শেখ পরশ : চিরস্থায়ী খলনায়ক হিসেবে স্থান পাবে জিয়াউর রহমান

আগের সংবাদ

নির্বাচনী ট্রেনে বাংলাদেশ > রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে : রাষ্ট্রপতি

পরের সংবাদ

মাটির নিচে ‘প্রাচীনতম’ পিরামিড

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় পাহাড়ে ঘেরা অঞ্চল। চারদিক সবুজে ভরা। এর মধ্যে এদিক-ওদিক পড়ে আছে অসংখ্য রহস্যময় পাথর। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এটি পবিত্র স্থান। কিন্তু এর আসল মাহাত্ম্য এতদিন কেউই জানতেন না।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, মাটির নিচে লোকচক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে এক বিশাল পিরামিড। মিশরের পিরামিডের চেয়েও পুরোনো। স্টোনহেঞ্জের চেয়েও পুরোনো। সম্ভবত মানুষের তৈরি সবচেয়ে প্রাচীন মেগালিথিক (একাধিক বিশালাকারের পাথর দিয়ে তৈরি) স্থাপত্য। এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি ‘আর্কিওলজিক্যাল প্রসপেকশন’-এ প্রকাশিত হয়েছে।
নাম ‘গুনুং পাডাং’। স্থানীয় বাসিন্দারা এ ধরনের স্থাপত্যকে বলেন ‘পান্ডেন বেরুনডাক’। অর্থাৎ ধাপে ধাপে ওঠা পিরামিড। এ অঞ্চলে প্রতœতত্ত্ববিদদের পা পড়েছে বছর দশেক আগে। জায়গাটি এক মৃত আগ্নেয়গিরি। এর উর্বর লাভা মাটিতে প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছে। পাহাড়ের গায়ে সবুজ মোরামের নিচে যে চাপা পড়ে আছে সুপ্রাচীন স্থাপত্য, তা কেউ টেরই পাননি। প্রতœতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, মানুষের বুদ্ধি, প্রতিভা ও উৎকর্ষের প্রমাণ বহন করছে এই পিরামিড। যিশু খ্রিষ্টের জন্মেরও হাজার হাজার বছর আগে ওই মৃত আগ্নেয়গিরির মাথায় পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল। এর ভেতরে রয়েছে বৃহদাকার গুপ্ত কক্ষ। তবে তাতে কী রয়েছে, এখনো তা অজানা। স্থানীয় ভাষায় গুনুং পাডাং-এর অর্থ ‘জ্ঞানের পাহাড়’। প্রতœতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের পর বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোনো এক প্রাচীন মানবসভ্যতা আগ্নেয় পাথরের তৈরি পাহাড়ের গা কেটে এই স্থাপত্য তৈরি করেছিল। রেডিয়োকার্বন ডেটিংয়ের রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, শেষ তুষার যুগে তৈরি হয়েছিল এই স্থাপত্য, যিশু খ্রিষ্টের জন্মের আনুমানিক ১৬ হাজার থেকে ২৭ হাজার বছর আগে। এখন পর্যন্ত মানুষের জানা সবচেয়ে পুরোনো মেগালিথিক স্থাপত্য ‘গোবেকলি টেপে’ (বর্তমানে যা তুরস্কে)। সেটি তৈরি হয়েছিল ১১ হাজার বছর আগে।
দীর্ঘ গবেষণা ও প্রতœতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের পর রিপোর্টটি প্রকাশ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার ‘ন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন এজেন্সি’র বিশেষজ্ঞেরা। ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতœতত্ত্ববিদ, ভূতত্ত্ববিদ, ভূপদার্থবিদদের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে যান। তার পর চলে বিশ্লেষণ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়