৯৭ সহকারী জজ নিয়োগ

আগের সংবাদ

সমঝোতার সম্ভাবনা কী শেষ! বিশ্লেষকদের মতে, সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি > উদ্যোগ নিতে হবে দেশের ভেতর

পরের সংবাদ

ছবির বেশির ভাগ শিশুই এখন স্মৃতি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চার বছর আগে গাজায় নিজ বাড়িতে ছবিটি তুলেছিলেন আহমেদ আল নাওক। দিনটি ছিল শুক্রবারের রৌদ্রোজ্জ্বল, অলস বিকাল। জলপাই গাছের ছায়ায় পরিবারের বাচ্চাদের ছুটোছুটিতে মুখরিত ছিল বাড়ির উঠান। বাচ্চাদের খাওয়াতে, গল্প করতে তাদের সঙ্গে ছিলেন নাওক ও তার ভাইবোনেরা। বাচ্চাদের সঙ্গে এই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন নাওক। এখন এসব কেবলই স্মৃতি।
ছবিতে থাকা সাতজন শিশুই এখন বেঁচে নেই। মৃতদের মধ্যে এমন ছোট শিশুও আছে, চার বছর আগের এই দিনে যাদের জন্ম হয়নি। গত ২২ অক্টোবর ইসরায়েলি বিমান হামলায় মারা গেছে নাওকের পরিবারের মা-বাবা ভাইবোন শিশুসহ ২১ জন। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি, ১৪ জন। কর্মসূত্রে চার বছর আগে যুক্তরাজ্য পাড়ি দেয়ায় জীবিত আছেন নাওক। নাওকদের বাড়িটি ছিল গাজার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র দেইর-আল-বালাহ শহরে। তাদের বাবার বানানো এই বাড়িতে ছেলে-মেয়েসহ বসবাস করতেন দুই বড় ভাই। যুদ্ধের শুরুর দিকেই বোন আয়ার বাড়িটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তাই সন্তানসহ বাবার বাড়িতে এসে উঠেছিলেন আয়া নিজেও। এমন খারাপ পরিস্থিতিতে আরো দুই বোন ওয়ালা এবং আলাও সন্তানসহ থাকছিলেন এই বাড়িতে। নাওক এবং তার পরিবার ভেবেছিল দেইর-আল-বালাহ এলাকাটি নিরাপদ। কারণ তখন পর্যন্ত এই এলাকায় কখনো হামলা হয়নি। ২২ অক্টোবর তাদের বাড়ির ওপর দিয়ে বিমান হামলা হয়। নিমিষেই ধ্বংস হয়ে যায় তাদের পরিবার। ঘটনার পর নিজে কেন আরো সতর্ক হলেন না, এখন নিজেকেই দোষারোপ করছে নাওক। বোমা হামলার ঘটনার পর মারা যাওয়া শিশুদের ছবি আলাদাভাবে অনলাইনে পোস্ট করে ঘটনার আদ্যপান্ত লিখেছেন নাওক। তাদের সঙ্গে কতটা নৃশংস ঘটনা ঘটেছে বিশ্বকে জানাতে চান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়