কাপাসিয়ায় গ্রেপ্তার ৭৬, বিএনপির দাবি শতাধিক

আগের সংবাদ

ভুল চালে ব্যাকফুটে বিএনপি : দিতে হচ্ছে সহিংসতার খেসারত > নতুন করে আন্দোলনে গতি ফেরানো কঠিন হবে

পরের সংবাদ

গেমিং শিল্পে নজর সিঙ্গাপুরের

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সম্ভাবনাময় ভিডিও গেমিং শিল্পে প্রবেশের চেষ্টা করছে সিঙ্গাপুর। বর্তমানে এ অঞ্চলের বাজারে প্রায় ২৭ কোটি গেমার রয়েছে। সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী অ্যালভিন ট্যান বৃহৎ এ বাজারের প্রতি নিজ দেশের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ গেমিং ট্রেড শো গেমসকম এশিয়া আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে সিঙ্গাপুর। সানটেক সিঙ্গাপুর কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে এবারের আয়োজনে অংশ নেবে প্রায় ৩০ হাজার গেমার ও গেম ডেভেলপার। ইনফোকম মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি গত অক্টোবরে প্রকাশিত একটি ডিজিটালাইজেশন প্রতিবেদন অনুসারে, সিঙ্গাপুরের ক্রমবর্ধমান গেমিং খাত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশটির ডিজিটাল অর্থনীতিতে দ্রুততম বর্ধমান খাত হয়ে উঠেছে এ শিল্প। খাতটি ২০১৭-২২ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এটি ই-কমার্স ও অনলাইনভিত্তিক অন্যান্য পরিষেবাগুলোর আয়কেও ছাড়িয়ে গেছে।
এবারের কনভেনশনে ‘?অ্যাসাসিনস ক্রিড মিরাজ’ ও ‘স্পাইডার-ম্যান ২’-এর মতো নতুন গেমগুলো দেখানো হবে জানিয়েছেন আয়োজকরা। এছাড়া জাপানি গেম ডেভেলপার ক্যাপকম তাদের স্ট্রিট ফাইটার ৬ টুর্নামেন্টের জন্য সিঙ্গাপুরকে বেছে নিয়েছে। আসন্ন বিশ্ব ফাইনালে পৌঁছানোর জন্য সানটেকের শত শত প্রতিযোগী খেলোয়াড় একত্রিত হয়েছে। অ্যালভিন ট্যান এশিয়ায় গেমিং ও ই-স্পোর্টস বাজারের জন্য সিঙ্গাপুরকে একটি সম্ভাবনাময় কেন্দ্র হিসেবে দেখছেন। তিনি জানান, এ অঞ্চলে বিশ্বের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি গেমার রয়েছে। স্ট্যাটিস্টার তথ্যানুযায়ী, সিঙ্গাপুরে ভিডিও গেম ও
ই-স্পোর্টস খাতে ২০২৩ সালে বার্ষিক ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং ২০২৭ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি দেখা যাবে বলে আশা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। সিঙ্গাপুরে গেমিং শিল্পের ভবিষ্যৎ আরো শক্তিশালী করতে চলতি বছরের জুনে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে অংশীদারত্ব চুক্তি করেছে দেশটি। জুনে প্রথম অলিম্পিক ই-স্পোর্টস সপ্তাহের আয়োজন করেছে তারা। ৬০টির বেশি দেশ ভার্চুয়ালি এ আয়োজনের ১০টি ইভেন্টে অংশ নিয়েছে। সিঙ্গাপুরের গেম ডেভেলপাররা দেশটির গেমিং খাতের প্রবৃদ্ধিতে বড় অবদান রাখছে। ফলে এ শিল্পের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে গেমিং ব্যবসায় প্রতিযোগিতা নিশ্চিতের পাশাপাশি গেমারদের ক্যারিয়ার গড়তে সহায়তার কথা জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। জার্মান গেমস ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লারস জ্যানসেন বলেন, ‘সিঙ্গাপুর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক গেমিং শিল্পের বাণিজ্য প্রদর্শনীর জন্য উপযুক্ত আয়োজক। গেমসকম শোর মাধ্যমে বড় গেমিং কোম্পানিগুলো ও ডেভেলপারদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে তারা।’
জ্যানসেন দ্য স্ট্রেইটস টাইমসকে জানান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহৎ বাজার ও গেমিং অবকাঠামোর কারণে সিঙ্গাপুর এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আশা করা যায়, গেমিং শিল্পের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। কিন্তু এটি কভিড-১৯ মহামারীর সময়ের মতো দ্রুত হবে না। জেনশিন ইমপ্যাক্টের মতো গেমিং স্টুডিও এখন সিঙ্গাপুরে চলে এসেছে। তারা মূলত এশিয়ার বাজারে নিজেদের একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের লাইট স্পিড স্টুডিও সফটওয়্যার বিকাশের জন্য সিঙ্গাপুরের জাতীয় এআই প্রোগ্রামের সঙ্গে চুক্তি করেছে। সামগ্রিকভাবে সিঙ্গাপুরের গেমিং শিল্প সমৃদ্ধ হচ্ছে। তবে স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত গেমগুলোর পাশাপাশি স্থানীয় গেম ডেভেলপারদের বাজার সম্প্রসারণের বিষয়টিও আলোচনায় আসছে। সূত্র: স্ট্রেইটস টাইমস

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়