গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : ভারতের সবচেয়ে নিম্নমানের প্রোডাক্ট আওয়ামী লীগ

আগের সংবাদ

বহুমাত্রিক কৌশল আ.লীগের

পরের সংবাদ

বিষাদের গদ্য

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কী অদ্ভুত সুন্দর জীবন আমার- চিরকাল অভুক্ত বিষণ্নতা জড়িয়ে রাখে আপাদমস্তক। এই বিষাদের অর্থ আমার জানা নেই। জানি না এই মন খারাপের কারণ, এই অতৃপ্তি কিংবা দুঃখের কৈফিয়ত। তবু পরম মমতায় আলিঙ্গন করি জীবনের নির্বেদ-বেদনাবোধ। কখনো খুঁজতেও যাই না এসব বিষাদের উৎস। কে কখন বিষাদের তীর ছুড়ে দিয়েছিল সে হিসাব রাখারও প্রয়োজন বোধ করিনি। যে জীবন বিষাদের, সেখানে ভালোবাসার আশা করা অন্যায় বৈকি! তবে যদি কখনো তুমুল গাঢ় বিষাদে ছেয়ে যায় মন, আমি আকাশের পানে লিখে দিই- ‘বিষাদ ছুঁয়েছে আজ, মন ভালো নেই।’
মাঝেমধ্যে আদিম অক্টোপাসের মতো গ্রাস করে নিঃসঙ্গ একাকিত্ব। বিষাদগ্রস্ত আমি ভয়াবহ শূন্যতার পদতলে পিষ্ট হতে হতে ভাবি- জীবনের আরেক নাম কি তাহলে মরীচিকা! কিংবা বিষাদ-সাগর! যে মরীচিকার পেছনে ছুটতে ছুটতে মানুষ ডুবে যায় এক অতলস্পর্শী বিষাদে! খুব বেশি ভাবতে পারি না। করোটি জুড়ে যে বিষাদের অনুরণন, তাতে ঝিমধরা অলস দুপুরের মতোই কেটে যায় সময়। গভীর এক বেদনাবোধে স্তব্ধ হয়ে ভাবি- দূরে কোথাও চলে যাই… অনেক দূরে… কোনো সমুদ্র উপকূলে, দূর পাহাড়ের আদিম গুহায়- একা। চলে যাই দূরের কোনো গহীন বনে। যেখানে কর্পূরের মতোই অনায়াসে ফুরিয়ে যাবে জীবনের সমস্ত সময়! স্তব্ধতা কেটে যায় একসময়, বিকেলের দীর্ঘ ছায়ায় ভেসে ওঠে আমার পূর্বপুরুষদের মুখ। তারা যে বিষাদের পথ মাড়িয়ে চলেছেন, আমাকেও চলতে হবে সে পথ ধরেই- যে পথে জীবন প্রেমিকার প্রস্থানের চেয়েও দীর্ঘতর বিষাদের!
নকীবুল হক : শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়`

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়