কিরণ রাও পরিচালিত নতুন ছবি ‘লাপাতা লেডিস’ ইতোমধ্যেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। ‘ধোবি ঘাট’-এর প্রায় ১৪ বছর পর আবার নির্দেশনায় এলেন আমিরের সাবেক স্ত্রী! এই ‘আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী’ কথাটাই কিরণ রাওকে বিচ্ছেদের পরও শুনতে হয়। যেন এটাই ওর একমাত্র পরিচয়! তবে অদ্ভুতভাবেই এই তকমা নিয়ে উনি বিব্রত নন। বরং খোলা মনে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমি জানি আমার সঙ্গে সারাজীবন আমিরের নাম জুড়ে থাকবে। সেটা নিয়ে অত ভাবি না। আমরা আগেও বন্ধু ছিলাম, আজো আছি। লগন ছবি মুক্তির এক বছর পর অর্থাৎ ২০০২ সালে রিনা রায় ও আমির খানের বিচ্ছেদ হয়। লগন ছবিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছিলেন কিরণ। সবাই এটাই ভাবে যে কিরণই রিনা ও আমিরের বিচ্ছেদের কারণ। তবে তা নয়, সেটা কিরণ নিজেই পরিষ্কার করে বলে দিলেন একটি সাক্ষাৎকারে। জানালেন, কিরণ যখন আশুতোষ গোয়ারিকরের ‘স্বদেশ’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করছিলেন, সেই সময় আমিরের সঙ্গে ওর সম্পর্ক দানা বাঁধে।
কিরণ আরো বলেন, ‘অনেকেই ভাবে আমির আর আমার লগনের সময় থেকেই প্রেম শুরু হয়েছিল। আসলে তা নয়। স্বদেশ ছবিতে যখন আমি কাজ করছিলাম তখন আমির মঙ্গল পান্ডে নিয়ে ব্যস্ত ছিল। আমরা একসঙ্গে কিছু বিজ্ঞাপন শুট করেছিলাম। তখনই ৩-৪ বছর পর আবার আমাদের দেখা হয়। আসলে লগনের শুটিংয়ের সময় আমরা কথাও তেমন বলতাম না। কারণ ওই সময় আমি অন্য একজনের সঙ্গে প্রেম করতাম। ২০০৪ থেকে আমার আর আমিরের প্রেমটা শুরু হয়। তাই আমার জন্য তাদের ডিভোর্স হয়েছিল এই কথাটা একেবারেই ভুল।’ তাদের প্রেম শুরুর পরও কিরণকে অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হতো। আমির তার পুরনো সম্পর্কের খারাপ লাগাগুলো থেকে তখনো বেরোতে পারেনি। তাই তাকে কাউন্সিলিংও করাতে হতো। ২০০৫ সালে বিয়ে করে আমির ও কিরণ, ২০২১ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। তবে আইনত আলাদা হলেও বন্ধুত্ব আজো অটুট আছে। ছেলে আজাদকে দুজনে মিলেই দেখাশোনা করে এই যুগল। সম্প্রতি আমির খানের প্রযোজনায় মুক্তি পেয়েছে ‘লাপাতা লেডিস’।

: মেলা ডেস্ক