৯ দাবি নিয়ে ‘কৃষক ক্ষেতমজুর গণমঞ্চের’ আত্মপ্রকাশ

আগের সংবাদ

গেমিং শিল্পে নজর সিঙ্গাপুরের

পরের সংবাদ

‘মনে রাখার মতো একটা কাজ করতেই ওয়ান ইলেভেনে যুক্ত হয়েছি’

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আবার বাংলাদেশ
বাংলাদেশের ছবিতে কাজ করার ইচ্ছা আমার প্রবল এবং সেটা বহু বছর ধরে। ২০০৮ সালে ‘সবার উপরে তুমি’ নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করি। বাণিজ্যিকধারার সেই ছবিটি পরিচালনা করেন এফ আই মানিক। যেখানে আমার সহশিল্পী ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান। এর মাঝে পার হয়েছে ১৫ বছর। বাংলাদেশের অনেক পরিচালক-প্রযোজকের সঙ্গে কথা হয়েছে, স্ক্রিপ্ট আদান-প্রদান হয়েছে, কিন্তু কাজটি করা হয়ে ওঠেনি, কেননা ব্যাটে-বলে হয়নি সবটা। আর বাংলাদেশের একটা কাজ করব, মনের মতো না হলে করব কেন।

ওয়ান ইলেভেন এবং আমি
পরিচালক কামরুল রিফাত ওয়ান ইলেভেনের গল্পটা আমাকে পাঠিয়েছিলেন ২০২১ সালে। কোভিডের এই পুরো যন্ত্রণার মধ্যেই আমি প্রথম গল্পটা পড়েছিলাম। সেই থেকেই রিফাত ও তার টিমের সঙ্গে আমার যোগাযোগ। আমি স্ক্রিপ্টের অনেকগুলো ড্রাফট পড়েছি, চরিত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে, জুম কলে অনেকগুলো মিটিং করেছি এবং একরকম মুগ্ধতার তৈরি হয়েছে পুরো গল্প, তারা যেভাবে শুটিং করতে চান, পুরো বিষয়টার সঙ্গে। একরকম মুগ্ধতা থেকেই কাজটা করতে চাওয়া।

এই আমি নতুন আমি
আমি সবসময় এমন চরিত্র করতে চাই যেগুলো আমি আগে কখনো করিনি। কারণ একই চরিত্রে অভিনয় করতে থাকলে দর্শক কেন আমাকে কিংবা আমার ছবি দেখতে চাইবে। গৎবাঁধা কোনো চরিত্র আমার পছন্দ না। যেসব চরিত্রে আমাকে দর্শক দেখে ফেলেছে, তেমন চরিত্রেও কাজ করব না। কারণ নিজেকে পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। সবসময় চাই একদম নতুনভাবে আমি দর্শকের সামনে আসব। সেটা নতুন চরিত্র হোক বা সাজ-পোশাক হোক, চেহারা হোক। ওয়ান ইলেভেন-এ আমার চরিত্রটা একদম নতুন। যেভাবে দর্শক আমাকে আগে কখনো দেখেনি। আমি অনেক খুশি যে ওয়ান ইলেভেনের মতো ভালো গল্পের একটা সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছি।

রাজনীতি, রহস্য ও জীবন
আমাদের জীবনটাতো রাজনীতির বাইরে নয় এবং রহস্যের বাইরেও নয়। আমরা সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে মনে হয় না বুঝতে পারি যে আমাদের দিনটা কীভাবে কাটবে। তেমনি রহস্য আমাদের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়েই থাকে সর্বদাই। তা সেটা ছবির ক্ষেত্রে হোক বা গল্পের ক্ষেত্রে হোক। না জানাটার মধ্যে একটা আনন্দ আছে, সেজন্য আপনারা যখন ‘ওয়ান ইলেভেন’ ছবিটা বড় পর্দায় দেখবেন কৌতূহল থাকবে। আমি আপতত এইটুকুই বলব যে সবকিছু মিশে আছে আমাদের জীবনের মতো।

নতুনের কেতনে
আমার তেইশ বছরের ক্যারিয়ারে মনে হয় আমি সবচেয়ে বেশি নতুন পরিচালক, নতুন প্রযোজকদের সঙ্গে কাজ করেছি। এরকম অনেক পরিচালক আছেন যাদের প্রথম ছবি আমার সঙ্গে হয়েছে। তাদের অনেকে এখন বোম্বে থাকেন, সেখানেও আমি আবার তাদের সঙ্গে কাজ করেছি। আর দেখুন সব প্রফেশনে সবারই একটা প্রথমদিন থাকে। আমার জীবনেও একটা প্রথমদিন ছিল, একটা প্রথম কাজ ছিল। আমি জানি যে নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে না চাওয়া ওই মানুষটার জন্য কতটা
কষ্টের।
বাংলাদেশের অভিনেতা
বাংলাদেশের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আমি বিশাল ভক্ত। তাদের অনেকেরই কাজ ফলো করি, ওটিটি প্লাটফর্মে এবং কলকাতায় হলে যে ছবিগুলো রিলিজ করে, সেগুলো দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে বসে থাকি। আফজাল হোসেনের সঙ্গে কাজ করাটাও একটি খুব বড় পাওনা। আফজাল হোসেন তো আছেনই, আমি প্রত্যেকের সঙ্গে কাজ করতেও ইচ্ছুক। আমার ভেতর একটা চাহিদা আছে, যে এতো বছর ধরে পশ্চিম বাংলায় কাজ করছি, বাংলাদেশে গিয়ে ও দেশের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করব। যা হবে একটা মনে রাখার মতো।

একটু বিরতি
বেশ কিছুদিন আগে ইনস্টাগ্রামে অসুস্থতার কথা জানিয়ে একটি ছবি শেয়ার করি। যেখানে ক্যাপশন দিয়েছিলাম ‘রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত নিতে আসা একজন মানুষের সঙ্গে কেমন রক্তের সম্পর্ক হয়ে যায় আমাদের। কত স্নেহ, মায়া, ভালোবাসা মিশে থাকে সেখানে। যা-ই হোক এখন আমি ভালো আছি। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে আমার একটা সার্জারি হয়েছিল। তারপর একমাস রেস্ট। বাড়িতেই ছিলাম। বেডরেস্ট তো আর হয় না, হোম রেস্ট হয়।

দুটি কথা
হুমায়ুন কবির বিশ্বাসের গল্পে ‘ওয়ান ইলেভেন’ চলচ্চিত্রটির সংলাপ লিখেছেন মোজাফফর হোসেন। চিত্রনাট্য সংশোধন ও পরিমার্জন করেছেন চলচ্চিত্রকার যুগল নূরুল আলম আতিক ও মাতিয়া বানু শুকু। আর চলচ্চিত্রটির নির্বাহী প্রযোজক রবিন শামস।

– মেলা প্রতিবেদক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়