নামাজ পড়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যুবককে হত্যা : গাজীপুর

আগের সংবাদ

মাঝপথে কাজ বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে বরিশালের বাসিন্দারা : সড়ক নয় যেন ধুলার রাজ্য

পরের সংবাদ

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর হতে হবে সুপ্রিম কোর্টকে : বিচারপতি বোরহান উদ্দিন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস দিবস ছিল গতকাল মঙ্গলবার। প্রায় ১৬ বছরের বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবসেও বিচারকাজে অংশ নেন তিনি। অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে গতকাল দুপুরে এই বিচারপতিকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়। আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
বিদায় সংবর্ধনায় বিচারপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, সাংবিধানিক আদালতকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর হতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন। নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা এবং বিচার বিভাগ একে অন্যের পরিপূরক হলেও বিচার বিভাগের দায়িত্ব সংবিধানের অভিভাবক হিসেবে অনন্য। কারণ, আইনসভায় প্রণীত কোনো আইন সংবিধানের সঙ্গে অসামঞ্জস্য কিনা তা দেখার অধিকার বিচার বিভাগের। পাশাপাশি নির্বাহী বিভাগের কোনো কার্যকলাপ সংবিধানের তৃতীয় ভাগে বর্ণিত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা তা দেখার ক্ষমতা বিচার বিভাগের এবং এ কারণেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অপরিহার্য।
বিচারপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, সুশাসন এবং আইনের শাসন সমার্থক। সুশাসন তথা আইনের শাসন নিশ্চিত করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। একই সঙ্গে এ কথাও ঠিক যে, বিচারিক স্বাধীনতা অনেকাংশে নির্ভর করে বিচারকের অন্তরের স্বাধীনতার ওপর। স্বাধীনভাবে বিচারকার্য পালনের জন্য বিচারককে মন-মননে স্বাধীন হতে হবে এবং এ কারণে বিচারককে নিজেদের স্বাতন্ত্র বজায় রাখতে হবে।
বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের জন্ম ১৯৫৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৮৫ সালের ৩ মার্চ অধস্তন আদালত, ১৯৮৮ সালের ১৬ জুন হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০২ সালের ২৭ নভেম্বর আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। পরে ২০০৮ সালের ১৬ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন। ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি বিচারপতি বোরহান উদ্দিনকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়