জবির নতুন প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন

আগের সংবাদ

শেখ হাসিনার ইউরোপ জয় : মিউনিখ সফর > সরকার প্রধানদের অভিনন্দনে সিক্ত > শেখ হাসিনাকে ঘিরেই সবার আগ্রহ > বক্তব্যে যুদ্ধবিরোধী বার্তা প্রসংশিত

পরের সংবাদ

একের ভেতর তিন শান্ত

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ছয় বছরেই এক যুগের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বাংলাদেশ ক্রিকেটের নেতৃত্বে সাকিব যুগের অবসান হয়েছে। এতেই নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় ক্রিকেট পাড়ায়। সাকিবকে দিয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে সব ফরমেটের অধিনায়কত্ব একজনের কাঁধে ওঠার সূচনা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশ ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব এসে পড়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর কাঁধে। তাই সবাই আদর করে বলছেন- ‘একের ভেতর তিন শান্ত’। তবে এর আগেও তিন ফরম্যাটে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শান্ত। গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে লিটন দাস বিশ্রামে থাকায় শান্তকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। সেটাই ছিল নেতা হিসেবে শান্তর প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। পরবর্তীতে বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে সাকিবের পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দেন শান্ত। দুবারই সাকিব চোটের কারণে খেলতে পারেননি। বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজে এবং অ্যাওয়ে সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন। যেখানে বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজে ঘরের মাঠে প্রথমবার নিউজিল্যান্ডকে হারায় এবং তাদের মাটিতে জয় পায় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। তার অধিনায়কত্ব তখন থেকেই মনে ধরেছিল নীতিনির্ধারকদের। যেভাবে খোলা মনে নিজের ও দলের কথা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলেছেন, পরিপক্বতা দেখিয়েছেন তাতে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। নিয়মিত অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে একাধিক সময়ে লাল-সবুজের হয়ে টস করেছেন শান্ত। এখন পর্যন্ত সব সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশকে ১১ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত। সাদা পোশাকে তার অধিনায়কত্বে মোট ২টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে এক টেস্টে হারের বিপরীতে একটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে শান্তর নেতৃত্বে ৬ ম্যাচ খেলে ৫ ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। বিপরীতে একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে টাইগাররা। আর টি-টোয়েন্টিতে ৩ ম্যাচে ১ জয় ও ১ হার অধিনায়ক শান্তর। অপর একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। মাঠের অধিনায়কত্বে তো বটেই, মাঠের বাইরের নেতৃত্বগুণ দিয়েও দীর্ঘ মেয়াদে অধিনায়ক হওয়ার জোরালো দাবি তুলেছিলেন নাজমুল হোসেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এ ঘোষণা তাই অনেকটা অনুমিতই ছিল। আপাতত তাকে অধিনায়ক করা হয়েছে চলতি বছরের জন্য। বিসিবি যখন নাজমুলের সঙ্গে অধিনায়কত্ব নিয়ে আলোচনা করে, নাজমুল তখনই বলেছিলেন, দায়িত্ব দেয়া হলে সেটা লম্বা সময়ের জন্যই চান তিনি। তাতে দলটাকে গুছিয়ে নিতেও সুবিধা হয়। জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে নাজমুলের প্রথম দায়িত্ব শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজ। এ বছর বাংলাদেশের অনেক খেলা, যার মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আছে। অধিনায়ক হিসেবে এরই মধ্যে নিজেকে চেনানো নাজমুল তাই দীর্ঘ মেয়াদে অধিনায়ক থাকার দাবি জানানোর যথেষ্ট সুযোগই পাচ্ছেন। পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে নাজমুল হোসেন নিজের জাত চেনাবেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বলিষ্ঠ নেতৃত্ববলে নিয়ে যাবেন অনন্য উচ্চতায়- ভক্ত আর শুভাকাক্সক্ষীদের এটিই প্রত্যাশা। নাজমুল হোসেন শান্ত খুব শান্তভাবেই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছেন। তথাকথিত ‘লর্ড শান্ত’ থেকে হয়েছেন ‘ক্যাপ্টেন শান্ত’। এই অবস্থান নিশ্চিতে সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে তাকে। শূন্য থেকে অধিনায়কত্ব পর্যন্ত এই সুদীর্ঘ পথের ইতিবৃত্তটি একবার ফিরে দেখা প্রয়োজন। ২০১৬ সালে ঘরোয়া ক্রিকেট বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলার মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় নাজমুল হোসেনের। ২০১৯ সালে তিনি ২০১৯-২০ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলার জন্য নির্বাচিত হন। ২০২২ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তিনি টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন, চারটি অর্ধশতকসহ করেছিলেন ৫১৬ রান। এছাড়া তিনি প্রথম বাংলাদেশি খেলোয়াড় হিসেবে বিপিএলের এক মৌসুমে ৫০০ রানের বেশি রান করেন। তিনি তার পারফরম্যান্সের জন্য টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন। এত
গেল ঘরোয়া ক্রিকেট, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লাল-সবুজের হয়ে উজ্জ্বল ভূমিকা রাখেন তিনি।

:: রিয়াজ উল্লাহ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়