নার্ভাস নাইনটিতে সবজির দাম

আগের সংবাদ

তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় এনে দেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র হচ্ছে

পরের সংবাদ

মৃন্ময়ী রূপে চিন্ময়ী তুমি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সৃষ্টির প্রত্যেক যুগে সব বাধা-বিপত্তি, প্রতিবন্ধকতা উত্তরণের জন্য দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার পূজা করা হয়েছে। সত্য যুগ থেকে কলিযুগ অবধি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারায় আবহমানকাল ধরে ধর্মীয় বিধি-বিধান অনুসারে এ পূজা হয়ে আসছে। শাক্ত ভক্তগণের কাছে শক্তিরূপা মহাশক্তি রূপে ত্রিনয়নী, জ্যোর্তিময়ী মা পূজিতা হন। তিনি আদ্যাশক্তি, জগৎজননী। তিনি জগতের আধারভূতা। তিনি সৃষ্টি, স্থিতি, প্রলয়ের কর্তা। তিনি জগতের জ্যোতি। তিনি আবার তিমির। তিনি ত্রি-কালজ্ঞ, স্বর্গ, মর্ত্য পাতালব্যাপিনী, কখনো বাসুকী, ভৈরবী, ভুবনেশ্বরী। অজস্র রূপে তার প্রকাশ। বসুধাবক্ষ তারই বক্ষ। তিনি কখনো অন্তঃসলিলা আবার নিরাকার স্থলবাসিনী। তিনি অক্ষির সমক্ষে, কিন্তু তিনি অগোচর সকলের অলক্ষে। তার লক্ষবিন্দু সকল জীব, পৃথিবীর ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র সকল আপামর প্রাণীর ওপর নিবদ্ধ। তিনি ত্রিগুণ আশ্রিতা। ত্রি-নয়নে তার তিন গুণের প্রকাশ- স্বতঃ রজঃ তমঃ। তিনি এই তিন গুণে ত্রি-শক্তিরূপে প্রকাশিতা।
শ্রী শ্রী চণ্ডী গ্রন্থে মাতৃশক্তিরূপকে আমরা তিনভাবে দেখতে পাই। তিনজন দৈত্যবধের মাধ্যমে মহাশক্তি দেবী দুর্গার তিনরূপে আবির্ভাব ঘটেছে। প্রথমরূপ তিনি মহাকালী রূপে আবির্র্ভূত হয়ে মহাশক্তি ধারণ করে দশভুজা দেবীর মূর্তিতে মহাদৈত্য মধু ও কৈটভকে বধ করেছিলেন। দ্বিতীয় রূপে দেবী আঠারো ভুজ (আঠার হাত) ধারণ করে মহালক্ষ¥ীর বেশে আবির্ভূতা হয়ে মহাশক্তিরূপে মহিষাসুরকে বধ করেছেন। তৃতীয়রূপে দেবী মহা সরস্বতী রূপে আবির্ভূতা হয়ে মহামায়া অষ্টভুজা (৮ হাত) রূপধারণ করে শম্ভুকে বধ করেছেন। এই তিন শক্তিতে তিনি তিনগুণে প্রকাশিতা। মহাকালী তমঃ গুণান্বিতা, মহাল²ী রজঃ গুণান্বিতা এবং মহা সরস্বতী স্বতঃ গুণান্বিতা।
তন্ত্রশাস্ত্রমতে মহাকালী আনন্দরূপা, মহাল²ী সদরূপা আর মহা সরস্বতী চিদরূপা। কিন্তু এই ত্রি-মূর্তি অখণ্ডসভা, সচ্চিদানন্দময়ী মহাশক্তি দেবী চণ্ডী। রোগ, শোক, দুঃখ, জ্বালা, বিপদ-আপদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য এই মহাশক্তির পূজা করে মায়ের নিকট শক্তি কামনা করা হয়। মহাশক্তির আরোধনায় নিজের বিদ্যা-বুদ্ধি, রূপ-যশ, খ্যাতি-মহত্ত্ব এবং পার্থিব সুখ-শান্তি লাভ করা যায়। অশুভ শক্তি দমনকারী মহা শক্তির উপাসনায় শত্রæকে জয় করা যায়। অজ্ঞানরূপ অন্ধকারকে অতিক্রম করে জ্ঞানরূপ মহাশক্তি লাভ করা যায়। দেহে ষড়রিপু- কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য্যরূপ পশুশক্তিকে জয় করে শুভ শক্তি লাভ করে জগতের মোহপাশ থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।
শাস্ত্রের নিদর্শন স্বরূপ আমরা দেখি সত্য যুগে নিজের হৃতরাজ্য পুনরুদ্ধারের জন্য সুরত রাজা দেবীর উপসনায় মত্ত হয়েছিলেন এবং হারানো রাজ্য ফিরে পেয়েছিলেন। সমাধি বৈশ্য স্ত্রী-পুত্র কর্তৃক বিতাড়িত হয়ে ঘুরে ঘুরে অবশেষে দেবীর আরাধনা করে মহা সংকট থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন।
ত্রেতা যুগে শ্রীরামচন্দ্র রাক্ষসরূপী অসুর মহিরাবণকে ধ্বংসের জন্য মায়ের অকাল বোধন করেন এবং দেবীর উপাসনা করে শক্তি লাভ করে অসুরশক্তির নাশ করেন। রামচন্দ্রের সেই অকালবোধন হয়েছিল শরৎকালে। তাই শরৎকালের দুর্গাপূজাকে শারদীয় পূজা বা শারদীয় উৎসব হিসেবে আবহমানকাল ধরে বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
দ্বাপর যুগে কৌরবরা অত্যাচারিত হয়ে উঠেছিল। কৌরবদের মধ্যে দুর্যোধন ছিলেন সবচেয়ে অত্যাচারী। তিনি বিনাযুদ্ধে পাণ্ডবদের সঙ্গে কোনো আপস করতে চাননি। তাই ঘোষণা করলেন যে, ‘বিনাযুদ্ধে নাহি দেব সুচাগ্র মেদিনী’! অবশেষে পঞ্চপাণ্ডবের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে শ্রীকৃষ্ণের আদেশে অর্জুন ঐশ্বরিক শক্তিতে শক্তিমান হয়ে ওঠেন। এবং কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অধার্মিক দুর্যোধনকে বধ করে ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
কলিযুগেও মায়ের বহু ভক্তের নিদর্শন পাওয়া যায়। সাধক রামপ্রসাদ, কমলাকান্ত, বামাক্ষ্যাপা ব্রহ্মচারী, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখ মহা সাধকগণ দেবীর উপাসনা করে জ্ঞান, ভক্তি, প্রেম, বৈরাগ্য কামনা করে মুক্তিলাভ করেছেন। উদ্বুদ্ধ করেছেন পতনন্মুখ সনাতন ধর্মের পথভ্রষ্টা বেপথিকদের শক্তির আরোধনা করতে।
স্বামী বিবেকানন্দ দেবীর আরোধনা করে মহাশক্তিতে শক্তিমান হয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলনে। সেখানে একের পর এক ১৮ দিন এককভাবে সনাতন ধর্মের ওপর বক্তৃতা করে সনাতন ধর্মকে তিনি বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সে জন্য তিনি উচ্চকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন-
‘পুতুল পূজা করে না হিন্দু কাঠ-মাটি দিয়ে গড়া,
মৃন্ময় মাঝে চিন্ময় হেরে হয়ে যায় আত্মহারা!’

শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পর্কে দেবী মাহাত্ম্যে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে যে,
‘শরৎকালে মহাপূজা ক্রিয়তেঃ যাচ বার্ষিকী,
তস্মাৎ মম তন্মাহাত্মাং শ্রদ্ধা ভক্তি সমন্বিতং
সর্ববাধা বিনির্মুক্ত ধনধান্য সমন্বিত,
মনুষ্যমাৎ প্রসাদেন ভবিষ্যতিনঃ সংশয়ঃ!’

অর্থাৎ শরৎকালে আমার মহাপূজা যা বার্ষিক রূপে করা হয়। তাতে ভক্তি সমন্বিত হয়ে কোনো মানুষ আমার মাহাত্ম্য শ্রবণ করে। তবে আমার অনুগ্রহে সর্বপ্রকার বাধা-বিপত্তি মুক্ত হয়ে পুত্র পরিজন সমেত ধন-সম্পদ সমগ্র লাভ করবে। তাতে সন্দেহ নেই।
যুগের বিবর্তন ও কালের ধারায় শারদীয় দুর্গাপূজার ভোল যেন কিছুটা পাল্টে গেছে। আধুনিক বিজ্ঞানের হাওয়ায় ধর্মীয় চিন্তা-চেতনা তথা সমস্ত পূজা-পার্বণও উৎসবের আধ্যাত্মিক খোলস পরিবর্তন হয়েছে। এক সময় দুর্গাপূজা ছিল জমিদার ও রাজ-রাজাদের নিজস্ব ঘরোয়া পূজা। শাস্ত্রীয় বিধান মোতাবেক সে পূজা একঢালা ঘরের মধ্যে প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হতো। এখনকার মতো এত ভঙ্গিমা তৎকালীন সময় হতো না। এ সমস্ত পূজায় তখনকার দিনে উপস্থিত থাকত দর্শক হিসেবে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণির লোকজন। তখনকার দিনে প্রচলিত ভাষায় তাদের বলা হতো প্রজাকুল বা প্রজাবৃন্দ। এসব প্রজার মায়ের পূজায় অংশ নেয়ার কোনো অধিকার ছিল না। তবে রাজবাড়ির বা জমিদার বাড়ির কর্তা-ব্যক্তিদের অনুগ্রহে প্রসাদ পাওয়া যেত। কিন্তু পরবর্তীকালে এই রেওয়াজ পরিবর্তন হতে শুরু করে। জমিদার বাড়ির আঙিনা ছেড়ে মা দুর্গাকে আনা হয় বারোজনের সম্মিলিত পূজামণ্ডপে। তখন নাম হয় বারোয়াড়ি পূজা। এ বারোয়াড়ি পূজাতে ধর্মীয় আচারণ ও শাস্ত্রীয় বিধি-বিধান কঠোর নিয়মে পালন করা হতো। বাহ্যিক বেশি আড়ম্বর সেখানে পরিলক্ষিত হতো না। কিন্তু মিলনানন্দের হাট বসত মণ্ডপে মণ্ডপে খুব সুশৃঙ্খলভাবে। বয়োজেষ্ঠদের পরামর্শে যুব সম্প্রদায়ের দ্বারা সমগ্র পূজা অনুষ্ঠান পরিচালিত হতো। পূজার শেষে বিজয়া দশমী ছিল পাড়া-প্রতিবেশীদের এক মিলনতীর্থ। সেখানে আবাল, বৃদ্ধ, বণিতা অন্তরঙ্গতায় এক মিলন উৎসবে মেতে উঠত। যা আজকালকার দিনে চোখে পড়ে না।
এভাবে পরিবর্তন হতে হতে পূজা এখন সর্বজনীনতায় রূপ লাভ করেছে। এখন দুর্গাপূজাকে বলা হয় সর্বজনীন দুর্গোৎসব। এ পূজা উৎসবে শাস্ত্রীয় নিয়মকানুন কিছুটা পরিলক্ষিত হলেও বাহ্যিক আড়ম্বর বেশি দেখা যায়। প্রতিযোগিতার টানে মণ্ডবগুলোতে আজকাল প্রতিমার সাজসজ্জা ও রূপসজ্জার পরিবর্তনে আধুনিকতা আনা হয়েছে। রঙিন ঝলমলে বৈদ্যুতিক আলোর রোশনাইয়ে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। সাউন্ডবক্স আর মাইকের গমগম শব্দ, পটকা, বাজি আর হৈচৈয়ের কারণে পূজামণ্ডপের আধ্যাত্মিক পরিবেশ বিঘিœত হয়।
অনেকে হয়তো জানেন যে শিব মন্দিরে হাতে তালি দেয়া নিষিদ্ধ। ল²ীপূজায় ঘণ্টা বাজানো নিষিদ্ধ! তেমনি দুর্গাপূজায় মাইকে বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ। শুধু ঢাকঢোল, কাঁসর-ঘণ্টা বাজানো শাস্ত্রবিধিসম্মত। অথচ এসব বিধি নিষেধ কে শুনছে? পূজার বাহ্যিক আড়ম্বর যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি শাস্ত্রবিধি পালনের আগ্রহ ততই কমছে। এক কথায় সর্বজনীনদের বাতুলতায় পূজার শাস্ত্রীয় রীতিনীতি ও প্রাচীন ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই মৃন্ময়ী রূপে চিন্ময়ী মায়ের পূজার এরূপ গতিক দেখে প্রতিবাদের সুরে কবিতার ভাষায় বলতে ইচ্ছা হয়-

ওগো চিন্ময়ী
মৃন্ময়ী সাজে তোমার এ আগমন কে বুঝবে মা?
ওরা যে চিরকাল তমসার ঘোরে নেত্রান্ধ!
তোমাকে দেখার সেই জ্যোতি কোথায়?
ওরা যে লালসার ভুবনে হাবুডুবু খাচ্ছে।
পরিহাসের ছলনা ওদের চোখে;
ঘৃণার আগুন ওদের মুখে;
ওদের হৃদয়-বন্দরে কে পৌঁছাবে
এক মুঠো বিশ্বাসের পুষ্পডালি?

প্রাচীনকালে যখন প্রতিমার প্রচলন ছিল না। তখন দেবীকে ঘটে এবং পটে পূজা করা হতো। এ সম্বন্ধে মার্কেণ্ডেয় পুরাণে একটি শ্লোকে বলা হয়েছে –
‘আধার ভূতা জগতঃ ত্বম একা
মহীস্বরূপেন যতঃ স্থিতাসি
অপাং স্বরূপ স্থিতয়ে ত্বম এতদ
আপামাতে কৃৎস্রম অলংবীর্যৈ।’
(শ্রী শ্রী চণ্ডী-১১/৪)
অর্থাৎ ‘হে মহাশক্তিধারিণী জননী, তুমি একা জগতের ধারক। কারণ তুমিই ধরিত্রী রূপে বিরাজ করছ, পৃথিবীকে সলিল রূপ স্তন্য দুগ্ধ পানে পরিতৃপ্ত করছ।’
যুগের পর যুগ মা এভাবে পূজিতা হয়ে আসছেন। কখনো ঘটে, পটে আবার নিরাকার রূপে। আবার কখনো মৃন্ময়ী মূর্তির সাকার রূপে। এই মৃন্ময়ী রূপের মাঝে মা চিন্ময়ী হয়ে আছেন। অনাদিকাল ধরে। আর ওই চিন্ময়ী রূপের মধ্যে মায়ের হিরণ¥য়ী রূপের প্রকাশ। ওই হিরণ¥য়ী রূপ দর্শনের জন্য সাধক, ভক্তগণ চিরকাল ব্যাকুল। এই অখণ্ড মণ্ডলাকার ব্যাপ্ত চরাচরে মা হিরণ¥য়ী রূপে বিভূষিতা!
মা শুধু ভক্তকে কাঁদান! মা প্রকৃত ভক্তকে খোঁজেন। সকল বিপদ-আপদ, দুঃখ-দুর্দশা, ঝড়-প্লাবন, খরা-জরা থেকে মা মুক্তি দিতে পারেন। মা চেতনা, বুদ্ধি, নিদ্রা, ক্ষুধা, ছায়া, শক্তি, তৃষ্ণা, ক্ষ্যান্তি, জাতি, লজ্জা, শ্রদ্ধা, কান্তি, ল²ী, বৃত্তি, স্মৃতি, দয়া, মাতা, তুষ্টি ও ভ্রান্তিরূপে সর্বভূতে বিরাজিতা। মানব দেহের সকল অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গ এবং বিশ্বের সকল বস্তুতে মা প্রকাশিতা! তাই মহামায়া, মহাশক্তি দুর্গতিনাশিনী মায়ের কাছে পরিশেষে প্রার্থনা-

ওগো মা তাকিয়ে দ্যাখো,
অগণিত সন্তান তোমার পায়ের নিচে
অজস্র হাত ওদের প্রার্থনায় রত;
অজস্র নয়ন ওদের অশ্রæধারায় সিক্ত!
ওদের চোখের জল মোচাও মা।
একবার ওদের ঐ কামনার হাতে
সৌভাগ্য পুষ্প অর্পণ করো।
ওরা রিক্ততার শৃঙ্খলে কাঁদছে!
একটু মুক্ত আলো দাও
একটু মুক্ত বাতাস দাও।
একবার তোমার কল্যাণবারি ছিটিয়ে দাও
ওদের হতভাগ্যতা ঘুচে যাক!

ওগো ত্রিনয়নী।
একবার তোমার নয়ন তোল- চেয়ে দ্যাখো
ওদের অন্ধ চোখের পানে।
তোমার মঙ্গলদৃষ্টি বর্ষণ করো।
তোমাকে নয়ন ভ’রে দেখার শক্তি দাও।

…………………….

ওগো জ্যোতির্ময়ী!
তোমার এ বিমূঢ় সন্তানদের একটু জ্যোতি দাও!
তোমার জ্যোতিতে ওদের চোখের ঠুলি খুলে যাক।
মুক্ত আলোয় ওরা দেখতে পাক-
তোমার জ্যোতির্ময়ী বিভূষিতা রূপ!
যে রূপে তুমি চিরকাল বিরাজিত-
পৃথিবীর মহাজ্যোতিরূপে জ্যোতির্ময়ী মা হয়ে!
(জ্যোতিরূপে জ্যোতির্ময়ী মা)

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়