৯৭ সহকারী জজ নিয়োগ

আগের সংবাদ

সমঝোতার সম্ভাবনা কী শেষ! বিশ্লেষকদের মতে, সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি > উদ্যোগ নিতে হবে দেশের ভেতর

পরের সংবাদ

নির্যাতিত উইঘুর মুসলিম : হারিয়েছে ঐতিহ্য সাংস্কৃতি ও ভাষা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বর্তমানে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর নাম উইঘুর। চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে থাকা এই মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো নির্যাতনের দৃশ্য প্রকাশ পায় না গণমাধ্যমেও। যদিও এক সময় ‘পূর্ব তুর্কিস্তান’ নামে স্বাধীন একটি দেশ ছিল তাদের। যা বর্তমানে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ। উইঘুররা মূলত তুর্কি বংশোদ্ভূত এবং তুর্কি ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত উইঘুর ভাষায় কথা বলে থাকেন। তাদের বর্ণমালা আরবি হরফে লিখা হয়। যদিও নিজেদের সংস্কৃতি ও ভাষার ওপর দখলদারিত্ব বজায় রাখতে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে অঞ্চলটির মুসলিমদের।
১৮৮৪ সালে চীনের মাঞ্চু রাজবংশের সঙ্গে দীর্ঘ আট বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীনতা হারায় পূর্ব তুর্কিস্তান। তারপরই অঞ্চলটির নামকরণ করা হয় জিনজিয়াং। চীনের কাছে স্বাধীনতা হারানোর পর উইঘুররা একে একে হারাতে থাকে নিজেদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। ১৯১১ সালে মাঞ্চু সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ১৯৩৩-৪৪ সালে দুবার স্বাধীনতা লাভ করে উইঘুররা।
এ সময় পূর্ব তুর্কিস্তান রিপাবলিক নামে একটি স্বাধীন দেশ গঠন করা হয়। তবে ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর বামপন্থি সেনাদের অভিযানে আবারও স্বাধীনতা হারায় উইঘুররা। বর্তমানে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলটিতে বাড়ছে চীনের হান জনগোষ্ঠীর বসবাস। মূলত মুসলিমদের সংখ্যালঘু করার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সেখানে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে চীন সরকার। ১৯৪৯ সালে পূর্ব তুর্কিস্তানে উইঘুর মুসলিমদের সংখ্যা ছিল ৯৫ শতাংশ, ১৯৮০ সালের মধ্যেই তা ৫৫ শতাংশে নেমে আসে। বর্তমানে নিজেদের ভূখণ্ডে উইঘুরদের হার প্রায় ৪৬ শতাংশ।
চীনের দখলে যাওয়ার পর থেকেই পূর্ব তুর্কিস্তান তথা জিনজিয়াংয়ে মুসলিমদের নিধন করতে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করে কমিউনিস্ট সরকার। ১৯৯০ সালে সেখানে এক ভয়াবহ দাঙ্গা উসকে দেয় চীন সরকার। পরে দাঙ্গার অভিযোগে গ্রেপ্তার ও হত্যা করা হয় কয়েক হাজার উইঘুর যুবকদের। সেই থেকে এখন পর্যন্ত উইঘুরদের দমনে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন। পরিবারের অধিকাংশ পুরুষকেই রাখা হয় পুনঃশিক্ষা কেন্দ্রে। সেখানে মুসলিম পরিচয় মুছে দিয়ে গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয় চীনা জাতীয়তাবাদ। নারীদের আটকে রেখে চালানো হয় নানা ধরনের যৌন নির্যাতন। নির্যাতন থেকে বাঁচতে কেউ পালিয়ে গেলে পরিবারের ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়্গ। শিশুদের পিতামাতা থেকে আলাদা করে পাঠানো হয় বিভিন্ন ক্যাম্পে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়