিন্সবার্গ ), চিত্রকলা, বিদেশি উপন্যাসের আংশিক অনুবাদ এবং কবিতা। লেখার ওপরে কোনো পরিচিতিমূলক শিরোনাম নেই। আসলে ম্যাগাজিনে স্থান সংকুলান না হওয়া লেখাগুলো নিয়ে হয়তো এমন আয়োজন। চূড়ান্ত মন্তব্য করা বেশ কঠিন। এর পেছনে আরো কিছু কারণ থাকতে পারে। হয়তো কোনো লেখা নির্ধারিত সময়ে পাওয়া যায়নি। কিংবা লেখার ধরন বা গুরুত্ব বুঝে লেখাটি ম্যাগাজিনে প্রকাশ করা হলো না, ইত্যাদি ইত্যাদি। সাপ্তাহিক বিচিত্রা-ও ঈদসংখ্যার বাড়তি লেখা নিয়ে কয়েকবার প্রকাশ করেছে ঈদ-উত্তর বিশেষ সংখ্যা। নতুন শতকের কয়েক বছরের মধ্যেই ঈদসংখ্যা ম্যাগাজিন রমজান মাস শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই প্রকাশ করার চেষ্টা করেন কর্তৃপক্ষ। ফলে ঈদের ছুটির আগেই অনেকের ঈদসংখ্যা পড়া হয়ে যায় অনেকটাই। এসব কথা ভেবেই ঈদের কয়েকদিন আগে কেউ কেউ ব্রডশিটে আট পৃষ্ঠার আরেকটি ঈদসংখ্যা প্রকাশ করে। এই রেওয়াজ এখনো চলছে।
২০০৮ সালে ঈদসংখ্যা ম্যাগাজিন প্রকাশের পরে ডবল ডিমাই সাইজে প্রকাশিত সমকাল বিশেষ ঈদসংখ্যায় পাওয়া গেল গল্প পাঁচটি, নিবন্ধ তিনটি, রম্য রচনা একটি, দিনলিপি একটি, কবিতা একগুচ্ছ এবং ঈদের সাজ ও ঈদের বিশেষ খাবার নিয়ে ফিচার।
ঈদসংখ্যার লেখক তালিকা
গত ৫০ বছরের ঈদসংখ্যার লেখক তালিকায় চোখ রাখলে দেখি বাস্তব কারণেই অনেকেই ক্রমশ অনুপস্থিত আর যুক্ত হয়েছেন নতুন নতুন কবি-ঔপন্যাসিক-প্রবন্ধকার। অনেকেই বিদায় নিয়েছেন পৃথিবী থেকে। সাপ্তাহিক বিচিত্রা-র ১৯৭২ সালের ঈদসংখ্যার লেখক : আহসান হাবিব, শওকত ওসমান, সানাউল হক, হাসান হাফিজুর রহমান, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, শওকত আলী, হাসান আজিজুল হক, আলাউদ্দিন আল আজাদ, মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ, ফজল শাহাবুদ্দীন, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, আবদুল মান্নান সৈয়দ, রফিক আজাদ, আবু কায়সার, আবুল হাসান, অরুণাভ সরকার, শাহনূর খান, শেখ আবদুর রহমান, লে. কর্নেল এম আবু তাহের এখন আমাদের মাঝে নেই। পরবর্তী বছরগুলোর সূচির দিকে তাকালে আমরা অনেক নতুন লেখকের সন্ধান পাই। কয়েক বছরের বিষয়ভিত্তিক লেখকের তালিকায় আমরা তা দেখতে পাই।

ঈদসংখ্যা ২০২২ সালের লেখক (অন্যদিন, ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, প্রথম আলো, ভোরের কাগজ, যুগান্তর, সমকাল)
গত বছরের ঈদসংখ্যাগুলো দেখলে আমরা প্রবীণ খ্যাতিমান লেখকদের পাশাপাশি নবীন জনপ্রিয় অনেক লেখকের উপস্থিতি দেখে অনেকটাই আনন্দিত হই। এখানে সাতটি ঈদসংখ্যার বিষয়ভিত্তিক লেখকদের নাম উল্লেখ করছি।

অন্যদিন ঈদ ২০২২
উপন্যাস হাসনাত আবদুল হাই, সেলিনা হোসেন, ইমদাদুল হক মিলন, সিদ্ধার্থ হক, সাদাত হোসাইন/অগ্রন্থিত অসম্পূর্ণ উপন্যাস মীর মোশাররফ হোসেন/কিশোর উপন্যাস ফরিদুর রেজা সাগর
কবিতা মোহাম্মদ রফিক, মুহম্মদ নূরুল হুদা, আবিদ আনোয়ার, ফারুক মাহমুদ, হাসান হাফিজ, নাসির আহমেদ, কামাল চৌধুরী, মোহাম্মদ সাদিক, ইকবাল আজিজ, শাহাবুদ্দীন নাগরী, জাহিদ হায়দার, আশরাফ আহমদ, আসাদ মান্নান, তুষার দাশ, ফরিদ কবির, সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, আরিফ মঈনুদ্দীন, মুজতবা আহমেদ মুরশেদ, মারুফ রায়হান, মারুফুল ইসলাম, তারিক সুজাত, শিহাব শাহরিয়ার, আব্দুল মান্নান শিকদার, মুস্তাফিজ শফি, মতিন রায়হান, মুজিব ইরম, খালেদা বেগম ফ্যান্সি, নিরমিন শিমেল, পিয়াস মজিদ, রাসেল রায়হান, হিজল জোবায়ের/দীর্ঘ কবিতা মাসরুর আরেফিন
অগ্রন্থিত প্রবন্ধ আনিসুজ্জামান/প্রবন্ধ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, ফারুক মঈনউদ্দীন
বড় গল্প সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, মোমিন রহমান/গল্প হরিশংকর জলদাস, মোহিত কামাল, নাসরিন জাহান, শাহনাজ মুন্নী, মোস্তফা কামাল, সুমন্ত আসলাম, সামস আহমেদ, আফসানা বেগম, শহীদ হোসেন খোকন, লুৎফন্নাহার পিকি, ফরহাদ হোসেন, ইসরাত তানিয়া/কিশোর গল্প আমীরুল ইসলাম/ অনুবাদ গল্প হুয়ান হোসে আবরিওলা অনুবাদ আনিসুজ জামান/অনুগল্প-অনুচিত্র ধ্রæব এষ/রহস্য গল্প ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়
বিশেষ রচনা ইমানুল হক/ মঞ্চ আতাউর রহমান/ ভ্রমণ মঈনুস সুলতান, রাজু আলাউদ্দিন/ জীবন ভাবনা মোহাম্মদ আলমগীর আলম/ চলচ্চিত্র বিধান রিবেরু/ ঈদ রান্না মৌরি মরিয়ম

ইত্তেফাক ঈদ ২০২২
প্রবন্ধ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, আনু মুহাম্মদ, অনুপম সেন, মযহারুল ইসলাম বাবলা, আহমাদ মাযহার, আহমেদ আব্বাস, আহমদ রফিক, ইসরাইল খান/ নিবন্ধ আয়েশা বেগম, ঝর্না রহমান, স্মৃতি চক্রবর্তী, মফিদুল হক, সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, জয়দুল হোসেন/ লোকধর্ম রঞ্জনা বিশ্বাস/ সংলাপ-কাব্য ফারুক মাহমুদ।
কবিতা নির্মলেন্দু গুণ, মোফাজ্জল করিম, জাহিদুল হক, কামাল চৌধুরী, মলয় রায়চৌধুরী, সুবোধ সরকার, আসাদ মান্নান, বিমল গুহ, মিনার মনসুর, সোহরাব হাসান, মাকিদ হায়দার, সানজিদা আখতার, রোকেয়া খাতুন রুবী, কালীকৃষ্ণ গুহ, শামস আল মমিন, শামীম আজাদ, নাসির আহমেদ, হাসান হাফিজ, সোহরাব পাশা, জাহিদ হায়দার, খালেদ হোসাইন, মজনু শাহ, রেজাউদ্দিন স্টালিন, সাজ্জাদ আরেফিন, সূচি সৈয়দ, মারুফ রায়হান, বীথি চট্টোপাধ্যায়, সাবেরা তাবাসসুম, সাকিরা পারভীন, মুস্তাফিজ শফি, সৈকত হাবিব, ওবায়েদ আকাশ, চৌধুরী ফেরদৌস, সৌম্য সালেক, টোকন ঠাকুর, আলতাফ শাহনেওয়াজ, সাজ্জাদ হোসেন, পিয়াস মজিদ প্রমুখ (ইত্তেফাকে কবিতা আছে ৭২টি। সূচিতে নাম আছে ৩৮ জন কবির। ৩৪ জন রয়েছেন প্রমুখ হিসেবে। কবিতগুলো ছড়ানো ছিটানো বিভিন্ন পৃষ্ঠায়। মোট ১৯ পৃষ্ঠার মধ্যে এক পৃষ্ঠা করে ছয় পৃষ্ঠা, দুই পৃষ্ঠা পাশাপাশি, তিন পৃষ্ঠা পাশাপাশি দুই জায়গায় এবং পাঁচ পৃষ্ঠা একসঙ্গে পাশাপাশি। মনে হতে পারে কবিতা ছাপানো হয়েছে সংবাদপত্রের ভাষায় ‘ফিলার’ হিসেবে!)
কালের কণ্ঠ ঈদ ২০২২
উপন্যাস ইমদাদুল হক মিলন, হরিশংকর জলদাস, আন্দালিব রাশদী, সিজার বাগচী/ অপ্রকাশিত রহস্য উপন্যাস শেখ আবদুল হাকিম/ অতিপ্রাকৃত গল্প ধ্রæব এষ
সাক্ষাৎকার খালিকুজ্জামান ইলিয়াস গ্রহণে আলম খোরশেদ/ প্রবন্ধ আহমদ রফিক, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল কাসেম ফজলুল হক/ ইতিহাস এ কে এম শাহনেওয়াজ/ মুক্তিযুদ্ধ মুহাম্মদ লুৎফুল হক, সালেক খোকন
গল্প সেলিনা হোসেন, আনিসুল হক, সিরাজউদ্দিন আহমেদ, ফারুক মঈনউদ্দীন, নাসরিন জাহান, জিয়া হাশান, শাহনাজ মুন্নী, আফসানা বেগম, অদিতি ফাল্গুনী, স্বকৃত নোমান, মোজাফ্ফর হোসেন/ নিসর্গ মোকারম হোসেন/ ভ্রমণ মঈনুস সুলতান/ অনুবাদ রুদ্র আরিফ/ ক্রীড়া সাইদুজ্জামান
কবিতা নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহা, ময়ুখ চৌধুরী, মাকিদ হায়দার, কামাল চৌধুরী, নাসির আহমেদ, শিহাব সরকার, জাহিদ হায়দার, হাসান হাফিজ, আসাদ মান্নান, সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, রেজাউদ্দিন স্টালিন, খালেদ হোসাইন, জুয়েল মাজহার, সরকার মাসুদ, কামাল মাহমুদ, শিহাব শাহরিয়ার, কুমার চক্রবর্তী, শামীম রেজা, আলফ্রেড খোকন, শাহেদ কায়েস, কামরুল আলম সিদ্দিকী, মৌলিনাথ গোস্বামী, ঝিলম ত্রিবেদী, মণিকা চক্রবর্তী, পিয়াস মজিদ, শিমুল সালাহ্উদ্দিন, আলতাফ শাহনেওয়াজ
রেসিপি উম্মাহ মোস্তফা/ সাজ ফারহানা রুমি/ মেহেদি ফারাহ বিলকিস

প্রথম আলো ঈদ ২০২২
আত্মজীবনী কামরুল হাসান/ স্মৃতিকথা মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন/ দুর্লভ রচনা আব্দুর রাজ্জাক
উপন্যাস সৈয়দ শামসুল হক, শাহীন আখতার, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, আসিফ নজরুল, আনিসুল হক, মাসরুর আরেফিন, রায়হান রাইন
গল্প আনোয়ারা সৈয়দ হক, রেজাউর রহমান, মশিউল আলম, সুমন্ত আসলাম, বিপম চাকমা, মোশাহিদা সুলতানা ঋতু, আলভী আহমেদ, উম্মে ফারহানা
সাক্ষাৎকার আকবর আলী খান নিয়েছেন মতিউর রহমান/ মুক্তিযুদ্ধ মুহাম্মদ লুৎফুল হক/ অনুসন্ধান সালেহীন আরশাদী/ ভ্রমণ মঈনুস সুলতান/ বাইজি-কাহিনী শামীম আমিনুর রহমান/ চলচ্চিত্র ওয়াল্টার লাসালি অনুবাদ জামিল বিন সিদ্দিক/ সাহিত্য রাইনহার্ট হেভিকে অনুবাদ আব্দুল্লাহ আল-ফারুক/ তারকা আজমেরী হক বাঁধন/ খেলা উৎপল শুভ্র/ রেসিপি উহান সিদ্দিক
কবিতা মোহাম্মদ রফিক, মহাদেব সাহা, আলতাফ হোসেন, রুবী রহমান, ফারুক মাহমুদ, হাসান হাফিজ, সোহরাব হাসান, জাহিদ হায়দার, মাসুদ খান, সাজ্জাদ শরিফ, তারিক সুজাত, কামরুজ্জামান কামু, টোকন ঠাকুর, মজনু শাহ, আলফ্রেড খোকন, শেলী নাজ, বদরে মুনীর, তারিক ইমাম, আলতাফ শাহনেওয়াজ, পিয়াস মজিদ, হিজল জোবায়ের, হাসান রোবায়েত, রাসেল রায়হান

ভোরের কাগজ ঈদ ২০২২
রাজনীতি আহমদ রফিক/ শিল্পসাহিত্য সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী/ প্রবন্ধ হারুন হাবিব, চন্দ্রশিলা ছন্দা/ বঙ্গবন্ধু ড. আতিউর রহমান, এ কে এম এ হামিদ
উপন্যাস মৃণাল বসুচৌধুরী, আন্দালিব রাশদী, সুজন বড়–য়া, আবসার হাবিব, মজিদ মাহমুদ/রহস্য উপন্যাস অমিত গোস্বামী/কিশোর উপন্যাস কুমার প্রীতিশ বল
নাটক ফরিদ আহমদ দুলাল/ বড় গল্প হরিশংকর জলদাস, মোস্তফা কামাল, রেজাউল করিম খোকন, স. ম. শামসুল আলম, লুনা রাহনুমা
কবিতা মুহম্মদ নূরুল হুদা, মোহাম্মদ রফিক, আনোয়ারা সৈয়দ হক, রবীন্দ্র গোপ, মাকিদ হায়দার, মাহমুদ কামাল, ফারুক মাহমুদ, সোহরাব পাশা, দুলাল সরকার, সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, হাসানাত লোকমান, এজাজ ইউসুফী, আইউব সৈয়দ, আবু মুসা চৌধুরী, রেজাউদ্দিন স্টালিন, গোলাম কিবরিয়া পিনু, নজমুল হেলাল, শাহাজাদা বসুনিয়া, রুকসানা রহমান, জিললুর রহমান, কামরুল বাহার আরিফ, ক্যামেলিয়া আহমেদ, রমজান মাহমুদ, মোহাম্মদ হোসাইন, নেহাল হাফিজ, মানিক বৈরাগী, অমিতাভ দাশ হিমুন, মুজাহিদ আহমদ, ইফতেখার হালিম, শাহানারা ঝরণা, আহসানুল হক, মোহাম্মদ ইকবাল, সোহেল মল্লিক, তানিয়া হাসান, ভাগ্যধন বড়–য়া, মামুন মুস্তাফা, ফারহানা হক, পিয়াস মজিদ, বঙ্গ রাখাল, রিক্তা রিচি, দ্বিতু শুভ্রা, তাহমিনা শিল্পী, আনিকা নাওয়ার, শাহীন চৌধুরী ডলি, সুব্রত চৌধুরী, রমজান বিন মোজাম্মেল, ইশরাত জাহান ঝুম, বীথি রহমান, কয়েছ আহমদ বকুল, নমিতা সরকার, কামরুন নাহার, বাবুল তালুকদার, অনিকেত রাজেশ, গাজী আবু হানিফ, মুকুল রায়, খান মুহাম্মদ রুমেল, রওশন রুবী, সাজ্জাদুর রহমান, এইচ বি রিতা, শামসুন্নাহার চৌধুরী লোপা, আফরোজা ফেরদৌস ঝুমুর, সাদিয়া নাজিব, মারুফ শরীফ, অরনী চৌধুরী, শারমিন সুলতানা রীনা, বাপ্পি সাহা, আরিফা রহমান, জিনাত রশীদ, শাহিন শাজনীন, মৃধা আলাউদ্দিন, পারভীন শাহনাজ, কাব্য সুমী সরকার, স্বরুপা অশ্রæত, বিলু রিয়াজ, তাহমিনা সুলতানা, সাকিবুন্নাহার রীপা
গল্প শাহজাহান কিবরিয়া, রফিকুর রশীদ, শেলী সেনগুপ্তা, ধ্রæব এষ, নাহার ফরিদ খান, মাহবুব আলী, চন্দনকৃষ্ণ পাল, মিলা মাহফুজা, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, হাফিজ রহমান, ফারহানা সিনথিয়া, আহমেদ আব্বাস, শুভ্রা নীলাঞ্জনা, রেহানা বীথি, কাঞ্চন রানী দত্ত, হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, আলম সিদ্দিকী, রুদ্র শাহীন, মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ, শিবুকান্তি দাশ, মো. তানিম-উল-ইসলাম, ঝুমকি বসু, সৈয়দ নূরুল আলম, এমরান কবির, কঙ্কন সরকার
স্মৃতিকথন বিভুরঞ্জন সরকার, ওমর কায়সার/ সাহিত্য তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী/ ভ্রমণ অজয় দাশগুপ্ত, মাহফুজুর রহমান/রমেশ শীল ইউসুফ মুহম্মদ/রম্য ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ/বিজ্ঞান হাসান হাফিজ/ প্রিয়মুখ আমীরুল ইসলাম/ হুমায়ুন নাসের মাহমুদ/ মেলা রাশেদ রউফ/ নজরুল মো. ইমাম হোসাইন/ বন্ধন দিলারা হাফিজ/ সামাজিক উন্নয়ন মো. আরিফুর রহমান/ চলচ্চিত্র ইমদাদ হক, শ্যামল কান্তি ধর/ অন্নদা শংকর কাঞ্চনা চক্রবর্তী/ দেশভাগ মযহারুল ইসলাম বাবলা/ রবীন্দ্রনাথ মাহবুব পলাশ/ ভাষা ড. শ্যামল কান্তি দত্ত/ নারী লতিফা নিলুফার পাপড়ি/ স্থাপত্যশিল্প এস এম সাজ্জাদ হোসেন/ শওকত আলী ড. আবু নোমান/ সুরজিৎ আবু রাইহান

যুগান্তর ঈদ ২০২২
প্রবন্ধ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হাশেম খান, ড. আতিউর রহমান, মযহারুল ইসলাম বাবলা, সেলিম আকন্দ, খান মাহবুব, সুদীপ্ত সালাম
উপন্যাস সেলিনা হোসেন, ইমদাদুল হক মিলন, মোহিত কামাল, সিরাজউদ্দিন আহমেদ, হারুন আল রশিদ, দিলরুবা আহমেদ/ রম্য উপন্যাস মোকাম্মেল হোসেন
কবিতা (সূচিতে নাম নেই)/ কল্পবিজ্ঞান খন্দকার রেজাউল করিম/ স্মৃতিকথা মঞ্জু সরকার/ ভ্রমণ মঈনুস সুলতান, ড. আলমগীর হোসেন/ অনুবাদ গল্প ফারুক মইনুদ্দীন
গল্প অমর মিত্র, আন্দালিব রাশদী, আনিসুল হক, সুজন বড়–য়া, রফিকুর রশিদ, দিলারা মেসবাহ, নাসরীন নঈম, মোজাম্মেল হক নিয়োগী, মইনুল ইসলাম, মোস্তফা মামুন, হাইকেল হাশমী, রাজু আলাউদ্দিন, মনি হায়দার, মাহবুব মোর্শেদ, সাইফুর রহমান, আনোয়ারুল হক, তাহমিনা কোরাইশী, মাহবুবা হোসেইন, জয়ন্দ দে, শামসুদ্দিন তৌহিদ, জেহসান ইসলাম, দীলতাজ রহমান, সাঈদ আজাদ, ফারুক আহমেদ, আহমেদ বাসার, সুরাইয়া জাহান, মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, শিবলী কায়সার, মোরশেদুল জাহের, প্রিন্স আশরাফ, সফিকুল ইসলাম, রাজীব উল আহসান, ফরিদুল ইসলাম নির্জন, হাবিবুল্লাহ ফাহাদ
রম্য গল্প আহসান হাবীব/ রম্য রচনা রাজীব সরকার/ খেলা পারভেজ আলম চৌধুরী/ রেসিপি এটিএম আহমেদ হোসেন/ সাজ ফারিন সুমাইয়া/ফ্যাশন হিমেল চৌধুরী/বিনোদন সেলিম কামাল, খান ইউসুফ, হাসান সাইদুল

সমকাল ঈদ ২০২২
দুর্লভ আবুল আহসান চৌধুরী/ অপ্রকাশিত ফয়জুল লতিফ চৌধুরী,
উপন্যাস সেলিনা হোসেন, আফসান চৌধুরী, সুশান্ত মজুমদার, মঈনুল আহসান সাবের, ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, নাসরিন জাহান, ধ্রæব এষ, মাসরুর আরেফিন, শোয়াইব জিবরান, মোজাফ্ফর হোসেন/ অনুবাদ উপন্যাস নিকোস কাজানজাকিস অনুবাদ খালিকুজ্জামান ইলিয়াস
সবিশেষ হাসনাত আবদুল হাই/ সাক্ষাৎকার শহীদ কাদরী-নিয়েছেন বিনায়ক সেন/ নিবন্ধ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, পূরবী বসু, সলিমুল্লাহ খান, লুৎফর রহমান, কুমার চক্রবর্তী, সাইমন জাকারিয়া, মণিকা চক্রবর্তী, পাভেল পার্থ/ ঐতিহ্য শামীম আমিনুর রহমান/ নাটক আলফ্রেড খোকন
গল্প আবিদ আনেয়ার, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, শিহাব সরকার, রফিকুর রশীদ, ফারুক মঈনউদ্দীন, মোহিত কামাল, আবু সাঈদ জুবেরী, শাহীন আখতার, মুজতবা আহমেদ মুরশেদ, ফয়জুল ইসলাম, ইরাজ আহমেদ, ইমতিয়ার শামীম, মানস চৌধুরী, শাহনাজ মুন্নী, দ্বিতীয় সৈয়দ হক, সুমন্ত আসলাম, মাহবুব আজিজ, রুমা মোদক, আফসানা বেগম, স্বকৃত নোমান, ইশরাত তানিয়া, কিযী তাহ্নিন/ অনুবাদ গল্প গুলজার সিং সাধু-অনুবাদ আন্দালিব রাশদী, জাকারিয়া তামির-অনুবাদ রাফিক হারিরি
স্মৃতি ফরিদুর রেজা সাগর, টোকন ঠাকুর/ ভ্রমণ আবু সাঈদ খান, মঈনুস সুলতান, শাকুর মজিদ, লোপা মমতাজ/ মুক্তিযুদ্ধ সালেক খোকন/ নারী মাহবুবা নাসরিন
কবিতা আসাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ রফিক, নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহা, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মুহম্মদ নূরুল হুদা, মাহবুব সাদিক, মাকিদ হায়দার, জাহিদুল হক, নাসির আহমেদ, কামাল চৌধুরী, আসাদ মান্নান, বিমল গুহ, ফারুক মাহমুদ, সোহরাব হাসান, মিনার মাহমুদ, তুষার দাশ, আশরাফ আহমেদ, শামীম আজাদ, সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, মারুফুল ইসলাম, খালিদ হোসাইন, শিহাব শাহরিয়ার, তারিক সুজাত, রেজাউদ্দিন স্টালিন, মজিদ মাহমুদ, মারুফ রায়হান, সরকার মাসুদ, হাইকেল হাশমী, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, কামরুজ্জামান কামু, মুজিব ইরম, ওবায়েদ আকাশ, রাশেদ মেহেদী, তুষার কবির, মাসুদ পথিক, ফিরোজ এহতেশাম, ইমরান মাঝি, আহমদ জামান জাফরী, আফরোজা সোমা, দ্রাবিড় সৈকত, সেঁজুতি বড়–য়া, জ্যাকী কবির, ইকতিজা হাসান, ফরিদা ইয়াসমিন সুমী, পিয়াস মজিদ, মাহী ফ্লোরা, চাঁদনী মাহরুবা, রওশন আরা মুক্তা, নিজাম বিশ্বাস, মিছিল খোন্দকার, শতাব্দী জাহিদ, মাহফুজা অনন্যা, মাম্পী দত্ত
নদী শেখ রোকন/ শিল্পকলা সৈয়দ ইকবাল/ বিহঙ্গ ইনাম আল হক/ আয়োজন : শান্তিনিকেতন পাপিয়া সারোয়ার, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, অদিতি মোহসিন/ খেলা সেকান্দার আলী
একই বছরের (২০০৫) কয়েকটি ঈদসংখ্যার সূচিতে লেখার বিষয় ও তুলনামূলক সংখ্যার পর্যালোচনা কোন পত্রিকা কোন বিষয়ে কয়টি লেখা প্রকাশ করেছে তা এই পর্যালোচনা থেকে বুঝা যাবে। এ ক্ষেত্রে পত্রিকার সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিচয় পাওয়া যাবে। তবে বলতেই হবে সকলের ‘জোর’ উপন্যাসের দিকে। লক্ষ করলে বুঝা যাবে গত ৫০ বছর ধরেই উপন্যাস প্রকাশের একটা প্রচ্ছন্ন প্রতিযোগিতা চলে পত্রিকাগুলোর সম্পাদকদের মাঝে। পাঠক আকর্ষণের একটা বড় দিক উপন্যাস প্রকাশ। এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত দেশ পত্রিকার শারদীয় সংখ্যায় উপন্যাস একটি বড় স্থান দখল করে রাখে। সমাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য গবেষণা, প্রয়াত খ্যাতিমান লেখকদের অপ্রকাশিত রচনা, ভ্রমণকাহিনী, আত্মজীবনী, ইত্যাদি নিয়মিত দেখা যায় সূচিতে।
বিভাগ হিসেবে সাপ্তাহিক ২০০০ সবচেয়ে এগিয়ে ১৬টি। প্রথম আলো ১৩, সমকাল ১০ এবং আমার দেশ ৯টি। আত্মস্মৃতি-আত্মজীবনী-স্মৃতিকথা-ডায়েরি মূলত একই ধাঁচের বিষয়। আলাদা শিরোনাম হয়েছে সূচি-বৈচিত্র্য এনে পাঠক আকর্ষণের উদ্দেশ্যে। এক্ষেত্রে উল্লেখ করতে হয়ে সাপ্তাহিক ২০০০-য়ের কথা, এখানে আত্মজীবনী-ডায়েরি-স্মৃতিকথা তিনটি কাছাকাছি। আত্মজীবনীকে আলাদা করলেও ডায়েরি-স্মৃতিকথা একই বিভাগে আসতে পারে কারণ দুটোই স্মৃতিকথা একটিতে উপশিরোনাম হিসেবে তারিখ দেওয়া অন্যটিতে তারিখ নেই আলাদাভাবে।
এক্সক্লুসিভ বিষয়েও এগিয়ে সাপ্তাহিক ২০০০। অর্থাৎ এইসব বিষয়ে অন্যরা কেউ লেখা প্রকাশ করেনি। তাদের এক্সক্লুসিভ বিষয় ৪টি, সায়েন্স ফিকশন, শ্রদ্ধাঞ্জলি, স্মৃতিকথা, ডায়েরি; প্রথম আলো ৩টি, উপন্যাসিকা, বিশেষ রচনা, প্রকৃতি; সমকাল ২টি, কার্টুন, রম্য রচনা; আমার দেশ ১টি, অনুবাদ গল্প।
একক বিষয়ে উপন্যাসে এগিয়ে সাপ্তাহিক ২০০০, তাদের উপন্যাস ১১টি। এরপর আমার দেশ ১০টি। সমকাল ৯টি। প্রথম আলো ৮টি উপন্যাস ও ১টি উপন্যাসিকা।
একক বিষয়ে সমকাল এগিয়ে গল্পে-তাদের গল্প সংখ্যা ১৫। আমার দেশ ৯ (একটি অনুবাদ গল্প সহ), প্রথম আলো ৮। এ ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ২০০০ সবার পেছনে ৬টি।
পৃষ্ঠা সংখ্যায়ও এগিয়ে সাপ্তাহিক ২০০০, তাদের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৫৭৮, সমকাল ৫৬২, প্রথম আলো ৫২৮ আর আমার দেশ ৪০২। (স্মারণী ৭ দ্র.)
কালের কণ্ঠ-তে কবিতা ৮০ পৃষ্ঠায় শুরু হয়ে শেষ হয় ৮৯-য়ে। সব কবিতা পাশাপাশি পৃষ্ঠায় এবং রঙিন ডিজাইন/অলঙ্করণ/সচিত্রকরণ রয়েছে।
প্রথম আলোয় সূচিতে কবিতা সবার শেষে উল্লেখ করা হলেও মূল লেখা শুরু কবিতা দিয়ে। সব কবিতায় রঙিন স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে আলাদাভাবে। সব কবিতা পাশাপাশি পৃষ্ঠায় ৮-১৩। ঈদসংখ্যার সম্পাদক নিজে কবিতা লেখেন বলেই বোধহয় কবিদের প্রতি এই সম্মান।
যুগান্তর কবিদের নামই দেয়নি সূচিতে। তবে রঙিন ডিজাইনসহ কবিতাগুলো পাশাপাশি পৃষ্ঠায় প্রকাশ করা হয়েছে তিন পৃষ্ঠা বিজ্ঞাপনসহ পৃষ্ঠা ৩৮৯-৪১১।
এখানে আমি লেখার বিষয় ও সংখ্যা উল্লেখ করলাম শুধু। তাছাড়া এই লেখার উদ্দেশ্য বিশেষ সংখ্যার ধরন আলোচনা করে সংবাদপত্রের একটি বিশেষ দিক উন্মোচন করা। কোন কোন বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে সেটাই আমি খুঁজে দেখেছি। লেখকের মনোভাব দেখেছি, লেখার উৎকর্ষ অনুসন্ধান করিনি। এসব লেখা লেখকের কোনো গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হলে পত্রিকায় প্রকাশিত পুস্তক সমালোচনায় লেখার গুণগত মান সম্পর্কে জানা যায়।
ঈদসংখ্যায় প্রকাশিত লেখার অনেক লেখককে আমরা চিনি, তারা খ্যাতিমান। কয়েকজনকে আমরা চিনতে পারি না। এজন্যে এবং আরো অনেক পাঠকের কথা ভেবে সব লেখকের পরিচিতি দেয়া যায়। কবি, ঔপন্যাসিক ও গল্পকারদের চেনা যায় লেখার শিরোনামে, তারা কবি এবং কথাসাহিত্যিক। কিন্তু প্রবন্ধকারদের সকলকে কী চেনা সম্ভব? তাদের অন্তত পেশা উল্লেখ করা যায়। লেখার শেষে লেখকের, বা প্রকাশনার একেবারে শেষদিকে সকল লেখকের পরিচিতি দেয়া হলে পাঠকরা উপকৃত হবেন বলেই আমার মনে হয়।
১৯৭২ থেকেই ঈদসংখ্যা ম্যাগাজিন সাইজে প্রকাশ শুরু করে সাপ্তাহিক বিচিত্রা। তবে দৈনিক পত্রিকাগুলো সেটা করেছে নতুন শতকের দ্বিতীয় দশক থেকে। ২০০২ সালে মানব জমিন ও প্রথম আলো ম্যগাজিন সাইজে ঈদসংখ্যা প্রকাশ করে। দৈনিক পত্রিকার উদ্যোগে সেটাই সম্ভবত প্রথম ম্যাগাজিন সাইজে ঈদসংখ্যা।
একই বছরের (২০২২) কয়েকটি ঈদসংখ্যার সূচিতে লেখার বিষয় ও তুলনামূলক সংখ্যার পর্যালোচনা

সূচিতে নিরীক্ষা অথবা কৌশল
সূচিতে এখন পাঠক আকর্ষণের একটা প্রবণতা চোখে পড়ে। একই বিষয়কে নানা শিরোনাম দিয়ে সূচির আকার বাড়ানো হচ্ছে। সূচির শিরোনামে বৈচিত্র্য আনার এই প্রবণতা হতে পারে পাঠক আকৃষ্ট করার চেষ্টায় নতুন একটি কৌশল। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার নানা শিরোনামে এসেছে। ভোরের কাগজ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর শিল্প-সাহিত্যে মাক্র্সবাদ ও শ্রেণিবাস্তবতা শিরোনামের লেখাটি সূচিতে এবং ভেতরেও বলা হয়েছে ‘শিল্প-সাহিত্য’। বুঝা গেল বিষয় শিল্প-সাহিত্য কিন্তু লেখার শ্রেণিভেদে প্রবন্ধ হবে, না নিবন্ধ না ফিচার এটা স্পষ্ট করা হয়নি। আবার রাশেদ রউফ রচিত চট্টগ্রামে বইমেলা গুরুত্ব ও তাৎপর্য শিরোনামের লেখাটিকে সূচিতে এবং ভেতরে বলা হয়েছে মেলা। বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা আমরা অধিকাংশ সময় বিজ্ঞান শিরোনামে আনি প্রবন্ধ বা নিবন্ধ বা ফিচার হিসেবে উপস্থাপন করিনা। মেলা, শিল্প-সাহিত্য-সামাজিক উন্নয়ন সেভাবেই কী পরিচিত করার চেষ্টা? অথবা বিষয় বাড়ানোর প্রক্রিয়া? সূচিতে শিরোনাম নারী-ভেতরে বলা হচ্ছে গল্প। কিন্তু পড়ে মনে হলো এটি প্রবন্ধ। কেউ কেউ বলতে পারেন নিবন্ধ। ভেতরের এই পরিচিতি হয়তো ত্রæটি। নিবন্ধের পরিচিতিতো গল্প হয়না। ‘ইতিহাসবিদ সুরজিৎ দাশগুপ্তের যুক্তিবাদী ভূমিকা’ শীর্ষক লেখাটির পরিচিতি সূচি এবং ভেতরে ‘সুরজিৎ’ (ভোরের কাগজ), এটাও ঠিক বোধগম্য হলো না। ‘সুরজিৎ’ লেখার কোনো শ্রেণি বা ধরন তো হয় না। সুরজিৎ দাশগুপ্ত-কে লেখা খ্যাতিমান লেখকদের চিঠি নিয়ে রচনাটি ‘দুর্লভ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সমকাল-য়ে। ভোরের কাগজ-য়ে সুরজিৎ দাশগুপ্ত এসেছেন ইতিহাসবিদ (পৃ. ৪৭৫) হিসেবে। সমকাল তাকে কবি-কথাশিল্পী-প্রাবন্ধিক-শিশুসাহিত্যিক-সাময়িকপত্র সম্পাদক-চলচ্চিত্র নির্মাতা বললেও ইতিহাসবিদ বলেননি (পৃ. ৩০)। তার লেখা উপন্যাস, কবিতা ও প্রবন্ধের বইয়ের মাঝে কয়েকটি বই ইতিহাস নির্ভর যেমন ভারতবর্ষ ও ইসলাম, ভারতীয় মুসলমানদের সংকট। কলকাতা থেকে প্রকাশিত বইয়ের দেশ জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০১৯ সংখ্যায় সুরজিৎ দাশগুপ্তের সাক্ষাৎকারে চিন্ময় গুহ-র প্রথম প্রশ্ন ছিল ‘আধুনিক বাংলা সাহিত্যে আপনার অনন্যসাধারণ ভূমিকার কথা-যাকে সাহিত্যের শুশ্রƒষা বলব-কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। আপনার জন্ম কাশিপুরে, শৈশব জলপাইগুড়িতে। ছেলেবেলার কথা দিয়ে শুরু করুন।’
কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও অসাধারণ মিলিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক প্রন্থের প্রণেতা ‘সারা জীবন সাহিত্যের শুশ্রষায় ব্রতী’ সুরুজিৎ অনেকটাই অপরিচিত রয়ে গেছেন বৃহত্তর পাঠক সমাজের কাছে। বইয়ের দেশ পত্রিকার সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘মহাকালের ¯্রােতে ঢেউয়ের ধাক্কায় ভেসে গেছি।’
এই লেখক সূচিতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সকল কবির নাম নেই, প্রমুখ দিয়ে শেষ করা হয়েছে (ইত্তেফাক)। আবার সূচিতে কবিদের নাম ছাপানো হয়নি, ভেতরে ৭৩টি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে (যুগান্তর)।
গ্রাফের জন্য লেখার শ্রেণিভেদ করতে গিয়ে বেশ বে-কায়দায় পড়তে হলো। বিশেষ করে গল্প উপন্যাস বাদে অন্যান্য রচনা নিয়ে। কোনটা প্রবন্ধ-কোনটা নিবন্ধ-কোনটা ফিচার এই দ্ব›েদ্ব কেটেছে অনেকটা সময়। এটা হয়েছে বিশেষ করে ঈদসংখ্যাগুলোর সূচিতে শিরোনাম দেখে। প্রবন্ধ শিরোনামে কয়েকটি লেখা উল্লেখ করে আবার অনেক প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার এসেছে অন্য শিরোনামে। আত্মজীবনী কোন শ্রেণিতে পড়বে? বা ভ্রমণ? মুক্তিযুদ্ধের কৌশল পর্যালোচনা করলে কী বলা হবে?
শিল্পকলা লেখাটি (সমকাল ঈদ ২০২২) আসলে স্মৃতিকথা। শিল্পকলার কোনো বিষয় আলোচনায় আসেনি। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা হলো, কিন্তু কথা হলো না-এই প্রসঙ্গ আর অন্যান্য স্মৃতি নিয়ে লেখাটি কেন এই শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত হলো বুঝলাম না। আমি এটিকে স্মৃতিকথা হিসেবেই দেখছি।
সূচিতে অপ্রকাশিত বিভাগ থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অপ্রকাশিত ডকিউমেন্ট দুর্লভ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রকাশিত হচ্ছে। সুরজিৎ দাশগুপ্তকে লেখা চিঠিগুলো সূচিতে অপ্রকাশিত শিরোনামেও যথার্থ হতো। তবে তিনি সম্প্রতি প্রয়াত বলেই হয়তো লেখক গবেষক আবুল আহসান চৌধুরী এটিকে দুর্লভ চিহ্নিত করেছেন।
অপ্রকাশিত চিঠি, উপন্যাস, গল্প, কবিতা অপ্রকাশিত শিরোনামে আলাদা আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হলে পাঠকরা একসাথেই পাবেন সব অপ্রকাশিত রচনা। সম্পাদকরা ভেবে দেখতে পারেন।
তুলনামূলক সংখ্যা
উপন্যাসে এগিয়ে সমকাল (একটি অনুবাদ উপন্যাসসহ ১১), এরপর ইত্তেফাক ১০, প্রথম আলো ৭, সবচেয়ে কম কালের কণ্ঠ ৪। গল্পে এগিয়ে যুগান্তর (একটি অনুবাদ গল্পসহ ৩৫), ইত্তেফাক (একটি অনুবাদ গল্পসহ ৩১), সবচেয়ে কম প্রথম আলো ৮। ভ্রমণকাহিনি এবং বিভিন্ন বিষয়ে ফিচার ছাপানো হয়েছে সবপত্রিকার ঈদসংখ্যায়। (স্মারণী ৮ক ও ৮খ দ্র.)
পত্রিকার প্রচ্ছদ, সাইজ, অলংকরণ, শব্দবিন্যাস
ঈদসংখ্যার প্রচ্ছদ পেইনটিং ও ফটোগ্রাফ নির্ভর। সব প্রচ্ছদই এখন এই ধারায় চলছে। ১৯৭২ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রা-র দুই রঙা (এফেক্ট তিন রঙ) প্রচ্ছদটি ফটো বা পেইন্টিং নয়। সাধারণ একটা ড্রয়িং। প্রচ্ছদের কোনো পরিচিতি নেই। যতদূর মনে পড়ে শাহাদাত চৌধুরী নিজেই এটি আঁকেন প্রচ্ছদের জন্য। শিল্পসম্পাদক কালাম মাহমুদ হলেও এক্ষেত্রে তিনি কোনো হস্তক্ষেপ করেননি কখনো। বিচিত্রা ঈদসংখ্যায় পরবর্তি পর্যায়ে প্রায় প্রত্যেকটি প্রচ্ছদে আমানুল হকের ‘আমার দেশ’ চিত্রমালা-র আলোকচিত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রায় সব পত্রিকার ঈদসংখ্যার সাইজ এখন পাশে সাড়ে ছয় ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্যে প্রায় দশ বা প্রায় সাড়ে দশ ইঞ্চি। কেবল অন্যদিন পাশে সাড়ে সাত ইঞ্চি। ভেতরের পৃষ্ঠার কাগজ বেশির ভাগ বিভিন্ন মানের নিউজপ্রিন্ট। তবে কালের কণ্ঠ ভেতরে ৭০ গ্রাম অফ-হোয়াইট প্রিন্ট কাগজ ব্যবহার করেছে। অন্যদিন ও ভোরের কাগজের ভেতরের কাগজও অফ-হোয়াইট প্রিন্ট। প্রচ্ছদে স্বাভাবিকভাবে সকলেই ব্যবহার করেছেন অফসেট পেপার। টাইপ ফেইস, ওয়র্ড স্পেইস, লাইন স্পেইস অনেক ক্ষেত্রে পাঠক-বান্ধব নয়। যুগান্তর ও ইত্তেফাকের অক্ষর এক পয়েন্ট বাড়ানো থাকলে সব বয়সী পাঠকের জন্য সুবিধে হতো। ছবি ও অলংকরণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে আকর্ষণীয়। অধিকাংশ প্রচ্ছদ করা হয়েছে পেইন্টিং অবলম্বনে। প্রচ্ছদ শিল্পীরা হলেন অন্যদিন শাহাবুদ্দিন আহমেদ-আলোকচিত্র বিশ্বজিৎ সরকার, ইত্তেফাক ও যুগান্তর ধ্রæব এষ, কালের কণ্ঠ মাহবুবুল হক, প্রথম আলো কামরুল হাসানের চিত্রকর্ম অবলম্বনে অশোক কর্মকার, ভোরের কাগজ পীযূষ দস্তিদার, সমকাল আনিসুজ্জামান সোহেল।
অংকন শিল্পীদের মধ্যে আছেন অন্যদিন: অলংকরণ রোকেয়া সুলতানা, মাসুক হেলাল, ধ্রæব এষ, মোমিন উদ্দিন খালেদ, অভিজিৎ চৌধুরী, রাজীব রায়, মোস্তাফিজ কারিগর, আশুতোষ দেবনাথ, রাজিব দত্ত, লক্ষণ চন্দ্র দেবনাথ; ইত্তেফাক: অলংকরণ সৈয়দ ইকবাল, আইনুল হক মুন্না, অভিজিৎ চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহযাদা, রজত, সোহেল আশরাফ, এম এ কুদ্দুস; কালের কণ্ঠ: অঙ্কন ধ্রæব এষ, নিয়াজ চৌধুরী তুলি, সব্যসাচী মিস্ত্রী, সারা টিউন, নাজমুল আলম মাসুম, মানব, শেখ আনোয়ার আমজাদ হোসেন, প্রসুন হালদার; প্রথম আলো: সচিত্রকরণ আবুল র্বাক আলভী, চন্দ্রশেখর দে, আবদুল মান্নান, আফজাল হোসেন, শেখ আফজাল, দিলারা বেগম জলি, আতিয়া ইসলাম এ্যানি, কনকচাঁপা চাকমা, অশোক কর্মকার, মাসুক হেলাল, পীযূষ দস্তিদার, গৌতম চক্রবর্তী, শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, আনিসুজ্জামান সোহেল, সব্যসাচী হাজরা, কামালুদ্দিন, রাজীব দত্ত, আরাফাত করিম, এস এম রাকিবুর রহমান; ভোরের কাগজ: কারো নাম নেই। যুগান্তর: সূচিতে কারো নাম নেই। পাতা উল্টিয়ে ভেতরে দেখা গেল চারটি উপন্যাসের অলঙ্করণ করেছেন কাওছার মাহমুদ, শতাব্দী জাহিদ ও মেহেদী হাসান। দুটি উপন্যাসের অলঙ্কারিকের নাম নেই। এছাড়া কাওছার মাহমুদ একাধিক গল্প ও লেখার অলঙ্করণ করেছেন; সমকাল: কারো নাম নেই।

মলাট প্রসঙ্গ
সব মলাটে ব্যবহৃত হয়েছে বিভিন্ন গ্রাম-য়ের অফসেট কাগজ। কারো প্রথম ও শেষ প্রচ্ছদ দুটোই ভাজ করা দুই পৃষ্ঠা (সমকাল), কারো প্রথম প্রচ্ছদ ভাজ করা দুই পৃষ্ঠা তবে শেষ মলাট এক পৃষ্ঠা (অন্যদিন, কালের কণ্ঠ, প্রথম আলো)। কারো প্রথম ও শেষ মলাট একপৃষ্ঠা (ভোরের কাগজ, ইত্তেফাক)। প্রথম মলাট দুই পৃষ্ঠা ভাজ করে দেয়া সম্ভবত আট দশকের শেষদিকে বিজ্ঞাপনদাতা ও বিজ্ঞাপন এজেন্সির ‘বুদ্ধি’। শেষ মলাটে জায়গা না পেয়ে তারা এই ফন্দি করে প্রথম মলাটে দুই পৃষ্ঠা বিজ্ঞাপন নিয়ে নিল। এটা দীর্ঘদিন চলার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পত্রিকার সংখ্যা বেড়ে গেলে শেষ মলাটেও একই কায়দা শুরু হয়। ভাজ করা প্রথম মলাট ও শেষ মলাট পাঠক বান্ধব নয়। কিন্তু পাঠকের চাইতেও পত্রিকার কাছে বিজ্ঞাপন আকর্ষণীয় হওয়ায় বিজ্ঞাপনদাতাদের ইচ্ছার কাছে হার মানতে বাধ্য হয় পত্রিকা কর্তৃপক্ষ। ভাজ করা মলাটের খোলা দিকটা অল্প সময়ের মধ্যে কোণা ভেঙে যায় বা পৃষ্ঠাটি বেঁকে যায়। ম্যাগাজিনের সৌন্দর্যহানি ঘটে। এবার যারা মলাট ও শেষ মলাট এক পৃষ্ঠা করেছেন তারা বিজ্ঞাপন না পাওয়ার জন্যে নাকি পাঠকের কথা ভেবে করেছেন ঠিক বলতে পারবো না। এ নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না।

দাম
দাম বেড়েছে কয়েক বছর পরপর। ১৯৭২ সালে বিচিত্রা ঈদসংখ্যার দাম ছিল এক টাকা পঞ্চাশ পয়সা। বেড়ে ১৯৮০ সালে হল পনেরো টাকা আর ১৯৯৭ সালে সর্বশেষ ঈদসংখ্যার দাম ছিল চল্লিশ টাকা। ২০২২ সালে ঈদসংখ্যার দাম ৩০০ টাকা (ভোরের কগেজ), ২৫০ টাকা (অন্যদিন) আর ২০০ টাকা (কালের কণ্ঠ, প্রথম আলো, যুগান্তর, সমকাল)। এই সময়ে কাগজের দাম বেড়েছে, ছাপানোর আনুষঙ্গিক খরচ বেড়েছে, কর্মীদের বেতন সম্মানী বেড়েছে। এই হিসেবে ৫০ বছরে ঈদসংখ্যার দাম বেড়েছে ১৯৮ টাকা ৫০ পয়সা। অন্যদিকে ভোরের কাগজের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪৮০ আর সাপ্তাহিক বিচিত্রার ঈদসংখ্যা ১৯৭২-য়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ১১৪। বেড়েছে ২৮৬।

ঈদসংখ্যার সম্পাদক
সময়ের বিবর্তনে এখন সম্পাদকের পাশাপাশি ঈদসংখ্যায় আলাদা করেই একজনের নাম প্রকাশ করা হয় প্রিন্টার্স লাইনে। তাঁকে ভিন্ন ভিন্ন পদে উল্লেখ করা হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘ঈদসংখ্যা সম্পাদক’ হিসেবে পাওয়া যায়। শুরুর দিকে সম্পাদকের নেতৃত্বে সাহিত্য সম্পাদক বা একজন সহকারী সম্পাদক কাজের বোঝা টানতেন। আলাদাভাবে তার নাম ছাপানো হয়নি। ২০০২ সালে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ঈদসংখ্যায় ম্যাগাজিন সম্পাদক ছিলেন আনজির লিটন আর সমন্বয়ক ছিলেন সাযযাদ কাদির, শহীদুল আজম ও মিলান ফারাবী। ২০০৫ সালে প্রথম আলো ঈদসংখ্যা সম্পাদক (সাজ্জাদ শরিফ) উল্লেখ করলেও সমকাল বা আমার দেশ সম্পাদক উল্লেখ না করে ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় (গোলাম ফারুক)/সস্পাদনা নির্বাহী (শহীদুল ইসলাম রিপন) এবং আমার দেশ সার্বিক তত্ত্বাবধানে (আতাহার খান, ফারুক মাহমুদ) ব্যবহার করেছে। ঈদসংখ্যায় দুজনের নাম ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় এবং সম্পাদনা নির্বাহী উল্লেখ করে এই দুই পদের আগে ঈদসংখ্যা উল্লেখ না থাকায় পাঠকরা বিভ্রান্তিতে পড়তে পারেন। সাপ্তাহিক বিচিত্রায় আলাদাভাবে কারো নাম সেভাবে ছাপানো হয়নি। নিয়মিত প্রিন্টার্স লাইন-ই প্রকাশ করা হতো। অধিকাংশ প্রিন্টার্স লাইনে এখন ঈদসংখ্যা সম্পাদক ব্যবহার করা হয়। ২০২২ সালের ওপরে উল্লেখিত সংখ্যায় দায়িত্বপ্রাপ্তরা এসেছেন এভাবে ইত্তেফাক ঈদসংখ্যা সম্পাদক তাপস কুমার দত্ত, কালের কণ্ঠ ঈদসংখ্যা সম্পাদক মাসুদ হাসান, প্রথম আলো ঈদসংখ্যা সম্পাদক সাজ্জাদ শরীফ, ভোরের কাগজ সংখ্যা সম্পাদক সালেক নাছির উদ্দিন, যুগান্তর ঈদসংখ্যা সম্পাদক জুননু রাইন, সমকাল ঈদসংখ্যা সম্পাদক মাহবুব আজীজ।

২০২৩ প্রবন্ধের পরিচিতিতে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা
অন্যান্য বছরের ধারাবাহিকতাই রক্ষা করা হয়েছে প্রায় সব পত্রিকার ঈদসংখ্যায়। সূচি-র উপস্থাপনায় সবার আগে উল্লেখ করা হয় উপন্যাস, দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া। উপন্যাসের সংখ্য ইত্তেফাক ৭, কালের কণ্ঠ ৫, নয়া দিগন্ত ৩, প্রথম আলো ৮, বাংলাদেশ প্রতিদিন ৪, ভোরের কাগজ ৬, যুগান্তর ৫, সমকাল ৮। খ্যাতিমান উপন্যাস লেখকদের মাঝে রয়েছেন ভোরের কাগজ -সেলিনা হোসেন, ইমদাদুল হক মিলন, আন্দালিব রাশদি, মোস্তফা কামাল; সমকাল -হাসনাত আবদুল হাই, আফসান চৌধুরী, সুশান্ত মজুমদার, মঈনুল আহসান সাবের, ধ্রæব এষ; প্রথম আলো -সৈয়দ শামসুল হক, শেখ আবদুল হাকিম, আসিফ নজরুল, আনিসুল হক, মাসরুর আরেফিন; যুগান্তর -হরিশংকর জলদাস, মনি হায়দার, ইত্তেফাক -নাসির আলী মামুন, মোহীত উল আলম, ধ্রæব এষ; বাংলাদেশ প্রতিদিন -আতাহার খান, ইমদাদুল হক মিলন, মোস্তফা কামাল, আন্দালিব রাশদী। এছাড়া বেশ কিছু তুলনামূলক নতুন নাম দেখা গেছে এবার, যেমন আহমেদ মুরশেদ, হামীম কামরুল হক, মাসউদ আহমাদ (ইত্তেফাক); সালমা বাণী, আফসানা বেগম, মইন শেখ (কালের কণ্ঠ); নিয়াজ মেহেদী, তানজিনা হোসেন, উম্মে ফারহানা (প্রথম আলো); আলী রেজা, রুদ্র শাহীন (ভোরের কাগজ); আকিমুন রহমান, আশান উজ জামান, কিমী তাহ্নিন (সমকাল)। উপন্যাসের প্রধান শ্রোতে না রেখে ‘কিশোর উপন্যাস’ আর ‘রহস্য উপন্যাস’ আলাদা শিরোনামে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের মতোই আছে গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, প্রতিবেদন। বৈচিত্র্য আনার জন্য প্রবন্ধ-নিবন্ধ নানা ধরনের সাব-শিরোনামে আনা হয়েছে। এই পর্যায়ে সবাইকে টেক্কা দিয়েছে সমকাল, তাদের রকমারি সাব-শিরোনাম যেমন দুর্লভ, সবিশেষ, ঐতিহ্য, আখ্যান, কৃত্য, ব্যক্তিগত, আয়োজন নারী, আত্মজার চোখে, বিহঙ্গ, নদী; এসবের পাশাপাশি আছে আইন সংবিধান, স্মৃতি, ভ্রমণ, শিল্পকলা, নাটক, তারকা, রেসিপি, খেলা। সূচির প্রতি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য হয়তো এই প্রচেষ্টা। তবে বিশেষ সংখ্যাগুলোতে গবেষণা-নির্ভর কোনো প্রবন্ধ নেই। প্রায় সবই ব্যক্তিগত মতামত নির্ভর। কবিতার পরিচিতি এসেছে পদাবলি নামে।

লেখকের প্রকাশিতব্য গ্রন্থ বাংলাদেশের গণমাধ্যম বিশেষ সংখ্যার বিবর্তন থেকে ঈদ অধ্যায়ের সংক্ষেপিত অংশবিশেষ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়