রুশ রাষ্ট্রদূত : বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা নয়

আগের সংবাদ

স্বতন্ত্রের চাপে নৌকার প্রার্থীরা

পরের সংবাদ

পাসপোর্টের সেবা নিশ্চিতে কাজ করছেন সব কর্মকর্তা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান : পাসপোর্টের সেবা নিশ্চিতে প্রধান কার্যালয় থেকে শুরু করে সব আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। আর এখন অনেকটা ভোগান্তি ছাড়াই আবেনকারীরা নির্বিঘেœ তাদের পাসপোর্ট জমা ও উত্তোলন করতে পারছেন এমনটাই সরজমিন দেখা গেছে। গতকাল বুধবার বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস আগারগাঁওয়ে এক হাজার ৮৪ জন পাসপোর্ট আবেদনকারী জমা দেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে আবেদন ফরমে নানা ধরনের ঘাটতি থাকে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা এক প্রশ্নের জবাবে ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা নির্বিঘেœ পাসপোর্ট সেবা দিতে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এখানে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, দিন যত গড়াচ্ছে আমাদের কাজের গতিও তত বাড়ছে। আবেদনকারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়লে আমাদের সেবা দিতে সুবিধা হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একজন অপ্রাপ্ত বয়স্কের জন্মসনদ ও প্রাপ্তবয়স্কের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র। এই দুইয়ের মিল রেখে আবেদন জমা দিলে সে সময়মতো তার অবশ্যই কাক্সিক্ষত সেবা পাবেন বলে জানান তিনি।
নিত্যদিনে এসব সমস্যার সমাধান কীভাবে হচ্ছে তা জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কর্মকর্তা ভোরের কাগজকে জানান আবেদনকারীর কিছু সমস্যার কথা। এমআরপির মেয়াদ শেষে যারা ই-পাসপোর্ট করতে আসছেন তাদের তথ্যে কী ধরনের গরমিল দেখছেন জানতে চাইলে তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা দেখছি জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে তার আগের দেয়া পাসপোর্টের তথ্যের সঙ্গে যথেষ্ট গরমিল রয়েছে। আর এই গরমিলের কারণে আমাদের যে অটো-সফটওয়ার রয়েছে সেখানে গিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আটকা পড়ে যাচ্ছে। আবার দেখা গেছে অনেকে এমআরপি পাসপোর্ট করেছেন জন্মসনদে এক বয়স দিয়ে। পরবর্তী সময়ে ওই একই ব্যক্তি আবার পাসপোর্ট করতে এসেছেন তার জাতীয় পরিচয়পত্রে দেয়া তথ্যানুযায়ী সেখানে বয়সের ব্যবধান রয়েছে। ফলে দেখা গেছে জন্মসনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম, মায়ের নাম, বাবার ও জন্ম তারিখ ভিন্ন। এই সমস্যার কারণে প্রতিনিয়ত আমাদের অফিসে আবেদনকারীরা ভিড় করছে। এসব সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, আবেদনকারীর নিজের সঠিক নাম, বয়স, বাবা ও মায়ের নাম আবেদনে থাকলে তাকে পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না। উপরন্তু আমাদেরও তেমন কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। সেবার গতি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
অপরদিকে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস ঢাকার এক কর্মকর্তা বলেন, অনেক আবেদনকারী তার নিজ জেলার স্থায়ী ঠিকানা গোপন করে ঢাকার ঠিকানা ব্যবহার করে আবেদন জমা দেন। ফলে ওই ঠিকানায় গিয়ে পুলিশ তাকে না পেয়ে বিপক্ষে প্রতিবেদন দেন। ওই আবেদনকারী এসে ভিড় জমান ও আমাদের অনেক সময় অহেতুক চার্জ করেন বলেও জানান এ কর্মকর্তা। ভোরের কাগজের অনুসন্ধানে এর সত্যতা খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে আবেদন জমা দিতে আসা মর্জিনা বেগমের (ছদ্মনাম) তথ্যে গরমিলের বিষয়টি। এর কারণ জানতে এ প্রতিবেদক কথা বলেন তার সঙ্গে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার আগের পাসপোর্টে নাম ছিল রহিমা বেগম, বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্রে আমার নাম মোসাম্মদ মোমেনা বেগম। আমি এখন পাসপোর্ট পেতে চাই মর্জিনা বেগম নামে। মর্জিনা বেগম নামে আপনাকে তো পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট দিতে পারবে না। তার কারণ আপনার তো আগের পাসপোর্টে নাম ছিল আমেনা বেগম, আর জাতীয় পরিচয়পত্রে আপনার নাম মোসাম্মদ রেহানা বেগম। তখন তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন আমি এতকিছু বুঝি না আমার পাসপোর্ট চাই। তার মতো শত শত আবেদনকারীকে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে ভিড় করতে দেখা যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়