পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের জন্য ৭ মার্চের ভাষণ এখনো প্রাসঙ্গিক : সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত গোলটেবিলে বক্তারা

আগের সংবাদ

ময়মনসিংহে আবারো টিটু কুমিল্লায় সূচনার শুভ সূচনা : টিটু ১,২৭,০০০, হাসান ২৯,০০০ ভোট > সূচনা ৪৮,০০০, সাক্কু ২৬,০০০ ভোট

পরের সংবাদ

নারীই যখন ‘হিরো’ : হলিউড

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৯, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হলিউডে বহু চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রে দেখা গেছে নারীদের। মেলার পাঠকদের জন্য থাকছে হলিউডের নারীকেন্দ্রিক সেরা কয়েকটি ছবির খোঁজ

দি আয়রন লেডি
ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের উপাধি ছিল আয়রন লেডি। আর তার জীবনের কাহিনিকে ঘিরেই নির্মাণ করা হয় ‘দ্য আয়রন লেডি’ ছবিটি। ছবিটিতে থ্যাচারের ভূমিকায় অভিনয় করেন বিখ্যাত ক্লাসিক অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপস। দুর্দান্ত এ ছবিটি জিতে নেয় অস্কার পুরস্কার। তবে অবাক করা খবর ছিল সে সময় নারীকেন্দ্রিক এ ছবিটি আয়ের রেকর্ড গড়ে হলিউড বক্স অফিসে। ছবিটি আয় করে ১৪ মিলিয়ন ডলার।

ব্ল্যাক সোয়ান
এই ছবিটি দিয়েই হলিউড অভিনেত্রী নাটালিয়া পোর্টম্যান কেড়ে নিয়েছেন কোটি দর্শকের হৃদয়। শুধু হৃদয় জয় করেই ক্ষান্ত হননি, সেরা নারী অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে জিতে নিয়েছে একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অস্কার পুরস্কার। সাইকো থ্রিলার ঘরনার এ ছবিটিতে আরো অভিনয় করেন মিলা কুনিশ। হলিউডের নারীকেন্দ্রিক ছবিগুলোর মধ্যে উপরের দিকে রাখা হয় নাটালিয়ার এই ছবিটিকে।

মিলিয়ন ডলার বেবি
পরিচালক ক্লাইন্ট ইস্টউড পরিচালিত এ ছবিটি নির্মিত হয় একজন নারী বক্সারের কাহিনিকে ঘিরে। নারী আধিক্য এ ছবিটি মোট চারটি ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতে নেয়। ছবিটিতে নারী বক্সারের ভূমিকায় অভিনয় করেন হিলারি সোয়াঙ্ক। তার দুর্দান্ত অভিনয় আর মর্গান ফ্রিম্যানের যোগ্য সঙ্গ ছবিটিকে অস্কার পেতে সাহায্য করে। ছবিটি এতই জনপ্রিয় ছিল দীর্ঘদিন ধরে হলিউডের বক্স অফিসের শীর্ষে।

মোনালিসা স্মাইল
মোনালিসা স্মাইল ছবিটিতে চারটি নারী চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা হয়। ছবিটি মূলত ৫০ দশকে যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের পরাধীনতার বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়। এ ছবিটিতে চারজন নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেন জুলিয়া রবার্টস, ক্রিস্টেন ডান্সট, ম্যাগি গিলেনহল ও জুলিয়া স্টাইলস। লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বিখ্যাত সৃষ্টি মোনালিসার হাসির রহস্য নিয়ে আবর্তিত হতে থাকে ছবির গল্প।

কিল বিল
হলিউডের কোয়েন্টিন তারান্তিনোর মুভির বেশ সুনাম রয়েছে। তারান্তিনো মানেই ভিন্ন কিছু। আর সেই ভিন্নতা দিয়েই নির্মাণ করেছিলেন হলিউড ইতিহাসের অন্যতম নারীনির্ভর ছবি ‘কিল বিল’। ছবিটিতে নায়িকার ভূমিকায় ছিল উমা থুরাম। একজন সিক্রেট এজন্টের চরিত্রে দেখা যায় উমাকে। যিনি কিনা তার সহযোগীদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে মরিয়া থাকেন। ছবিটি তার অ্যাকশন দক্ষতার কারণে বেশ আলোচিত হয়।

গন উইথ দি ওয়াইন্ড
আমেরিকান সিভিল ওয়ারের কাহিনি নিয়ে নির্মাণ করা হয় ‘গন উইথ দি ওয়াইন্ড’। ছবিটিতে দেখানো হয় যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রতিকূল সময়েও একজন নারী কীভাবে তার ভালোবাসার জালে সবকিছু মোহবন্দি করে রাখে। ছবিটিতে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেন হলিউড অভিনেত্রী স্কারলেট ও হারা। ছবিটি এতই জনপ্রিয় ছিল এটি মোট ১০টি ক্যাটাগরিতে অস্কার পুরস্কার জিতে নেয়। যা ছিল অস্কার ইতিহাসে অবাক করা বিষয়।

দি হেল্প
ছবিটি মুক্তি পায় ২০১১ সালে। টেট টেইলর পরিচালিত এই ছবিটি মূলত ক্যাথরিন স্টকেট রচিত ‘দ্য হেল্প’র পর্দার রূপ। মূল গল্প আবর্তিত হয়েছে ৬০ দশকে আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সময় ইউজিনিয়া স্কিটার ফিল্যান নামের একজন শ্বেতাঙ্গ তরুণীর সঙ্গে দুজন কৃষ্ণাঙ্গ গৃহপরিচারিকা অ্যাবিলিন ক্লার্ক আর মিনি জ্যাকসনের সম্পর্ককে ঘিরে। একজন সাংবাদিক হিসেবে স্কিটার সিদ্ধান্ত নেয়, মিসিসিপির জ্যাকসন শহরের শ্বেতাঙ্গ পরিবারগুলোতে গৃহপরিচারিকার কাজ করার সময় কৃঞ্চাঙ্গ মহিলারা যেসব বর্ণবাদের শিকার হয়, সেসব ঘটনা নিয়ে সে একটি বই লিখবে।

মেল্লাফিসেন্ট
হলিউড গø্যামার অ্যাঞ্জেলিনা জোলি অভিনীত এ ছবিটি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল। ছবিটিতে একজন নারীর প্রকৃতি প্রেম ও তার সন্তানের প্রতি একজন মায়ের যে অকৃত্রিম প্রেম তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র মেল্লাফিসেন্টের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে। যিনি কিনা বন রক্ষায় রাজ্যের রাজার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হন আবার তিনিই রাজকন্যাকে সুস্থ করে তুলতে মায়ের ভালোবাসা নিয়ে হাজির হন।

কোকো বিফোর চ্যানেল
বিখ্যাত পারফিউম কোম্পানি চ্যানেল ফাইভের প্রতিষ্ঠাতা কোকো চ্যানেলের জীবনী নিয়ে নির্মিত হয় ‘কোকো বিফোর চ্যানেল’ ছবিটি। ছবিটিতে হলিউড অভিনেত্রী অড্রি টোটো অভিনয় করেন কোকো চ্যানেলের চরিত্রে। অ্যানি ফন্টেইন পরিচালিত ছবিটি মনোনয়ন পেয়েছিল অস্কারেরও।

অ্যারিন ব্রোকোভিচ
অ্যারিন ব্রোকোভিচ নামের এক পরিবেশবাদীর জীবনী নিয়ে নির্মিত হয় ছবিটি। হলিউড অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টসকে দেখা যায় অ্যারিনের চরিত্রে। পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ৩৩৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ আদায় করেন এই নারী। যা কিনা অনুন্নত এবং দূষিত পরিবেশের কারণে ক্ষতির স্বীকার হওয়া অন্য দেশগুলোর জন্য দান করেন এই পরিবেশবিদ।

:: মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়