কাগজ প্রতিবেদক : মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতির প্রভাব যদি বাংলাদেশে আসে তাহলে সরকার চুপ করে বসে থাকবে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির একটা প্রভাব আমাদের স্থল ও নৌবন্দরে পড়ার কোনো আশঙ্কা আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অবশ্যই যে কোনো সংঘাত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করে। এখন মিয়ানমারে যেটা হচ্ছে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা তাদের সরকারের সঙ্গে, অন্য কারো সঙ্গে নয়। তাদের অভ্যন্তরে যে সংঘাতটা হচ্ছে সেটা তাদের সরকার দেখবে বা সমাধান করবে। তা বাংলাদেশ সরকারের সমাধানের বিষয় না। তবে এর প্রভাব যদি বাংলাদেশে আসে তাহলে বাংলাদেশ চুপ করে বসে থাকবে না।
মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে টেকনাফ বন্দরে পণ্য আনা-নেয়ায় কোনো প্রভাব পড়েছে কিনা- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো প্রভাব বা কর্মকাণ্ডে কোনো রকমের বিঘœ ঘটার সংবাদ আমাদের কাছে নেই। আমাদের নৌ ও স্থলবন্দরগুলোয় অতিরিক্ত কোনো সতর্কতা বা নিরাপত্তা নেয়া হবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিয়ানমারের পুরো সীমান্ত এলাকা সতর্ক নজরদারিতে আছে। বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
নৌ যোগাযোগ বাড়াতে নদী খননের প্রকল্পগুলোর কী অবস্থা- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ঘাঘর ও বংশী নদী খনন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আরো কিছু কিছু নদী খনন পাইপলাইনে আছে। যেমন ভারতের ত্রিপুরার সঙ্গে যুক্ত গোমতী নদী। এছাড়া যেসব নদী নাব্য সংকটে আছে সেগুলোয় ড্রেজিংয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের পণ্যগুলোর মধ্যে তৈরি পোশাক, ফুড আইটেম, প্লাস্টিক, চামড়াসহ অনেক পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে থাইল্যান্ডে। এগুলো নিয়ে রাষ্ট্রদূত আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যাতে পরিমাণ আরো বাড়ে। একদিন পরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। সেখানেও এসব বিষয়ে আলোচনা করবেন।