রুশ রাষ্ট্রদূত : বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা নয়

আগের সংবাদ

স্বতন্ত্রের চাপে নৌকার প্রার্থীরা

পরের সংবাদ

পটিয়ায় দুই প্রার্থীর অনুসারীদের সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর অনুসারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার বিকালে পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে।
সামশুলের পক্ষের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, অতর্কিত হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৮টি গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি চাকা পাঙচার করে দেয়া হয়েছে। এ সময় প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তারা এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলামের অনুসারী নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন।

এদিকে পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা বলছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হকের অনুসারীরা নৌকার প্রার্থীর প্রচারণার সময় অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের কয়েকজন কর্মী-সমর্থক এ সময় আহত হন। গত ১৫ বছর ধরে এমপি সামশুল সাহেব তার বিরোধী নেতাকর্মীদের অনেকভাবে হয়রানি করেছেন। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে হামলা বিরোধী নেতাকর্মীদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে এবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। গত তিনবারের সংসদ সদস্য ও শেষবারে জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করা সামশুল হক চৌধুরী ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল হক চৌধুরী শারুন জানান, বিকাল ৪টার দিকে সামশুল হক চৌধুরী শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা বাজারে তাদের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর অতর্কিতে একটি মিছিল আসে। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ছিল। তারা গণসংযোগের বহরে থাকা ৭-৮টি গাড়ি ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। তিনি বলেন, ‘কাশিয়াইশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাশেমের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সমর্থক। মাইক্রোবাস-জিপসহ আমাদের ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রচারণা শুরুর প্রথমদিন থেকে আমাদের ওপর হামলা হচ্ছে। জিরি ইউনিয়নে আমাদের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা ইলেকটোরাল কমিটিকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।’ পটিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, এক প্রার্থীর গাড়িতে হামলার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র যুগ্ম জেলা জজ মহিবউল্লাহ, পটিয়ার ইউএনও, অ্যাডিশনাল এসপিসহ ঘটনাস্থলে গেছেন। প্রার্থী এখান থেকে নিরাপদে চলে গেছেন। আমরা সার্বিক বিষয় তদন্ত করে দেখছি। গত দুইদিনে তিনি দুইটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়