যুবলীগ নেতার বদলে অন্যের জেল খাটার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ

আগের সংবাদ

জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী : যুদ্ধ থামানোর উপায় খুঁজুন

পরের সংবাদ

ভাষা আন্দোলন নিয়ে চলচ্চিত্র : কেন এত হাতেগোনা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন নিয়ে টিভি নাটক-প্রামাণ্যচিত্র বেশ কিছু হলেও চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে একদম হাতেগোনা। এই চলচ্চিত্রগুলোও পূর্ণাঙ্গ ভাষা আন্দোলনের চলচ্চিত্র কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়। তবে অনেক নির্মাতাই বিভিন্ন সময় ভাষা আন্দোলন নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। জানা যায়, জহির রায়হান ১৯৬৫ সালে ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। জহির রায়হানের কাহিনী অবলম্বনে শিল্পী মুর্তজা বশীর চিত্রনাট্যও করেছিলেন। তবে পাকিস্তান সরকার সেই চলচ্চিত্র নির্মাণের অনুমতি দেয়নি। এদিকে পরিচালক আমজাদ হোসেন ঘোষণা দিয়েছিলেন ‘শহীদ আসাদ’ নামে একটি সিনেমার। কুমিল্লার এক জনসভায় মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে নিয়ে ছবিটির মহরতও হয়েছিল। কিন্তু পরে এর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এর কারণও তৎকালীন পাক সরকারের অনুমতি না পাওয়া। ভাষা আন্দোলন নিয়ে চলচ্চিত্র তেমন নির্মিত হয়নি কেন? এ প্রসঙ্গে জানতে দুজন প্রখ্যাত নির্মাতার সঙ্গে কথা হয় মেলার

‘প্রথমত উদ্যোগের অভাব, এরপর অর্থের অভাব’
মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র নির্মাতা

ভাষা আন্দোলন কেন্দ্রিক ছবির গল্প নিয়ে ছবি নির্মাণে প্রযোজকরা সেভাবে এগিয়ে আসছেন না। আর একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে সাধারণত সে রকম সুন্দর গল্পও আমরা দেখি না। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক গল্প আছে। এছাড়া সাধারণত ভাষা আন্দোলন নিয়ে যে গল্প কিংবা উপন্যাস রচিত হয়েছে, তা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের আগ্রহবোধটি অনেকের মধ্যেই নেই। এটি অলাভজনক একটি বিষয়। তবে ‘ভাষা আন্দোলন’ কেন্দ্রিক চলচ্চিত্র নির্মাণে কিছু চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু আমাদের চলচ্চিত্রের বিশাল যে ভাণ্ডার সেটি সমৃদ্ধ করতে পারেনি। প্রথমত উদ্যোগের অভাব, এরপর অর্থের অভাব। সরকার ছবি নির্মাণের জন্য অনুদান দিচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয় ভাষা আন্দোলন কেন্দ্রিক সে রকম কোনো চিত্রনাট্য খুঁজে পাচ্ছে না।

‘কয়েকগুণ টাকা বেশি খরচ করতে হবে’
নাসির উদ্দিন বাচ্চু, চলচ্চিত্র নির্মাতা

ব্যক্তি উদ্যোগে ভাষা আন্দোলনের চলচ্চিত্র নির্মাণ করা সম্ভব নয়। ভাষা আন্দোলনের চলচ্চিত্র নির্মাণ ব্যয়বহুল। কারণ গেরিলা করতে গিয়ে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। স্ত্রীর ফ্ল্যাট, মেয়ের টাকা, আমার কাছে যা ছিল সেই টাকা, এমনকি বন্ধু-আত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছি। যা এখনো ফেরত আনতে পারিনি। গেরিলা ছবিতে মাত্র কয়েকটি দৃশ্য করতে গিয়েই আমার এত টাকা চলে গেছে। এখন যদি ’৫২ সালের ভাষা আন্দোলন নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করি, সেই পরিবেশ ফুটিয়ে তুলতে চাই, তাতে আরো কয়েকগুণ টাকা বেশি খরচ করতে হবে। যা ব্যক্তি উদ্যোগে করা সম্ভব নয়।

:: মেলা প্রতিবেদক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়