নার্ভাস নাইনটিতে সবজির দাম

আগের সংবাদ

তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় এনে দেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র হচ্ছে

পরের সংবাদ

সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারনেট, রোবটিক্স ইত্যাদি আমাদের পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় এনেছে। তবে দূরত্ব কমিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব রেখেছে আধুনিক যানবাহন। আর এই আধুনিক যানবাহনগুলো এখন প্রতি মূহুর্তে আরও একটু সহজলভ্য হচ্ছে। তবে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সকল দেশেই দৈনন্দিন পথচলাতে যারা বাইক বা হালকা অথবা ভারী যানবাহন রাস্তাতে চালান তাদের ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স অনেক গুরুত্বপুর্ন বিষয়।
ইখতিয়ার রসুল

ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। মূলত একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য লাইসেন্স দেয়া হয় চালককে। বাংলাদেশের সড়ক আইন অনুযায়ী পেশাদার ও অপেশাদার দুই ক্যাটাগরিতে দেয়া হয় এই ডিজিটাল লাইসেন্স। তবে পূর্বে যাদের অপেশাদার লাইসেন্স ছিল তারা এখন সহজেই বিআরটিএ অফিসে না গিয়েই অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। নির্দিষ্ট ফির মাধ্যমে নেয়া যাবে ঘরে বসেই ডেলিভারি সুবিধাও। কার্ড হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিউআরকোড সহ মিলবে সহজেই ই লাইসেন্সও।
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করবেন কীভাবে
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বছর, আর অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ১০। চালক হিসেবে আপনি যে ধরনের লাইসেন্সধারীই হয়ে থাকুন না কেন, মেয়াদ শেষে দ্রুত নবায়ন করে নিন। সনদটি ছাড়া পথে নামলে ভুগতে হবে পদে পদে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ওয়েবসাইটে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নবিষয়ক কিছু তথ্য দেওয়া আছে। চলুন তথ্যগুলো জেনে নিই:

অপেশাদার
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদের নবায়নের সময় নতুন করে কোনো পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় না। তবে নবায়নের জন্য প্রথমে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। এ জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন ফি দিতে হবে ৪ হাজার ১৫২ টাকা। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর ১৫ দিন পার হয়ে গেলে প্রতিবছর হিসেবে ৫১৮ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
নবায়ন ফি জমা দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় কাগজসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।
আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্রে কোনো ত্রæটি না থাকলে সেদিনই আপনার ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙুলের ছাপ গ্রহণ করা হতে পারে। আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং সাপেক্ষে ফোনে বার্তার মাধ্যমে আপনাকে জানানো হবে।

পেশাদার
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদের নবায়নের সময় আবার একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই নবায়নের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন ফি ২ হাজার ৪২৭ টাকা। তবে লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ১৫ দিন পর আবেদন করলে প্রতিবছর হিসেবে ৫১৮ টাকা জরিমানা দিতে হবে। পরের নিয়মগুলো উল্লিখিত অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদের মতোই, অর্থাৎ ফি জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।
যে ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
১. গ্রাহকের বায়োমেট্রিকস (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙুলের ছাপ) গ্রহণের জন্য সার্কেল অফিসে উপস্থিত হতে হবে।
২. স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিংয়ের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে খুদে বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
নবায়নের আবেদনে যা প্রয়োজন
১. বিআরটিএর ওয়েবসাইটে ‘ফরম’ নামে একটি সেকশন রয়েছে। সেখানে ড্রাইভিং লাইসেন্স–সংক্রান্ত যাবতীয় ফরম পাওয়া যায়। নবায়নের নির্ধারিত ফরমটি ডাউনলোড করে পূরণ করে নিন।
২. এই আবেদন ফরমের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্বাস্থ্যসনদ। এই সনদ আপনাকে একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তারের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
৩. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
৪. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ।
৫. নবায়ন ফি জমাদানের রসিদ।
৬. সা¤প্রতিক সময়ে তোলা এক কপি পাসপোর্ট ও এক কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।

নতুনদেরও মিলবে ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স
ঘরে বসে অনলাইনে ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এ ক্ষেত্রে লাইসেন্স-প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় পাসের পর বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টালের (িি.িনংঢ়.নৎঃধ.মড়া.নফ) মাধ্যমে ফিসহ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। বিআরটিএ থেকে জানা যায়, লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমোদিত হলে গ্রাহকের নিজস্ব বিএসপি অ্যাকাউন্ট থেকে কিউআর কোড সংবলিত ই-পেপার ড্রাইভিং লাইসেন্স মোটরযান চালানোর কাজে ব্যবহার করা যাবে। এটি মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স হিসেবে বিবেচিত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়