ঈদে সাধারণ মানুষ নির্বিঘেœ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে : আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

আগের সংবাদ

চবি-রাবিতে ফিরছে কলেজ

পরের সংবাদ

যে গাছের অশ্রæতে হয় মূল্যবান লোবান

প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২১, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা মেলে মোহময় এক সুগন্ধীর। নাম তার ফ্র্যাঙ্কিনসেন্স, আমরা যাকে চিনি লোবান নামে। এ শুধু সুগন্ধী নয় বরং তার সঙ্গে জড়িত রয়েছে বিভিন্ন দেশের পৌরাণিক কাহিনি, বিচিত্র সব গল্পগাঁথা। এর সুঘ্রাণ কারো কাছে আত্মিক শুদ্ধতার প্রতীক, কারো কাছে শৈশবের স্মৃতির।
ওমান এবং সোমালিয়ার প্রচলিত গল্পটি হলো, স্থানীয় এক তরুণী প্রেমে পড়ে যায় এক প্রেতাত্মার। এহেন নিষিদ্ধ প্রেমের পথে হাঁটার কারণে তাকে গাছে রূপান্তরিত করা হয়। কিন্তু কখনোই প্রথম প্রেম ভুলতে পারেনি তরুণী। ফলে সেই গাছ থেকে অনবরত ঝরতে থাকে অশ্রæ, সেই অশ্রæই রূপ নেয় লোবানে।
বহু বছর ধরে আরবের এক গুপ্তধন হয়ে থেকেছে লোবান। মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, আফ্রিকায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গল্পগাঁথা প্রচলিত রয়েছে লোবান বা ফ্র্যাঙ্কিনসেন্স নিয়ে। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সালেও মিসরীয় প্যাপিরাসে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। রোমান দার্শনিক প্লিনি একে অভিহিত করেন রহস্য এবং প্রাচুর্য হিসেবে। আসলে কোথা থেকে আসে লোবান? আরব পেনিনসুলার দক্ষিণ তীর ঘেঁষে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বসওয়েইলা গাছের বন। এসব গাছের নিঃসৃত রেজিনই বাতাসে ঘন হয়ে তৈরি করে লোবান। এরপর একে উত্তপ্ত কয়লার ওপর রেখে ব্যবহার করা হয়, ঘরময় ছড়িয়ে যায় সুবাস।
আরব সংস্কৃতিতে অতিথি আপ্যায়নের উপাদান এই লোবান। অতিথি এলে লোবানের ধূপ জ¦ালানো হয়। বলা হয়ে থাকে, এতে শান্তি ও স্বস্তিবোধ করবেন, নিজের ঘরের মতোই আরাম পাবেন অতিথি। শুধু তাই নয়, প্রবীণ আরবরা ব্যবহার করতেন এ সুগন্ধী, ফলে অনেক তরুণদের তা মনে করিয়ে দেয় শৈশবের স্মৃতি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়