রাজধানীতে ছাদ থেকে নিচে পড়ে নারীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন

পরের সংবাদ

অণুগল্প

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গাছের ছায়ায় গণকবর ব্রাজিলের বিখ্যাত উপন্যাসিক পাওলো কোয়েলহো পাঠকমহলে তার আধ্যাত্মিক মোটিভেশন ঘরানার লেখার জন্য সমাদৃত। তার দ্য আলকেমিস্ট একুশ শতকের অন্যতম বহুল পঠিত উপন্যাস। তার অণুগল্প পাঠকের গভীর মানসপটে একটি স্থায়ী প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে প্রেরণামূলক বার্তা ও নীতিকথার জন্য। পাঠকদের জন্য তেমন কিছু সংক্ষিপ্ত অথচ অর্থবহ অণুগল্প ভাগাভাগি করেছেন অনুবাদক আলমগীর মোহাম্মদ

এক.
আগুনের দিনগুলো শেষ হবে একদিন
সব সময় এটা মনে রাখা দরকার যে কোনোকিছুই চিরস্থায়ী নয়। জীবন জোয়ার-ভাটা, উত্থান-পতন এবং ভালো-মন্দের সমাহার। যখন তুমি দুঃসময়ের মুখোমুখি হবে, মনে রাখবে এটারও শেষ আছে। অবশ্যই বিপদের সময় এটা মনে হয় না কারণ তখন তুমি মগ্ন, হতাশ ও নিরাশ থাকো। কিন্তু আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আগুনের দিনগুলো শেষ হবে একদিন। হয়তো তুমি এখন ঝড়ের মধ্যে যাচ্ছ, কিন্তু সূর্যের দেখা পাবে শিগগির। দুঃসময়ে এটা মনে রাখা উচিত।

দুই.
সফলতা
তারাই সফলতার মুখ দেখে, যারা অন্যরা কী করছে সেটার তুলনা করে সময় নষ্ট করে না। সফলতা সেই ব্যক্তির ঘরে আসে যে প্রতিদিন নিয়ত করে : ‘আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
যারা শুধু সফলতা খুঁজে বেড়ায়, তারা খুব সময় সফলতার মুখ দেখে। কারণ সফলতা কোনো উপসংহার নয়, পরিণতি বা কর্মফল।
ঘোর কখনো সহায়ক হয় না। ঘোরে থাকলে বিভ্রান্তি বাড়ে। সিদ্ধান্তহীনতা তৈরি হয়। বাঁচার আনন্দের বিনাশ ঘটে।
সেই ব্যক্তিই প্রকৃত ধনী যার বেঁচে থাকার প্রতিটি মুহূর্ত ভালোবাসার স্পর্শে থাকে।
আপনার অবশ্যই একটা লক্ষ্য থাকতে হবে। চলার পথে পেছনে ফিরে তাকানোর প্রয়োজন নেই। বরং চারপাশের দৃশ্য উপভোগ করা ভালো।
এই রকম মুহূর্তে নিজেকে প্রশ্ন করা জরুরি : ‘আমার মূল্যবোধ কি অক্ষত আছে? আমি কি লোকে কী ভাববে এবং আমার কাছে কী আশা করে- সেই চিন্তায় বিভোর, নাকি আমি নিজেকে এই বলে আশ্বস্ত করতে পেরেছি যে আমি যা করছি তা আমার আত্মার ইশতেহার এবং আমার উদ্যমের ফল? আমি কি যে কোনো উপায়ে সফল হতে চাই, নাকি আমি সফল হতে চাই কারণ আমার দিনগুলো আমি আনন্দময় করতে পেরেছি?

তিন.
দ্য ডার্টি লন্ড্রি
যুব দম্পতি নতুন বাসায় উঠল। নতুন প্রতিবেশী হলো তাদের।
পরদিন সকালে নাস্তা খাওয়ার সময় যুবতী স্ত্রী দেখতে পেল তাদের প্রতিবেশী মহিলা কাপড়চোপড় ধুয়ে বাইরে শুকাতে দিচ্ছে।
‘এদের ধোলাইটা খুব একটা ভালো না। মহিলা ধোয়াপোঁছা কীভাবে করতে হয় তাও ভালোমতো জানে না বোধহয়। হয়তো ভালো সাবান দরকার তার।’
তার স্বামী তাকিয়ে রইলেন, কিছু না বলে।
যতবারই প্রতিবেশী মহিলা কাপড়চোপড় শুকাতে দিতে আসে, যুবতী স্ত্রী ততবারই একই ধরনের মন্তব্য করে।
এক মাস পর যুবতী স্ত্রী বিস্মিত হয়ে গেল লাইনে শুকাতে দেয়া পরিষ্কার কাপড়চোপড় দেখে। সে তার স্বামীকে বললো, ‘অবশেষে সে শিখল কীভাবে ধোয়াপোঁছা করতে হয়। আশ্চর্য! কে শিখিয়েছে তাকে?’
মহিলার স্বামী জবাব দিল, ‘আমি আজ ভোরে উঠে আমাদের জানালাগুলো পরিষ্কার করেছিলাম।’
আর হ্যাঁ, এটাই জীবন….জানালার স্বচ্ছতার ওপর নির্ভর করে যখন আমরা বাইরের কিছু দেখি তখন এমনই হয়।’
সুতরাং কাউকে নিয়ে মন্তব্য করার আগে ভেবেচিন্তে দেখবে বিশেষ করে যদি তোমার জীবন রাগ, হিংসা, হীনম্মন্যতা কিংবা অপূর্ণ প্রত্যাশার মেঘে ঢাকা হয়।
‘কাউকে নিয়ে মন্তব্য করা মানে নিজেকে সংজ্ঞায়িত করা, নির্দেশিত ব্যক্তিকে নয়।’

চার.
দুঃসময়
রাস্তায় দাঁড়িয়ে এক লোক কমলা বিক্রি করছিলেন। ভদ্রলোক নিরক্ষর ছিলেন। কোনোদিন পত্রিকার কথা শোনেননি। রাস্তাজুড়ে কিছু চিহ্ন জুড়ে দিয়ে তিনি সারাদিন কাটালেন তার কমলার স্বাদের প্রশংসা করে।
সবাই তার কাছ থেকে কমলা কিনলেন। সেদিনের মতো ভালো ব্যবসা হলো তার। বেচাবিক্রির টাকায় তিনি আরো কিছু চিহ্ন বসান রাস্তায় এবং বেচা বিক্রি আরো বেড়ে গেল। ব্যবসায়ে খুব দ্রুত উন্নতি হলো তার।
একদিন তার ছেলে যে একটা বড় শহরে পড়ালেখা করেছিলেন বাবাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বাবা, তুমি জানো না দুনিয়া একটা দুঃসময়ের অতিক্রম করছে? দেশের অর্থনীতি খুব নাজুক অবস্থায় আছে!’
তিনি এতে উদ্বিগ্ন হয়ে, চিহ্ন সংখ্যা কমিয়ে নেন এবং কিছুটা নি¤œমানের ও কম দামের ফল বিক্রি শুরু করেন। এবার বিক্রি দ্রুতই কমে গেল।
‘আমার ছেলেই ঠিক’ তিনি ভাবলেন। ‘দিনকাল আসলেই খারাপ।’

পাঁচ.
দ্বিগুণ দামে উট কেনা
গ্রামে একজন উট বিক্রেতা এলো। ভালো দামে, সুস্থ-সবল সব পশু বিক্রি করছিল সে। প্রায় সবাই কিনল। মিস্টার হুসেপ ছাড়া।
কিছু সময় পর আরেকজন বিক্রেতা এসে হাজির হলো ওই গ্রামে। এবারে পশুগুলো সুস্থ-সবল ঠিকই, কিন্তু দাম বেশ চওড়া। মিস্টার হুসেপ কিছু পশু কিনে নিল।
‘যখন পানির দরে বিক্রি হচ্ছিল তুমি উট নাওনি। আর এখন চড়া দামে কিনলে!’ বলে বন্ধুরা তাকে তিরস্কার করল।
‘আগের বারের সস্তা উটগুলো আমার জন্য দামি ছিল কারণ তখন আমার কাছে তেমন টাকাকড়ি ছিল না’ বললো হুসেপ। ‘এই পশুগুলো তোমাদের কাছে বেশি দামে কেনা মনে হতে পারে। তবে আমার কাছে সস্তা। কারণ এগুলো কেনার জন্য প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টাকাকড়ি আছে এখন আমার।’

ছয়.
জনৈক ভিক্ষুক ও গুরু
একজন বেকারিওয়ালা মহান এক গুরুকে ভালোভাবে জানার ওসিলায় নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানালেন। নৈশভোজের আগের দিন গুরু ভিখারির বেশে বেকারিতে গিয়ে হাজির হলেন। প্রদর্শনীতে রাখা একটা রুটির রোল নিয়ে খেতে শুরু করলেন তিনি। তা দেখে বেকারিওয়ালা তাকে গলাধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেললেন। পরেরদিন গুরু ও তার এক শিষ্য মিলে বেকারিওয়ালার বাড়িতে হাজির হলেন। তাদের রাজকীয় এক ভোজে আপ্যায়ন করা হলো।
খাওয়ার মাঝপথে শিষ্য জানতে চাইলেন, ‘একজন খারাপ মানুষ থেকে ভালো মানুষকে আলাদা করার উপায় কী?’
‘এই বেকারিওয়ালার দিকে তাকাও। তিনি একটা ভোজের জন্য দশটা স্বর্ণমুদ্রা খরচ করার সামর্থ্য রাখেন কারণ আমি বিখ্যাত, কিন্তু একজন ক্ষুধার্ত ভিক্ষুককে এক টুকরো রুটি খাওয়াতে অক্ষম।’

সাত.
সমস্যা
হিমালয় পর্বতে একজন বিখ্যাত পণ্ডিত বাস করতেন। মনুষ্য সঙ্গে বিরক্ত হয়ে তিনি একটা সাদাসিধা জীবন বেছে নিলেন। তার অধিকাংশ সময় কাটে ধ্যানে।
তার খ্যাতি এমন ছিল যে কিছু লোকজন এই বিখ্যাত পুরুষের সাক্ষাৎ পাওয়ার জন্য চিকন গলি হেঁটে, খাড়া পাহাড় বেয়ে ও নদী সাঁতরে চলে এলেন তার নতুন ঢেরায়। কারণ লোকজনের বিশ্বাস ছিল এই লোক মানব হৃদয়ের যে কোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারেন।
জ্ঞানী লোকটি আগত লোকজনকে তেমন কিছু বলেননি। শুধু বলেছিলেন, বসো ও অপেক্ষা করো। তিনদিন পর আরো কিছু লোকজন উপস্থিত হলেন। ঘরে যখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই, তখন তিনি দরজার বাইরে সমবেত লোকজনকে উদ্দেশ করে বললেন,
‘আজ আমি সবাই যে জবাব চায় সেটা দিব। তবে, তোমাদের অবশ্যই একটা প্রতিজ্ঞা করতে হবে। এখান থেকে ফিরে গিয়ে অন্য তীর্থযাত্রীদের বলবে না আমি এখানে আছি যাতে তোমরা তোমাদের কাক্সিক্ষত নির্জনবাস উপভোগ করতে পারো। এবার তোমাদের সমস্যার কথা বলো।’
কেউ একজন কথা বলতে শুরু করেছিলেন, কিন্তু অন্যদের বাঁধায় থেমে যেতে বাধ্য হন। কারণ সবাই জানতেন এটাই উল্লেখিত জ্ঞানী ব্যক্তির শেষ পাবলিক বক্তৃতা। কিছুদিন ঘটনা চলতে দেয়ার পর তিনি চিৎকার করে বললেন, ‘চুপ! তোমাদের সমস্যার কথা লিখে আমার সামনে রাখো।’
সবাই যখন তাদের সমস্যা লিখে জমা দিলেন তখন জ্ঞানী ব্যক্তি সব কাগজ তুলে নিয়ে একসঙ্গে একটা ঝুড়িতে রাখলেন। তারপর বললেন, ‘এই ঝুড়িটি তোমাদের মধ্যে চালাচালি করো। প্রত্যেকে একটা করে কাগজ হাতে নিবে এবং পড়বে। তারপর সিদ্ধান্ত নিবে তোমরা যে সমস্যার কথা বলেছ সেটা রাখবে নাকি তুলে নিবে।’
প্রত্যেকে একটা করে কাগজ হাতে তুলে নিলেন, পড়লেন এবং আঁতকে উঠলেন। তারা একটা ব্যাপারে সম্মত হলেন যে তাদের প্রত্যেকের অবস্থা যতই খারাপ হোক না কেন, তাদেরই একজন প্রতিবেশী যে কারণে অসুস্থ হয়েছিলেন তার তুলনায় নিজেদের সমস্যা কিছুই না। দুই ঘণ্টা পর, তারা নিজেদের মধ্যে কাগজগুলো হাত বদল করলেন। শেষে এই সিদ্ধান্ত এলেন যে তাদের সমস্যাগুলো ততটুকু মারাত্মক না, যতটুকু তারা একদা ভেবেছিলেন। এবার তারা নিজেদের কাগজগুলো ফেরত নিলেন।
এই শিক্ষার জন্য কৃতজ্ঞচিত্তে এবার তারা নিজেদের ঘরে ফিরে গেলেন। এই নিশ্চয়তা পেলেন যে অন্যদের তুলনায় তারা ভালো আছেন। জ্ঞানী ব্যক্তির কাছে করা সেই প্রতিজ্ঞা তারা রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিলেন সন্তুষ্টচিত্তে।

আট.
রেগে গেলে আমরা চিৎকার করি কেন?
জনৈক গুরু তার শিষ্যদের কাছে জানতে চাইলেন :
‘আমরা রেগে গেলে চিৎকার করি কেন? বা, নিরাশ হলে মানুষজন একে অন্যকে বকাবকি করে কেন?’
কিছুক্ষণ ভেবেচিন্তে শিষ্যদের একজন বলল,
‘রেগে গেলে আমরা আমাদের স্থিরতা হারাই- এ কারণে চিৎকার করি।’
‘কিন্তু, অন্য ব্যক্তিটি তোমার পাশে থাকার পরেও তার সামনে চিৎকার করতে হবে কেন? তার সঙ্গে কি নম্রস্বরে কথা বলা যায় না? কারো সঙ্গে রেগে গিয়ে চিৎকার করবে কেন?’
শিষ্যরা আরো কিছু জবাব দিলো। কিন্তু কোনটাই তাকে খুশি করতে পারেনি।
শেষে তিনি বললেন :
দুইজন মানুষ যখন পরস্পর যখন রাগারাগি করে তখন তাদের আত্মার মধ্যে বিশাল একটা দূরত্ব তৈরি হয়। সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে পরস্পরকে শুনতে তাদের চিৎকার করতে হয়। যতবেশি রেগে যায়, তারা তত বেশি জোরে চিৎকার করে।
তখন গুরু আবার জানতে চাইলেন :
দুইজন মানুষ প্রেমে পড়লে কি হয়, জানো? তারা চিৎকার করে না, নম্রভাবে কথা বলে। কিন্তু, কেন? কারণ তাদের অন্তর দুটি খুব ঘনিষ্ঠ হয়। তাদের মধ্যে দূরত্ব খুবই কম।
তিনি শেষ করলেন এভাবে :
‘তারা যখন পরস্পরকে আরো ভালোবাসে তখন কী হয়?’
আর আওয়াজ করে না। কানে কানে কথা বলে। ভালোবেসে একে অন্যকে কাছে টেনে নেয়।’
‘শেষে তাদের আর ফিসফিস করতে হয় না। শুধু একে অন্যের দিকে চেয়ে থাকে এবং এটাই সবকিছু। এভাবে দুইজন মানুষ ভালোবেসে পরস্পরের কাছে আসে।’

নয়.
দুঃসময় সবারই আসে, তুমি একা নও
মাঝেমধ্যে আমরা যখন খারাপের সময় পার করি তখন আমাদের মনে হয়- শুধু আমরাই এসবের মুখোমুখি হচ্ছি। সামাজিক মর্যাদা, লিঙ্গ ও গোত্রভেদে কেউই দুঃসময়ের কবলমুক্ত নয়। ব্যাপারটা হলো, তোমার আশপাশের অনেকেই তোমার চেয়ে খারাপ সময় পার করছে।
আজকে আমি ভাবছিলাম খারাপ কিছু শুধু আমার সঙ্গেই ঘটে। ঠিক তখনই একটা ফোন কল আমাকে নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দিল। ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে আমার এক বন্ধুর অসুবিধার কথা শুনে আমার নিজের অসুবিধেটাকে খুব তুচ্ছ মনে হলো। বাস্তবতা হলো, তুমি যা কিছুর মোকাবিলা করছ সেক্ষেত্রে তুমি একা নও।

দশ.
তোমার প্রতিবন্ধকতাগুলো তোমার শিক্ষক- এটাই শেখার মাধ্যম
আমার স্ত্রী আমাকে শিখিয়েছে দুঃসময়ের দুঃসহ অভিজ্ঞতাগুলোকে নতুনভাবে শ্রেণিকরণ করতে। প্রত্যেকটা দুঃসময় ও অভিজ্ঞতাকে একেকটা শ্রেণিকক্ষ মনে করে এবং সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে নিজেকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে। এটা খুবই কার্যকরী, যা দুঃসময় সম্পর্কে আমার ধারণা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। কে জানে, হয়তো, দুঃসময়ের শিক্ষা তোমার ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজে আসবে এবং যখন অন্য কেউ দুঃসময়ের মুখোমুখি হবে।
আমার বিশ্বাস সৃষ্টিকর্তা বার্তার মাঝে বার্তা দেয় এবং প্রতিটা পরীক্ষাকে সাক্ষ্যে রূপান্তরিত করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়