বদলি হলেন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৫ কর্মকর্তা

আগের সংবাদ

বেলজিয়াম সফর শেষে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

পরের সংবাদ

৯ দাবি নিয়ে ‘কৃষক ক্ষেতমজুর গণমঞ্চের’ আত্মপ্রকাশ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কৃষক-মজুরদের অধিকার আদায়, সংকট নিরসন ও বর্তমান সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে ভোটাধিকার নিশ্চিতের ৯ দাবি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘কৃষক ক্ষেতমজুর গণমঞ্চ’। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটে কৃষক-মজুরদের ৬টি সংগঠনের এ রাজনৈতিক জোটের। ‘কৃষক খেতমজুর গণমঞ্চে’ এর অন্তর্ভুক্ত ৬টি সংগঠন হলো- বিপ্লবী কৃষক সংহতি, বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতি, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কৃষক লীগ, নাগরিক কৃষক ঐক্য ও ভাসানী কৃষক পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কৃষক ক্ষেতমজুর গণমঞ্চের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতির সভাপতি দেওয়ান আব্দুর রশিদ নিলু বলেন, ক্ষেতমজুরদের এখনো সারাবছর কাজের ব্যবস্থা নেই। সরকারের কর্মসৃজন প্রকল্পগুলোর বিশেষ কোনো কার্যকারিতা নেই। ভূমিহীনরা এখনো খাসজমির অধিকার থেকে বঞ্চিত। তিনি বলেন, কৃষিপণ্যের বাজারের ওপর তো কৃষকের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, এমনকি রাষ্ট্রেরও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বরং সরকার যেন বাজারের সময় বন্দোবস্ত সিন্ডিকেটের হাতে ছেড়ে দিয়ে রেখেছে। ফলে কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের লাভজনক মূল্য তো পাচ্ছেনই না, এমনকি ন্যূনতম উৎপাদন খরচটুকুও বাজার থেকে তুলে আনাটা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আধুনিকীকরণের অভাব, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির কারণে চিনিকলগুলো লাভজনক না হয়ে হয়েছে ক্ষতির বোঝা। ফলে অপূরণীয় অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন এ দেশের আখচাষিরা। একইসঙ্গে কৃষিতে করপোরেট পুঁজির আগ্রাসন, মধ্যস্বত্বভোগীদের সিন্ডিকেটের ফলে এ দেশের কৃষি ও কৃষক অন্যান্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি সংকটের মুখোমুখি।
এ সময় আব্দুর রশীদ ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- ফসলের লাভজনক দাম দিতে হবে, কৃষি উপকরণের দাম কমাতে হবে, কৃষিবান্ধব কৃষিপণ্য মূল্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করতে হবে, কৃষকদের জন্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কৃষি কার্ড দিতে হবে, কৃষিঋণ নিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে, বন্ধ করা পাটকল ও চিনিকল আধুনিকায়নের মাধ্যমে সরকারিভাবে চালু করাতে হবে, জাতীয় কমিশন গঠন করে ভূমিসংস্কার করতে হবে, নদী-হাওর-বিল-খালের ইজারা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে, ক্ষেতমজুর ও গ্রামীণ মজুরদের ১৫০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প চালু করাতে হবে, কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিদায় করে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে জবাবদিহিতামূলক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী কৃষক সংহতির সভাপতি আনছার আলী দুলাল, বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকবর খান, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি এ কে এম মিজানুর রশিদ চৌধুরী, নাগরিক কৃষক ঐক্যের সভাপতি মোফাখখারুল ইসলাম ও ভাসানী কৃষক পরিষদের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়