রাজপথে সহিংসতা ও প্রাণহানিতে মর্মাহত ইইউ

আগের সংবাদ

খুনিদের সঙ্গে সংলাপ নয় : সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

রবীন্দ্র ঝলকে রঙিন বিশ্বকাপ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপে যদি উদীয়মান কোনো খেলোয়াড়ের নাম নিতে হয় তাহলে রাচিন রবীন্দ্রের নামই সবার আগে চলে আসবে। বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরির দেখা পান এই কিউই অলরাউন্ডার। তাও সেটি আসে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এবারের বিশ্বকাপে টপঅর্ডারে ব্যাট করার কোনো সুযোগই ছিল না তার। কিন্তু নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ইনজুরি তাকে সে সুযোগ করে দেয়। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে দুটি সেঞ্চুরি এবং দুটি হাফসেঞ্চুরি আসে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে। এছাড়াও ৮৮ দশমিক ২০ গড়ে মোট ৪০৬ রান করেন রাচিন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচেও করেন সেঞ্চুরি। তার করা এই ১১৬ রানের ওপর ভর করেই ৩৮৩ রান পর্যন্ত পৌঁছায় কিউইদের রান। এই ম্যাচে যদিও জিততে ব্যর্থ হয় নিউজিল্যান্ড। তারপরও চরম প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ হয় ম্যাচটি। এছাড়াও প্রথম ম্যাচে ইংলিশদের বিপক্ষেও অপরাজিত থাকেন ১২৩ রানে। ফিফটি পান নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচেও। বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচে আসে যথাক্রমে ৯ এবং ৩২ রান। এছাড়াও বল হাতে এখন পর্যন্ত ৩টি উইকেট তুলে নেন এই ভারতীয় বংশোভূত কিউই অলরাউন্ডার। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলেন রাচিন। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে আশানুরূপ পারফর্ম্যান্স করতে পারেননি তিনি। কিন্তু ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডে তার নিজের দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিরুদ্ধে ১১৭ রান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৭৬ রান করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। এছাড়াও ১৩টি উইকেট নিয়ে কিউইদের শীর্ষস্থানীয় উইকেট সংগ্রাহক হিসেবেও টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন তিনি। কিউইদের হয়ে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে। সেবার আশানুরূপ পারফর্ম্যান্স করতে পারেননি রাচিন। এ বছরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মার্চে ওয়ানডে অভিষেক হয় তার। মাত্র এক রানের জন্য সে ম্যাচে ফিফটি থেকে বঞ্চিত হন রবীন্দ্র। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ১৮ ম্যাচে ৪৫ দশমিক ৭৬ গড়ে ৫৯৫ রান করেন তিনি। আর বল হাতে নিয়েছেন ১৫টি উইকেট। ১৯৯৯ সালে অকল্যান্ডে জন্ম নেয়া ভারতীয় বংশোভূত এই ক্রিকেটারের পরিবার ৯০-এর দশকে বেঙ্গালুরু থেকে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তার বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তি ও মা দীপা কৃষ্ণমূর্তি। রবি পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হলেও একসময় ক্লাব ক্রিকেট খেলতেন। রবি-দীপা দম্পতির খুব পছন্দের ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড় ও শচীন টেন্ডুলকার। তাই রাহুলের ‘রা’ আর শচীন থেকে ‘চীন’ নিয়ে ছেলের নাম রেখেছেন তারা।
নাজমুস সাকিব আদিব

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়