মার্কিন চার সিনেটরের বিবৃতি : সহিংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান

আগের সংবাদ

প্রাধান্য পাবে আর্থ-কূটনীতি

পরের সংবাদ

ঘুষের টাকা ফেরত দিয়ে মুক্তি পেলেন মাদ্রাসা সভাপতি : মধ্যনগরে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : মধ্যনগরের নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তিনি ওই মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগের জন্য চার লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। পরে চাকরি দিতে না পারায় বিক্ষুব্ধ প্রার্থী ও তার স্বজনরা মাদ্রাসার একটি কক্ষে তাকে আটক করে রাখেন। প্রায় তিনঘণ্টা আটক থাকার পরে বাড়ি থেকে টাকা এনে ফেরত দিয়ে মুক্তি পান সভাপতি। গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শামীম নামে এক প্রার্থীকে নৈশপ্রহরীর চাকরি দেবেন বলে চার লাখ টাকা নেন মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুস সালাম। কিন্তু চাকরি দিতে না পারায় শামীমের স্বজনরা সালামকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটক করে ঘুষের টাকা ফেরত চান। পরে লোক মারফত বাড়ি থেকে চার লাখ টাকা এনে ফেরত দিয়ে মুক্তি পান সভাপতি।
আয়া পদে চাকরি প্রার্থী আরিফা আক্তারের পিতা ইসলাম উদ্দিন বলেন, আমার মেয়ের লিখিত পরীক্ষা ভালো হয়েছিল। পরে মৌখিক পরীক্ষায় সভাপতির ইঙ্গিতে অকৃতকার্য দেখিয়ে টাকার বিনিময়ে অন্য একজনকে চাকরি দেয়া হয়েছে। সবকটি পদেই ঘুষের লেনদেন হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছেন ওই সভাপতি।
আব্দুস সালাম বলেন, আমার খালুশশুর নূরুল হক তার আপন ভাগ্নে নৈশপ্রহরী পদে চাকরি প্রার্থী শামীমের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। চাকুরী না পাওয়ায় ওই টাকার জন্য শামীম ও তার আত্মীয়স্বজনরা আমাকে চাপ দিলে আমি সম্মান রক্ষায় টাকা ফেরত দিই।
নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারিন্টেনডেন্ট মো. শহিদুল্লাহ বলেন, নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পরই আমি বাড়িতে চলে আসি। সভাপতির সঙ্গে কি ঘটেছে জানি না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়