প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই জড়িত চিত্রনায়ক ফেরদৌস। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।
লড়বেন নৌকা প্রতীকে। কথা বললেন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে-
মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। আমার সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী নবীন-প্রবীণ রাজনীতিবিদ সবার কাছ থেকেই শুভেচ্ছা পাচ্ছি। ভীষণ ভালো লাগছে। আমাকে নিয়ে মানুষ এত উচ্ছ¡াস দেখাবেন, ভাবিনি। জনগণের পাশে দাঁড়ানোর সংকল্প নিয়ে কাজ শুরু করেছি। জনগণের ভালোবাসার প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করব। জনগণের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। আমার বিশ্বাস জনগণ আমাকে বিজয়ী করবে।
মনোনয়ন পাওয়ার পর আপনার
অনুভূতি কী ছিল?
প্রধানমন্ত্রী আমাকে যোগ্য মনে করেছেন। খুব ভালো একটি কেন্দ্রের মনোনয়ন দিয়েছেন। তার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। কৃতজ্ঞ আমার চারপাশের মানুষের প্রতি, যারা আমাকে সারাজীবন উৎসাহ দিয়ে গেছেন। আমার নতুন এ যাত্রায় সবাই পাশে থাকবে বলে বিশ্বাস করি।
হঠাৎ করে রাজনীতি অঙ্গনে পা রাখার
সিদ্ধান্ত নিলেন কেন?
আসলে আমার পেশা তো মানুষকে কেন্দ্র করেই। ঢাকার বাইরে শুটিং করার সময়েও প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। তাদের সুখ-দুঃখ কাছ থেকে দেখেছি। অভিনেতা হিসেবে একটা ছোট্ট কিছু করলেও তাদের মুখে হাসি ফুটতে দেখেছি। আমার সেটা খুব ভালো লাগে। তার পর যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্ত হলাম, তার সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে গেলাম, তখন দেখলাম কী সহজে তিনি মানুষের সঙ্গে মিশে যান! তার কাছে দেশের মানুষটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটা দেখে আমারও মনে হয়েছিল এ রকম কিছু করার কথা।
প্রচারণার কাজ কেমন চলছে?
শুরুতেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছি। সেখান থেকেই শুরু করেছি আমাদের কর্মসূচি। কারণ বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় আছি।
ভোটে জিতলে শুরুতেই কোন কাজগুলো করতে চান?
খুব শিগগিরই আমাদের নির্বাচনী ইস্তাহার এবং পরবর্তী সময় পদক্ষেপ স্থির করব। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে এখন প্রচুর উন্নয়ন হচ্ছে। আগামী দিনে তার থেকে নিশ্চয়ই একাধিক নির্দেশ পাব। তবে আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি একটা সুস্থ সমাজ গড়ে তোলার আবশ্যিক শর্ত। আমি এই দুটো ক্ষেত্রে আগে কাজ শুরু করতে চাই।
চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়নে কী ধরনের পরিকল্পনা আছে?
চলচ্চিত্র পরিবারই আমার সবচেয়ে আপন। যত মানুষ আমাকে চেনে, চলচ্চিত্রের জন্যই চেনে। তাই চলচ্চিত্রের জন্য যখন যে কাজে আমাকে প্রয়োজন হবে, আমি পাশে আছি, পাশে থাকব। একজন চলচ্চিত্রকর্মী হিসেবে বাংলা সিনেমাকে বিশ্বের দরবারে আরো উচ্চস্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
:: মেলা প্রতিবেদক
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।