স্মার্টফোনের বাজার দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ইলেকট্রনিক বর্জ্য। পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে কার্বন-ডাই-অক্সাইডসহ বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান। ইলেকট্রনিক বর্জ্যরে একটি বড় অংশ স্মার্টফোনকেন্দ্রিক এবং প্রতি বছর এর পরিমাণ বাড়ছে। গিজচায়নায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ই-বর্জ্যরে পরিমাণ কমাতে ব্যবহৃত ও রিফারবিশড স্মার্টফোনের বাজার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে এসব স্মার্টফোন টেকসই সমাধান নিশ্চিতে সক্ষম হবে কিনা সেটি নিয়েও আলোচনা চলছে। রিফারবিশড স্মার্টফোন মূলত পুরনো বা ব্যবহৃত ডিভাইস। যেগুলো মেরামতসহ বিভিন্ন ধাপে সংস্কার হয়ে পুনরায় বিক্রির জন্য বাজারে আসে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বেশকিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইলেকট্রনিক বর্জ্যরে পরিমাণ কমানো ও এর পুনর্ব্যবহার। প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহের কারণে নতুন ডিভাইস কেনা হচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার (ইপিএ) তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে ৮০ লাখ টন ই-বর্জ্য তৈরি হয়েছে এবং এর মাত্র ১৭ শতাংশ রিসাইকেল করা হয়েছে। ই-বর্জ্যরে কারণে মাটি ও পানিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশে দূষিত করছে এবং পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এদিক থেকে ব্যবহৃত সেলফোনের বাজার ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। মেরামতের মাধ্যম সারিয়ে তোলা পুরনো ডিভাইস কেনার মাধ্যমে প্রথমত ই-বর্জ্যরে হার কমানো সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া এ স্মার্টফোনগুলোকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নতুনের মতো করে তোলা হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, ব্যবহৃত ডিভাইস কেনা হলে ৮০ শতাংশ কম কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হয় এবং নতুন ডিভাইসের তুলনায় কাঁচামাল ব্যবহার ৯০ শতাংশ কমে আসবে। দ্বিতীয় দিক হচ্ছে দামের বিষয়। প্রি-ওনড ডিভাইসগুলো কেনার ক্ষেত্রে নতুন স্মার্টফোনের তুলনায় কম দামে পাওয়া যায়। যে কারণে নতুনের পরিবর্তে এখন অনেকেই বাজেট বিবেচনায় পুরনো স্মার্টফোন কিনে থাকে। তবে ডিভাইস কেনার ক্ষেত্রে সার্ভিস ওয়ারেন্টি ও কন্ডিশন বুঝে নেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। ব্যবহৃত স্মার্টফোনের গুণগত মান নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে স্মার্টফোনের এ খাতটি বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। সূত্র: গিজচায়না
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।