দেয়ালচাপা পড়ে শ্রমিক নিহত

আগের সংবাদ

জাপানযাত্রা ঠেকালেন মন্ত্রী

পরের সংবাদ

আসুন আদর্শ রাজনীতির স্বপ্ন দেখি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪ , ১:০২ পূর্বাহ্ণ

রাজা আসে-যায়, রাজা বদলায়; আবার রাজার জামার রংও বদলায়। এসব হলো রাজনীতির চেনা বিষয়, বারবার ফিরে আসার বিষয়। এসব নিয়ে খুব চিন্তা করার সুযোগ নেই। কিন্তু চিন্তা হয়, যখন সারা পৃথিবীতেই বস্তুবাদী বা ভোগবাদী জীবনদর্শনের আধিপত্য বৃদ্ধি পায়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অধিকাংশ মানুষ যা চাইছে, তা-ই দিতে চাইবে গণতান্ত্রিক সরকার। প্রশ্ন হলো- সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যদি বস্তুবাদী কিংবা ভোগবাদী হয়ে ওঠে, তবে সরকারের চরিত্রে আদর্শের লক্ষণ দেখব কেমন করে? দেশের রাজনীতিতে আদর্শের মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ হলো এই বস্তুবাদী মানুষের আধিক্য। বস্তুবাদী মানুষের কাছে আদর্শের দেশ সেটাই, যার জাতীয় আয় সবচেয়ে বেশি। দেশ হিসেবে আমরা কতখানি উন্নত- অনেকের কাছেই এটি মাপার মাপকাঠি হলো, দুনিয়ার শক্তিশালী দেশগুলো আমাদের শক্তিশালী ভাবছে কিনা। এক্ষেত্রে মাথাপিছু আয়, বণ্টনব্যবস্থার সমস্যা, বৈষম্য- এসবই গৌণ হয়ে পড়ে। বস্তুবাদী সমাজকে খুশি রাখতে এবং বস্তুবাদী মানুষের ভোট পেতে রাষ্ট্র নাগরিককে প্রত্যক্ষ অর্থ সাহায্য কিংবা সুনির্দিষ্ট আর্থিক উপযোগিতাস¤পন্ন প্রকল্প হাতে নেয়াই শ্রেয় বলে মনে করে। কেননা, তা-ই মানুষের পছন্দ এবং তাতেই মানুষ তাদের ভোট দেবে। বস্তুনিরপেক্ষ আদর্শ রাজনীতি আর এই বস্তুবাদী সমাজব্যবস্থার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না। রাজনীতিতে তাই আদর্শের আর কোনো স্থান থাকছে না।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর কোনো আদর্শের কথা কেউ জানতে চায় না এখন। এখানে আদর্শের হাত ধরে রাজনীতি করারও কোনো সুযোগ নেই বর্তমানে। আদর্শের কথা বলে, ব্যাখ্যা করে, আদর্শের পথে হাজার মাইল পথ হেঁটে এখন আর এখানে নেতা তৈরি হতে পারে না কিংবা কোনো নেতাকর্মী জোগাড় করতে পারে না। কর্মী-সমর্থক শুধু তাকিয়ে থাকে- কোথায় গেলে, কোন পথে গেলে তাদের ভোগবাদী আকাক্সক্ষার ভালো জোগান হবে। রাজনীতিতে তাই জ্ঞান বা চর্চার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। একবার ওই রাজার সিংহাসনে বসে যেতে পারলেই হলো, ভোগবিলাসের সংস্থান করার বিনিময়ে দলে জুটে যাবে বস্তুবাদী সমর্থকরা। এহেন রাজনীতিতে শুধু চলে অর্থের খেলা। তাই অর্থশালী মানুষই রাজনীতির মাঠে ভিড় জমায়। অর্থ দিয়ে কিনে নেয়া যায় মানুষের জমায়েত, মানুষের ভোট। আদর্শবাদী গরিব নেতা কোনো একসময় ছিটকে পড়ে রাজনীতির সাইড ট্র্যাকে। সেখানে পয়সাওয়ালা লোকটি দখল করে নেয় চেয়ারটি। রাজনীতি তার বোঝার ব্যাপার নয়, বুঝাবার ব্যাপার নয়। তাই তার রাজনৈতিক শিক্ষা, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কোনো কিছুরই প্রয়োজন পড়ছে না- শুধু প্রয়োজন পড়ছে অর্থের। অর্থ ছিটাতে এবং অর্থ দিয়ে কিনে নিতে তার যোগ্যতা আছে কিনা, বিবেচ্য বিষয় শুধু সেটুকুই। তাইতো বাংলাদেশের মতো রাজনীতিসচেতন মানুষের মাঝেও ব্যবসায়ী শ্রেণি এবং বিত্তশালী শ্রেণি রাজনীতির গোল চক্করে।
ব্যবসা ভালো যাচ্ছে- সুতরাং তার পরবর্তী চিন্তা ব্যবসা সম্প্রসারণ নয়, বরং রাজনীতিতে প্রবেশ। সরকারি আমলা ছিলেন এবং অর্থ সংগ্রহ আছে অন্যায় পথে। নতুন চাকরি নয়, প্রবেশ হয়ে যায় তার রাজনীতির মাঠে। অঞ্চলে ব্যাপক দুর্নাম চাঁদাবাজি আর মাস্তানির। বেশ কিছুটা পয়সা হাতে আসতেই ভোল পাল্টে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়ার স্বপ্ন এসে যায় তার মনে। রাজনীতিবিদের সন্তান কিংবা আত্মীয়স্বজন অপেক্ষায় থাকে, কখন তাদের অভিভাবকের মৃত্যু হবে এবং তারা রাজনীতির রশি টেনে ধরবে। এসব বস্তুবাদী শ্রেণির হাতেই রাজনীতির নেতৃত্ব এখন গুমড়ে মরছে। রাজনীতি চর্চা করে রাজনীতিবিদ হওয়ার পথ ক্রমশই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, ধীরে ধীরে তা মেরামতের বাইরে চলে যাচ্ছে। যে পার্লামেন্ট মূলত আলোচনার জায়গা, সেই পার্লামেন্টই হয়ে দাঁড়াচ্ছে ব্যবসা আর অর্থের বিনিময় মিলনকেন্দ্রে। সংসদ এখন আর আইন পাস করার জন্য আলোচনা করে না; আলোচনা করা কিংবা শোনার ধৈর্যও অনেক সংসদ সদস্যের নেই। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কিংবা পলিসি নয়, বরং অর্থের উৎস খোঁজার পথেই ব্যস্ত অধিকাংশ সংসদ সদস্য। কেননা, তাদের জীবনের চাওয়া-পাওয়া এবং ভোগবাদী জনগণের চাহিদার ঠিকানা কোনো আদর্শের মধ্যে নিহিত নেই; নিহিত আছে অর্থের সন্ধানে। তাই পার্লামেন্ট হয়ে উঠেছে অর্থ আর ব্যবসা সম্প্রসারণের কেন্দ্র।
কেন এমনটা হলো এবং কেন সব রাজনৈতিক দলই এমন পরিস্থিতি মেনে নিল- সে প্রশ্ন করে লাভ নেই! তাইতো হওয়ার কথা। বস্তুবাদী মানুষের চাহিদা তো তেমনই- অর্থ আর আর্থিক সুবিধা। কিন্তু এই মানুষের মধ্যে একটি শ্রেণি আছে, যাদের কথা এখনো জানা যায়নি। চল্লিশোর্ধ্ব মানুষের খবর সবাই রাখে, রাজনীতিও রাখে। ২৪ থেকে ৪০ পর্যন্ত বয়সিদের কথাও অল্পবিস্তর জানার-বোঝার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু ২৩ বছরের নিচে যাদের বয়স, তাদের মনে কি শুধুই ভোগবাদী আকাক্সক্ষা? সমীক্ষা হওয়া উচিত সেখানেই। বস্তুবাদী রাজনীতি প্রবীণদের মাঝে প্রভাব ফেললেও এই তরুণদের মাঝে কী বলছে, তা নতুন করে অনুধাবন করার প্রয়োজন রয়েছে। আগ্রাসী রাজনীতির প্রতি, ভোগবাদী রাজনীতির প্রতি কমবয়সি মানুষের আগ্রহ ক্রমশ কমছে অন্যান্য দেশে। বিভিন্ন সমীক্ষায় এ তথ্য বের হয়ে আসছে। ভোট রাজনীতিতে নতুনদের অনাস্থা বাড়ছে। তারা ভোট দিতে চায় না। রাজনীতির এ বেহাল চেহারাটা তাদের পছন্দ নয়। সমীক্ষা করলেই বাংলাদেশে এর প্রমাণ মিলবে। কেননা, একজন ১৮ বছরের তরুণ কিংবা তরুণী যেভাবে তার পৃথিবী, সমাজ, কর্মজগৎ বা রাজনীতিকে দেখে, একজন ৬৫ বছরের প্রবীণ কখনো সেভাবে দেখবে না। ভাবনার ফারাক আছে সেখানেই। প্রবীণের জীবনের ওঠা-পড়া, মেলামেশার পরিধি, অভিজ্ঞতা, পারিবারিক প্রয়োজন- এসব কিছুর ওপর নির্ভর করেই তার ভাবনা-চিন্তার রং বদলায়। কিন্তু তরুণের এসবের সংমিশ্রণের সুযোগ থাকে না। তার চোখে তখনো আদর্শের জায়গাটি অক্ষত থাকার সুযোগ পায়। এই তরুণদের দিয়েই আগামী রাজনীতি গড়তে পারলে হয়তো আবার আদর্শের রাজনীতি ফিরে আসতে পারে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেশ দাপটের সঙ্গেই ক্ষমতায় আছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। মুজিবকন্যার ক্যারিশমায় কার্যত নিশ্চিহ্ন বিরোধীরা। কিন্তু সেই দলেও বস্তুবাদী রাজনীতির জয়জয়কার। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে তিনিও তার দলীয় রাজনীতিতে একের পর এক আর্থিক বিবেচনাই স্থান দিতে বাধ্য হয়েছেন। কেননা, ভোটে পাস করার সবচেয়ে বড় অস্ত্র এখন অর্থ। তাই অর্থের জোগান যারা বেশি বেশি দিতে পারবে, বেছে বেছে তাদেরই তিনি ভোটের মাঠে পাঠিয়েছেন। ঠিক একই অবস্থা বিরোধী দল বিএনপিরও। সেখানেও প্রাধান্য পাচ্ছে পয়সাওয়ালা রাজনীতিবিদদের দৌড়। ভোগবাদী জনতার চাহিদা যে তেমনই। সেই চাহিদাকে মূল্য দিতে হচ্ছে তাদেরও। তবে গত ৭ জানুয়ারি ২০২৪-এর নির্বাচনটি নতুন করে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সরকারি দলের মুখ্য প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির নির্বাচন বয়কট করা, বিএনপিপ্রধান খালেদা জিয়ার দীর্ঘ গৃহবন্দিত্ব, তার দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করা, প্রশাসন আর পুলিশের আতঙ্কে তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঘরছাড়া হওয়া, প্রায় একদলীয় একটি নির্বাচনে সরকারি দলের ক্ষমতা গ্রহণ- সবকিছুই প্রশ্ন হয়ে আছে বাংলাদেশের রাজনীতি অঙ্গনে। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের এ দুটি নির্বাচনের প্রশ্ন ভুলে যাওয়ার আগেই নতুন প্রশ্ন নিয়ে এসেছে ২০২৪-এর নির্বাচন। গণতন্ত্রের দিক থেকে নিশ্চয়ই এমন একদলীয় নির্বাচন এবং শাসন কাম্য নয়। বিরোধী আসন ফাঁকা থাকবে- তাই সরকারি মহলের জবাবদিহিতার প্রশ্ন উঠবে না। নেতার কথা তখন পার্লামেন্টের শেষ কথা হয়ে যাবে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে রাজনীতির আঘাতের পরিষ্কার চিহ্ন পড়েছে অর্থনীতির বুকে। দলীয় সংগঠন বলতে এখন শুধু অর্থবান মানুষের ক্ষমতাবৃদ্ধির মঞ্চ। গণতন্ত্রের অবক্ষয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সবার স্বাধীনতা সমর্পিত হয়েছে এক নেতার চরণে। এতে জন্ম হয়েছে মহান নেতার, কিন্তু মৃত্যু ঘটেছে গণতন্ত্রের।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বয়স হয়েছে। আর বেশিদিন তার পক্ষে রাজনীতিতে সচল থাকা সম্ভব হবে না। তার উত্তরসূরি খোঁজার চরম সময় এটা। তিনি কী ভাবছেন, তা বলার উপায় নেই। কেননা, তিনি কখনো এ ব্যাপারে মুখ খুলেননি। তবে বাংলাদেশের রাজনীতির ধারা অনুযায়ী অনুমান করা যায়, শেখ হাসিনার পর তার নিকটতম কোনো আত্মীয়ই নৌকার হাল ধরবেন। তার রাজনীতিতে এরপরে ক্ষমতায় আসার মতো রাজনীতিবিদ এখনো তৈরি হতে পারেনি। তিনি সেভাবে কাউকে তৈরি করার সুযোগ করে দেননি। সঙ্গত কারণেই ভাবতে হবে তার পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে কাউকে। তার বোন শেখ রেহানা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এদের কেউই রাজনীতিতে এখনো সক্রিয় নন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কারো কোনো রাজনৈতিক অবদান নেই। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচারে সেই রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার চেয়ে রক্তের স¤পর্কের ইমোশনের মূল্য অনেক বেশি এমনটাই প্রমাণিত। তাই ধরে নেয়া যাচ্ছে, হাসিনার পরের কাণ্ডারি এই তিনজনের মধ্যে একজন হবেন। শেখ রেহানার বয়স হয়েছে এবং তিনি রাজনীতিতে অগ্রহী এমন ইঙ্গিত কখনো দেননি। বাকি থাকল জয় এবং পুতুল। জয়কে একসময় মনে হয়েছিল এগিয়ে নেয়া হচ্ছে এবং তাকে গত সরকারের সময় আইসিটি ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক উপদেষ্টাও নিয়োগ করা হয়েছিল। এবারের সরকারও জয়কে অবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা নিয়োগ করেছে। তবে এবারের নির্বাচনের আগে ও পরে তাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে উপস্থিত দেখা যায়নি। অপরদিকে পুতুল জাতিসংঘের দূত হয়ে নারী ও শিশুদের জন্য কাজ করছেন। জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে হাসিনার সঙ্গী ছিলেন তিনি। সেখানে আলাদা করে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকেও দেখা গিয়েছে পুতুলকে। আসিয়ান সম্মেলনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও পুতুল ইন্দোনেশিয়া সফর করেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের সময়ও দেখা গিয়েছে পুতুলকে। গত বছর জি-২০ সম্মেলনেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় উপস্থিত ছিলেন পুতুল। তবে কি হাসিনাকন্যা পুতুলই হাসিনার উত্তরসূরি, নাকি জয়? উত্তরটা এ সময়ে থাকুক সময়ের অজানা লকারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে এখন বরং বলা যাক- সময়ই ঠিক করে দেবে, তার পর কে! বিএনপির বর্তমান নির্ধারক তারেক রহমান বয়সে তরুণ। তার সামনে অফুরন্ত সময়। তাদের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে নতুন ব্যক্তির প্রয়োজন নেই, তার হাত ধরেই আসতে পারে। লন্ডনে থেকে তিনি উন্নত একটি দেশের সমাজ এবং রাজনীতি দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। সেই অভিজ্ঞতা তিনি বিএনপির রাজনীতিতে কাজে লাগাতে পারেন। তারেক, পুতুল কিংবা জয়- যেই হোক, এদের কাছে আবেদন করার সুযোগ থাকবে আগামী প্রজন্মের পক্ষ থেকে। পুতুলের অনেকটা সময় কেটেছে কানাডাতে এবং জয়ের পুরো সময়টাই কেটেছে আমেরিকাতে। দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে তারা একটি সভ্য দেশের আধুনিক সমাজব্যবস্থাকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। সেই বিচারে যদি তারা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে পারেন, তবে হয়তো আগামী দিনের রাজনীতির সঙ্গে তারা সুবিচার করতে পারবেন। দেশে দেশে আজ ভোগবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে মতবাদ তীব্র হচ্ছে। বাংলাদেশেও আগামী দিনে এদের কারো হাত ধরে বস্তুবাদী রাজনীতির জায়গায় আদর্শের রাজনীতির মঞ্চ আলোকিত হোক, এই ভরসা রাখতে চাই।

সুধীর সাহা, কলাম লেখক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়