জবির নতুন প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন

আগের সংবাদ

শেখ হাসিনার ইউরোপ জয় : মিউনিখ সফর > সরকার প্রধানদের অভিনন্দনে সিক্ত > শেখ হাসিনাকে ঘিরেই সবার আগ্রহ > বক্তব্যে যুদ্ধবিরোধী বার্তা প্রসংশিত

পরের সংবাদ

অদম্য সাবালেঙ্কার স্বপ্নপূরণ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বেলারুশের টেনিসকন্যা আরিনা সাবালেঙ্কা। গত মৌসুমেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জয়ের স্বাদ পাওয়া সাবালেঙ্কা এবারো অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে গড়েছেন টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির। তবে আরিনার জার্নিটা মোটেও সহজ ছিল না। ২০১৯ সালে মাত্র ৪৩ বছর বয়সেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন সাবালেঙ্কার বাবা। বেঁচে থাকার সময়ই মেয়ের বয়স ২৫ পূর্ণ হওয়ার আগে সাবালেঙ্কার হাতে গ্র্যান্ডস্লাম দেখার ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন তিনি। এবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাবার স্বপ্নপূরণ হয়ে যায় বেলারুশ সুন্দরীর। এ বয়সেই দুটি মেজর শিরোপা জয় যেন অকাল মৃত্যু ঘটা বাবার জন্যই অর্জিত।
এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শুরু থেকেই একের পর এক নক্ষত্রের পতন দেখেছে টেনিস দুনিয়া। টিনএজার এবং অখ্যাতদের উত্থানে বিদায় নিতে থাকেন তারকারা। এই সুযোগে ক্যারিয়ারে প্রথমবার কোনো গ্র্যান্ডস্লামের ফাইনালে জায়গা করে নেন ঝ্যাং কিনওয়েন। আসরে দ্বাদশ বাছাই ছিলেন চাইনিজ কন্যা। আগের ম্যাচগুলোতে তিনি দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও মেলবোর্ন পার্কের ফাইনালে তিনি ছিলেন নিজেরই ছায়া। সাবালেঙ্কার দাপটের কাছে ঠিকতেই পারেননি তিনি। বেলারুশ সুন্দরী মাত্র ৭৬ মিনিটের লড়াইটা জিতে নেন অনায়াসেই। সাবালেঙ্কার কাছে ৬-৩ এবং ৬-২ গেমে হেরে যান লি নার উত্তরসূরি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সাবালেঙ্কা এতটাই দাপট দেখিয়েছেন যে শিরোপা ধরে রাখার পথে নিজের সার্ভে কোনো গেম হারেননি তিনি। ২০০৭ সালে মার্কিন কৃষ্ণকলি সেরেনা উইলিয়ামসের পর সাবালেঙ্কাই প্রথম এমন কীর্তি দেখিয়েছেন। গতবার মেলবোর্নেই ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের পথেও ছিলেন দুর্দান্ত। মেলবোর্নে সবশেষ ২৯ সেটের ২৮টিই জিতেছেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান তারকা। শুধু তাই নয়? স্বদেশি ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার কীর্তিরও পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছেন সাবালেঙ্কা। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার পর সাবেক নাম্বার ওয়ান ২০১৩ সালেও মেতেছিলেন শিরোপা উৎসবে। যারা এখনো খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন, সাবালেঙ্কাসহ তাদের মধ্যে কেবল ১০ জনেরই একাধিক গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের কীর্তি আছে।
মেলবোর্নে ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা জয়ের অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়ার পর সাবালেঙ্কা বলেছিলেন, ‘চার বছর আগে আমি আমার বাবাকে হারিয়েছিলাম। আমাদের একটা স্বপ্ন ছিল। ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই কয়েকটি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের স্বপ্ন দেখছিলাম। বাবা যখন মারা গেলেন তখন এ বিষয়টি নিয়ে আমি অনেক বেশি চিন্তা-ভাবনা করেছি। তখন আমার বয়স ২৪। অথচ একটা গ্র্যান্ডস্লামও জেতা হয়নি।
এরপর থেকেই বাবার জন্য আমি সত্যিই গ্র্যান্ডস্লাম জিততে মরিয়া হয়ে উঠলাম। কেবলমাত্র আমার পরিবারের নামটা ইতিহাসে রাখার লক্ষ্যেই গ্র্যান্ডস্লাম জিততে চেয়েছিলাম। আমাকে গ্র্যান্ডস্লাম জিততেই হবে, এমন ভাবনাতেই বিভোর হয়ে যাই। বাবার স্বপ্ন পূরণ করে এখন নিজেকে নির্ভার মনে হচ্ছে। বেঁচে থাকলে তিনি নিশ্চয়ই আমাকে নিয়ে অনেক গর্ব করতেন। এখন আমার নিজেকে মুক্ত মনে হচ্ছে।’
:: সোহানুর রহমান

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়