পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের জন্য ৭ মার্চের ভাষণ এখনো প্রাসঙ্গিক : সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত গোলটেবিলে বক্তারা

আগের সংবাদ

ময়মনসিংহে আবারো টিটু কুমিল্লায় সূচনার শুভ সূচনা : টিটু ১,২৭,০০০, হাসান ২৯,০০০ ভোট > সূচনা ৪৮,০০০, সাক্কু ২৬,০০০ ভোট

পরের সংবাদ

নারীর সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প : বলিউড

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

যুগে যুগে নারীরা তাদের ত্যাগ ও পরিশ্রম দিয়ে বিশ্বকে করেছেন শৈল্পিক। নারীর স্বাধীনতা, অধিকার ও মানুষ হয়ে বাঁচার লড়াই নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ বিশ্ব চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করেছে। নারীদের সেই সংগ্রাম ও সফলতার গল্প নিয়ে নির্মিত কয়েকটি ব্যবসাসফল হিন্দি ছবির খোঁজ দিচ্ছে মেলা

মাদার ইন্ডিয়া
নারীকেন্দ্রিক চরিত্র নিয়ে বলিউডের ছবির কথা বলতে গেলে সবার প্রথমেই যে ছবিটি মনে আসে তা হলো ‘মাদার ইন্ডিয়া’। মাদার ইন্ডিয়া এতটাই সাড়া ফেলেছিল যে, প্রথম বলিউডের ছবি হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছে অস্কারেও। স্বাধীনতা-পরবর্তী ভারতের সামাজিক অবস্থা পুনর্গঠনে এ ছবিটি একটি নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছিল। মেহবুব খান পরিচালিত ছবিটির নাম চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন খ্যাতিমান অভিনেত্রী নার্গিস খান।

মির্চি মাসালা
১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হয় কেতন মেহতা পরিচালিত মির্চি মাসালা ছবিটিতে। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন বলিউডের জনপ্রিয় ও আলোচিত অভিনেত্রী স্মিতা পাতিল। যিনি কিনা পরে সিল্ক স্মিতা হিসেবেও পরিচিতি পান। ছবিটিতে গ্রামের একজন অধিকার বঞ্চিত নারীর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল।

লজ্জা
নারীকেন্দ্রিক চরিত্র নিয়ে নির্মিত আরো একটি উল্লেখযোগ্য বলিউডের ছবি বলা যেতে পারে ‘লজ্জা’কে। একঝাঁক নারী তারকাকে নিয়ে নির্মিত ছবিটিতে মূলত ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল ভারতীয় সমাজে নারীর ওপর পুরুষের অযাচিত আগ্রাসনকে। ছবিটিতে অভিনয় করে রেখা, মহিমা চৌধুরী, মাধুরী দীক্ষিত ও মনিষা কৈরালা।

দ্য ডার্টি পিকচার
ভারতীয় অভিনেত্রী সিল্ক স্মিতার জীবনী নিয়ে নির্মিত হয় ছবিটি। এতে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন বিদ্যা বালান। একজন নারীর শূন্য থেকে তারকা হয়ে ওঠা। খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছে গিয়ে জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা নিয়ে মৃত্যুবরণ- এই ছবিটির গল্প। তবে এর ভেতরে ফুটে উঠেছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর অসহায়ত্ব, শরীর ও মনের ওপর অত্যাচার, একজন নারীকে তারকা হয়ে উঠতে গিয়ে নানারকম প্রতিবন্ধকতা ও আপসের নানা করুণ চিত্র। এতে বিদ্যার পাশাপাশি আরো অভিনয় করেন নাসিরউদ্দিন শাহ, তুষার কাপুর ও ইমরান হাশমির মতো অভিনেতারা।

কুইন
একজন সাধারণ ভারতীয় তরুণী থেকে আধুনিক ও চলমান সমাজ উপযোগী তরুণী হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াত অভিনীত ‘কুইন’ ছবিটি। ছবিটিতে রানী মেহরা নামক এক ভারতীয় তরুণীর ভূমিকায় দেখা যায় কঙ্গনাকে। ‘কুইন’ ছবিটি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল সমালোচকদের। বক্স অফিসেও ছিল ব্যবসাসফল।

পিংক
২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া বলিউডের সেরা কয়েকটি ছবির মধ্যে ‘পিংক’ অন্যতম। কোনো সমাজে নারীদের একা বসবাস করাটা কতটা গুরুতর অপরাধ হিসেবে ভাবা হয়, সেই নির্মম সত্যগুলোই পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী তার পিংক ছবিটির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। ছবিটিতে বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ছিলেন তাপসী পান্নু, কীর্তি কুলহারি ও আংগাদ বেদী। ছবিটির একটি উল্লেখযোগ্য ডায়ালগ ছিল ‘না মানে না, নায়ের পর কোনো কিন্তু হয় না।’

নীরজা
সোনম কাপুরের বলিউড ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে ধরা হয় ‘নীরজা’ ছবিটিকে। রাম মাধবনের বায়োগ্রাফিক্যাল থ্রিলার ধর্মী ছবিটির গল্প তৈরি হয়েছে একটি বিমান ছিনতাইর ঘটনা নিয়ে। যেখানে নীরজা বানোট নামক এক ভারতীয় কেবিন ক্রু ছিনতাইয়ের হাত থেকে বিমানটিকে রক্ষা করেন এবং পরবর্তীতে ছিনতাইকারীদের গুলিতে নিহত হন। ছবিটির কেন্দ্রীয় ‘নীরজা’ চরিত্রে অভিনয় করেন সোনম কাপুর।

পার্চেড
রাজস্থানের মরু অঞ্চলের এক গ্রামের চার নারীর গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। সমাজে তাদের দুঃখ-দুর্দশা এবং শারীরিক মানসিক অত্যাচার সহ্যের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল ছবিটিতে। পরবর্তীতে জীবন সংগ্রামের তাগিদে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। অভিনয় করেছেন রাধিকা আপ্তে, সুরভিন চাওলা, তানিস্থা চ্যাটার্জি ও লেহার খান।

গোলাব গ্যাং
ছবিটি দিয়ে বাজিমতে করেছিলেন বলিউড ডিভা মাধুরী দীক্ষিত। এখানে তিনি একটি বিদ্রোহী নারী দলের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। আর জুহি চাওলাকে দেখা যায় ক্ষমতাধর এক নেত্রীর চরিত্রে। নিজেদের রক্ষা করতে ও আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়েই শুরু হয় নারীদের নিজস্ব বাহিনী তৈরির ভাবনা। সমাজ, সংসার সর্বত্রই তীব্র অত্যাচার আর মর্যাদাহানির অবসান ঘটিয়ে পাঁচ সখী মিলে প্রতিবাদ জানায় নিজেদের অধিকার সচেতনতার মাধ্যমে। সে থেকেই ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চল বুন্ডলখান্ডে নারী অধিকার নিয়ে যাত্রা শুরু করে গুলাবি গ্যাং নামে এ বাহিনী। যে কোনো নিপীড়িত বা অত্যাচারিত মানুষ, বিশেষত নারীদের পাশে এসে দাঁড়ানো এ বাহিনীকে নিয়েই নির্মিত হয়েছে ‘গোলাব গ্যাং’ নামের এই ছবিটি। যদিও ছবির পরিচালক সৌমিক সেনের দাবি, ছবিটি কোনো কিছু থেকে অনুপ্রাণিত নয়।

:: মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়