টিআইবি : গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য

আগের সংবাদ

জাদুর কাঠির ছোঁয়ায়! হলফনামায় দেয়া তথ্য > মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদ বেড়েছে ২ থেকে ২০০ গুণ পর্যন্ত

পরের সংবাদ

মাসা আমিনির পরিবার : পুরস্কার নিতে ফ্রান্সে যাওয়া আটকে দিল ইরান

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : মাসা আমিনির মরণোত্তর মানবাধিকার পুরস্কার নিতে ফ্রান্সে যেতে পারলেন না তার পরিবারের সদস্যরা। গত শনিবার পারিবারিক আইনজীবী বলেছেন, তাদের নির্ধারিত ফ্লাইটে উঠতে দেয়া হয়নি।
মাসা আমিনি ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মারা যান। ইরানে নারীদের জন্য নির্ধারিত কঠোর পোশাকবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে তাকে আটক করেছিল পুলিশ। মৃত্যুর সময় মাসার বয়স ছিল ২২ বছর।
মাসা আমিনির পরিবার ও সমর্থকেরা বলেছেন, তাকে পুলিশি হেফাজতে হত্যা করা হয়েছে। তবে ইরানি কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, পুরোনো একটি অজানা অসুখের কারণে মাসার মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছরের অক্টোবরে মাসা আমিনিকে মৃত্যুপরবর্তী শাখারভ পুরস্কার দেয়া হয়। এটি ইইউর সর্বোচ্চ মানবাধিকার পুরস্কার। মাসার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বৈশ্বিক আন্দোলনকেও যৌথভাবে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
গতকাল ফ্রান্সে মাসা আমিনির পরিবারের আইনজীবী শিরিন আরদাকানি বলেন, শাখারভ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিতে উড়োজাহাজের যে ফ্লাইটে করে আমিনির মা-বাবা ও ভাইয়ের ফ্রান্স যাওয়ার কথা ছিল, সেটিতে তাদের উঠতে দেয়া হয়নি।
আরদাকানি বলেন, বৈধ ভিসা থাকার পরও পরিবারটিকে ইরান ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। পাসপোর্টগুলো জব্দ করা হয়েছে।
এই আইনজীবী আরো বলেন, ‘আগে কখনো আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের সঙ্গে ভুক্তভোগী পরিবারকে কথা বলা ঠেকাতে ইরানি কর্তৃপক্ষকে এতটা সক্রিয় হতে দেখা যায়নি।’

মাসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। এর জেরে পরে ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ নামে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ আন্দোলন থেকে আহ্বান জানানো হয়, ইরান যেন নারীদের হিজাব পরার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করে এবং দেশটিতে যেন ‘মুসলিম ধর্মগুরুর নেতৃত্বাধীন’ সরকারের অবসান হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়