গয়েশ্বর চন্দ্র রায় : ভারতের সবচেয়ে নিম্নমানের প্রোডাক্ট আওয়ামী লীগ

আগের সংবাদ

বহুমাত্রিক কৌশল আ.লীগের

পরের সংবাদ

জামদানি মেলা উদ্বোধন : জামদানি শাড়ির সূ² নকশা দেখে ‘অবাক হন বিদেশিরা!’

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জামদানি শাড়ি দেশের একটি ঐতিহ্য। বাংলাদেশে আসা বিদেশি অতিথিরা এ শাড়ির প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখিয়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। হাতে তৈরি জামদানি শাড়ি দেখে অবাক হন তারা। এটি তৈরি অত্যন্ত শ্রমসাধ্য। বাহারি নকশার কারণে এটি অনন্য। এ শিল্প এবং এর কারিগরদের রক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে গতকাল রবিবার ‘জামদানি মেলা-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিসিক চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।
শিল্প সচিব বলেন, শুধু শাড়িই নয়, জামদানি একটি ঐতিহ্য। এর কোনো তুলনা নেই। নিজের বৈশিষ্ট্যের কারণেই এটি অতুলনীয়। বিদেশ থেকে যখন অতিথিরা বাংলাদেশে আসেন, তখন তারা জামদানির প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখিয়ে থাকেন। তারা বিশ্বাসই করতে পারেন না যে, সম্পূর্ণভাবে হাতে এ রকম একটি শাড়ি তৈরি করা সম্ভব। জামদানি শাড়ির বয়ন কেবল শ্রমসাধ্য নয়, এটিকে একটি সূ² কর্ম উল্লেখ করে শিল্প সচিব বলেন, এটা একদিনে হয়নি। শতশত বছর ধরে দেশের সোনারগাঁও, ডেমরা, তারাবো, রূপগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ জামদানি শাড়ির জন্য বিখ্যাত। উন্নত বয়ন কৌশল, বাহারি নকশার কারণে জামদানি শাড়ি অনন্য। আমরা জামদানির ইন্টারন্যাশনাল জিআই পণ্য লাভ করেছি। এখন এর প্যাটেন্ট করতে হবে। তাহলে আমরা এর রয়্যালিটি পেতে থাকব।
শিল্প সচিব বলেন, এ ধরনের প্রদর্শনীর মাধ্যমে জামদানি শিল্পকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে একে পরিচিত করে তোলা যাবে। এ বছর হস্তশিল্পকে প্রধানমন্ত্রী ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাই এ বছর আমাদের হস্তশিল্প হিসেবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রতি আমাদের নজরদারি অনেক বাড়াতে হবে। এটা শুধু ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ হিসেবেই নয় বরং রপ্তানি পণ্য হিসেবেও আমাদের এ খাতে নজর বাড়াতে হবে।
আগামী ২৯ মে এসএমই মেলা শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসএমই মেলাতেও জামদানিকে উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সামনে জামদানিকে তুলে ধরা হবে। এ শিল্প ও এর শিল্পীদের ঐতিহ্যকে রক্ষা করার জন্য কী করা যায় সে ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়ে শিল্প সচিব বলেন, এ ব্যাপারে প্রস্তাব পাওয়া গেলে তা প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হবে।
জামদানি শিল্পকে রক্ষা ও এর প্রসারে বাংলাদেশ বিসিকের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শিল্প সচিব বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য জামদানির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিসিক বহু আগে থেকেই কাজ করে আসছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে ১৯৯৩ সালে বিসিকের তত্ত্বাবধানে ২০ একর জমির ওপর জামদানি শিল্পনগরী গড়ে তোলা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) জামদানির স্বীকৃতি সনদ ২০১৬ সালে প্রাপ্ত হয় বিসিক।
জাকিয়া সুলতানা আরো বলেন, নতুন যারা কারিগর তৈরি হচ্ছেন, তারা নকশা সম্পর্কে তেমন অবগত নন। তবে এ জন্য বিসিকের জামদানি নগরীতেই একটি জামদানি জাদুঘর তৈরির পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। যেখানে বিদেশিদের জন্য অবকাশকেন্দ্র থাকবে। জামদানি শিল্পের মান ধরে রাখতে উদ্যোক্তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে সরকারের পক্ষ থেকে আরো বেশি প্রণোদনা দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়