নার্ভাস নাইনটিতে সবজির দাম

আগের সংবাদ

তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় এনে দেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র হচ্ছে

পরের সংবাদ

দুর্গোৎসব : বাড়ি থেকে বারোয়ারি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’ বাঙালি ঐতিহ্যের স্মারক। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যে লালিত নানা বর্ণিল পার্বণ। পৌষ পার্বণ, নববর্ষ, চৈত্রসংক্রান্তি, বসন্ত উৎসব ইত্যাদি পার্বণ বাঙালির প্রাণের মিলনমেলা অসাম্প্রদায়িক চেতনার উত্তরাধিকার। বাঙালির এই উৎসব প্রবণতা বাঙালির হাজার বছরের কৃষ্টি-সংস্কৃতি হাজার বছরের ঐতিহ্য। তাই উৎসবপ্রবণ বাঙালি বিভিন্ন পার্বণ উদযাপনে মুখরিত হয়ে ওঠে। অন্যদিকে ধর্মীয় বিভিন্ন আয়োজনের সঙ্গেও উৎসব আয়োজনের প্রবণতা বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার। হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা, কালীপূজা, সরস্বতী পূজা, রথযাত্রা, চড়কপূজা ইত্যাদি সব আয়োজনের সঙ্গে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। ঠিক তেমনি মুসলিম সম্প্রদায়ের দুটি ঈদ, শবেবরাত, আশুরা ইত্যাদি ধর্মীয় আয়োজনের সঙ্গে উৎসব যুক্ত থাকে। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন কিংবা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রবারণা পূর্ণিমা, বৌদ্ধ পূর্ণিমা সেখানেও উৎসবের আমেজ রয়েছে। এসব উৎসব অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্ভাসিত। প্রতিটি ধর্মের ধর্মীয় রীতিনীতি ভাবগাম্ভীর্যের জায়গাটুকু পুতপবিত্র রেখে উৎসবমুখর বাঙালি উৎসবে মেতে ওঠে।
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজা আজ একটি উৎসবে পরিণত হয়েছে। ধর্মীয় রীতিনীতি ভাবগাম্ভীর্য অক্ষুণ্ন রেখে বাঙালি মেতে ওঠে শারদীয় দুর্গোৎসবে। তাই এ উৎসব সর্বজনীন উৎসবে রূপ ধারণ করেছে। ইতিহাসের পাতা থেকে আমরা জানি, দুর্গাপূজার সূচনা হয়েছিল বহু প্রাচীনকালেই। দুর্গাপূজা কবে শুরু হলো, এমন জিজ্ঞাসার উত্তরে যথার্থ নথি না পাওয়া গেলেও বৈদিক সাহিত্যে দুর্গার পরিচয় আছে। তবে ইতিহাসের তথ্যগর্ভ থেকে অনেকেই মনে করেন, সম্ভবত মোগল আমল থেকেই ধনী পরিবারগুলোতে দুর্গাপূজা প্রচলিত ছিল। একধাপ এগিয়ে ইতিহাস বলছে, দেবীর পূজা সম্ভবত ১৫০০ শতকের শেষ দিকে প্রথম শুরু হয়। সম্ভবত দিনাজপুর-মালদার জমিদার স্বপ্নাদেশের পর প্রথম পারিবারিক দুর্গাপূজা শুরু করেছিলেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে দিনাজপুরের জমিদার প্রথম দুর্গাপূজা করেন। আবার কারো মতে, ষোড়শ শতকে রাজশাহী অঞ্চলের তাহেরপুর এলাকার রাজা কংসনারায়ণ প্রথম দুর্গাপূজা করেন। ১৫১০ সালে কুচ বংশের রাজা বিশ্ব সিংহ কুচবিহারে দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন। আবার অনেকে মনে করেন, ১৬০৬ সালে নদীয়ার ভবনানন্দ মজুমদার দুর্গাপূজার প্রবর্তন করেন। কারো কারো মতে, ১৬১০ সালে কলকাতার সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবার একচালা দুর্গাপূজা চালু করেন। বিষয়টিকে যদি অন্যভাবে ব্যাখ্যা করি, তাহলে বলা যায়, তৎকালীন ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কারণে গ্রামাঞ্চলে এক শ্রেণির নব্য জমিদার গোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটে। মূলত, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রথাটি ১৭৯৩ সালে লর্ড কর্নওয়ালিস প্রবর্তন করেন, যা ‘দশসালা বন্দোবস্ত নামেও চালু ছিল। অতি সংক্ষেপে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বিষয়টি হচ্ছে নির্দিষ্ট রাজস্ব পরিশোধের বিনিময়ে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার জমিদারের নিজ নিজ জমির ওপর স্থায়ী মালিকানা দান করে বন্দোবস্ত চালু করা হয়, সেই প্রথাটি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বলে অভিহিত।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমলে নব্য জমিদারদের উদ্যোগে দুর্গাপূজা তখন শহর ছাড়িয়ে আশপাশের জেলা এবং বাংলার গ্রামাঞ্চলগুলোতেও ছড়িয়ে পড়তে থাকে। শহরের দেখাদেখি এসব গ্রামাঞ্চলের নব্য জমিদাররাও সাড়ম্বরে পূজার আয়োজন শুরু করে। প্রকারান্তরে এই উৎসবকে ঘিরে সাহেবদের আনুকূল্য পাওয়ার চেষ্টা করা হতো। ১৭৬৬ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন কর্মকর্তা জে জেড হোলওয়েল জমিদারদের এই আয়োজন সম্পর্কে তার এক লেখায় জানান, ‘পূজায় সাধারণত কোম্পানির উচ্চপদের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সব ইউরোপীয়দের আমন্ত্রণ জানানো হতো। অভ্যাগতদের ফুল দিয়ে সমাদর জানানো হতো। তাদের জন্য ফলসহ বিপুল খাবার-দাবারের ব্যবস্থা থাকত। প্রতি সন্ধ্যায় আগত অতিথিদের বিনোদনের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হতো।’ নব্য জমিদারদের উদ্যোগে দুর্গাপূজা কলকাতা ছাড়িয়ে আশপাশের জেলাগুলোয় এবং সারা বাংলার গ্রামাঞ্চলগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ১৭৭১ সালে দুর্গাপূজার এই জৌলুস দেখে এক ইংরেজ সাহেব এই পূজাকে বাংলার সবচেয়ে জমকালো উৎসব হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, বিত্তশালীদের এই পূজায় সমাজের সব শ্রেণির মানুষের প্রবেশাধিকার ছিল না। কেবল সমাজের গণ্যমান্য অতিথিরাই নিমন্ত্রিত হিসেবে এ পূজায় আসতেন। অতিথি ছাড়া সাধারণ জনগণের পূজায় শরিক হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। জমিদারদের এসব অভিসন্ধি-অনাচার দেখে ফুঁসে উঠেছিলেন রানী রাসমণি। তিনি জমিদারদের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন। মূলত তিনি ইংরেজদের শাসন-শোষণের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি তার কলকাতার জানবাজারের বাড়িতে যে দুর্গাপূজার আয়োজন করতেন, সেখানে ইংরেজ অতিথিদের বিনোদনের পরিবর্তে তার প্রজাদের মনোরঞ্জনের জন্য যাত্রাপালা এবং কবিয়াল গানের আসর বসাতেন। রানী রাসমণির বাড়িতে পূজার সময় প্রজাদের অবাধ যাতায়াত ছিল।
০২
যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনমানসিকতা, রুচিবোধের পরিবর্তন অপরিহার্য হয়ে পড়ে। মানুষ অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিত্তশালী জমিদার এবং বাবুদের প্রভাব-প্রতিপত্তি আস্তে আস্তে ফিকে হতে থাকে। ১৭৯০ সালে ভারতের পশ্চিমবাংলার হুগলি জেলার বলাগড় থানার গুপ্তিপাড়ার (অনেকের মতে, জায়গাটির আসল নাম গুপ্তবৃন্দবন পাড়া) এক পূজা অর্থাভাবে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলো। তখন পাড়ার বারোজন বন্ধু মিলে সেই দুর্গাপূজা নতুনভাবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন। উর্দু ভাষায় বন্ধুকে বলা হয় ‘ইয়ার’। আর সেই বারোজন ইয়ার মিলে যে দুর্গাপূজার শুরু করেন, তাকে বারোইয়ারি পূজা বা বারোয়ারি পূজা বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। ইতিহাসে এই পূজাকে প্রথম ‘সার্বজনীন’ দুর্গোৎসব বলা হলেও তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে এটি এমন এক পদক্ষেপ ছিল, যা শুধু উৎসবই ছিল না, ছিল সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে একরকম বিদ্রোহ। শোনা যায়, এ পূজার পৌরহিত্য না করার জন্য ব্রাহ্মণদের চাপ দেয়া হয়েছিল। তখন এ পূজা সম্পন্ন করার জন্য এক নবীন ব্রাহ্মণ এগিয়ে এসেছিলেন। এই বারোয়ারি পূজার মধ্যে দিয়ে দুর্গাপূজা জমিদারদের প্রাসাদ থেকে বের হয়ে এসে আমজনতার উৎসব হিসেবে পরিণত হতে থাকে। দেবী হয়ে ওঠেন সার্বজনীন। ক্রমে ক্রমে দুর্গোৎসব সার্বজনীন উৎসবে রূপ লাভ করে।
প্রাসঙ্গিকভাবে একটি বিষয় এখানে আলোচনার দাবি রাখে। অনেকেরই ধারণা, ‘সার্বজনীন’ শব্দটি ভুল এবং অশুদ্ধ। কিন্তু বিষয়টি মোটেও সেরকম নয়। সাহিত্য সংসদের ‘বানান অভিধান’ বলছে, দুটিই শুদ্ধ শব্দ। এমনকি হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় বা রাজশেখর বসুও তাদের লেখায় ‘সার্বজনীন’ শব্দটির ব্যবহার করেছেন। কিন্তু গোড়াতেই বলে দেয়া দরকার, এই দুই শব্দের অর্থ আলাদা। সার্বজনীন অর্থ: সবার মধ্যে প্রবীণ, জ্যেষ্ঠ, সবার মধ্যে সেরা। (উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে: মাহাত্মা গান্ধী নিজের সময়ে সার্বজনীন নেতা, দুর্গাপূজা বাঙালির সার্বজনীন উৎসব)। সর্বজনীন অর্থ: সর্বসাধারণের জন্য অনুষ্ঠিত, সবার জন্য মঙ্গলকর, সর্বসাধারণের সহায়তায় কৃত, সবার জন্য উদ্দিষ্ট, বারোয়ারি। (উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে: ভালোবাসা সর্বজনীন বিষয়, মানবাধিকার সর্বজনীন অধিকার, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের দাবি সর্বজনীন)। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, ‘যে সর্বজনীন শিক্ষা দেহের উচ্চশিক্ষার শিকড়ে রস জোগাইবে।’ স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন ওঠে, তাহলে দুর্গাপূজার ক্ষেত্রে সার্বজনীন নাকি সর্বজনীন শব্দ ব্যবহৃত হবে? এই দ্বিধাদ্ব›দ্ব এর সমাধানে বলা যায়, বারোয়ারি অর্থে প্রয়োগ করা হলে শব্দটি হবে সর্বজনীন দুর্গোৎসব বা দুর্গাপূজা। অভিধানও বলছে, এটিই বেশি মাত্রায় শুদ্ধ। যেহেতু শব্দটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বারোয়ারি অর্থে প্রয়োগ করা হয়, তাই একে ‘সর্বজনীন দুর্গাপূজা’ বলাই বেশি যুক্তিসঙ্গত এবং বিধিসম্মত।
০৩
দুর্গাপূজার সর্বজনীন ধারাটি বহুকাল ধরেই আমাদের দেশে প্রচলিত আছে। পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় সুসজ্জিত মণ্ডপ তৈরি করে দেবী আরাধনায় উৎসবে মেতে ওঠেন সর্বস্তরের ভক্তরা। অথচ এক সময়ে বারোয়ারি পূজার প্রচলনটি প্রায় ছিল না বললেই চলে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে যদি বলি, আমাদের বাড়ির দু-চার গ্রামে শুধু একটি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতো। বংশ পরম্পরায় প্রায় দুশ বছর ধরে দুর্গা দেবী পূজিত হচ্ছেন আমাদের বাড়িতে। আশপাশের গ্রামের লোকজন মুখিয়ে থাকতেন সেই দুর্গাপূজায় প্রতিমা দর্শন ও প্রসাদ গ্রহণের জন্যে। আশির দশক পর্যন্ত এ রকম অবস্থাই ছিল। যুগ পাল্টাচ্ছে, কালের পরিক্রমায় অত্রগ্রামে প্রায় দশ-বারোটি বারোয়ারি দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে । হ্যাজাক লাইটের পরিবর্তে এসেছে এলইডি লাইট, মাটির রাস্তার বদলে এখন পাকা সড়ক, নৌকা বা গরুর গাড়ির বদলে এসেছে দ্রুতযান মটরগাড়ি। মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে, বড়েছে শিক্ষার হার, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটেছে। এসব উন্নয়নের প্রভাব পড়েছে উৎসব পার্বণে। গ্রাম এখন শহরের রূপ ধরেছে। বারোয়ারি শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের ধরন বা মাত্রিকতার পরিবর্তন শুধু গ্রামাঞ্চলে ঘটেনি, শহর কিংবা মেগাসিটিতেও সেই পরিবর্তনের আঁচ লেগেছে। আমি ঢাকার অভিজাত এলাকা বনানীর পূজামণ্ডপ দেখেছি, দেখেছি টিটিপাড়ায় হরিজন সম্প্রদায়ের বারোয়ারি পূজামণ্ডপ। সাড়ম্বরের ঘাটতি থাকলেও উৎসবের আমেজে কোনো ঘাটতি সেখানে চোখে পড়েনি। ইতিহাসের বাঁক বদলে সামন্ততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা থেকে সমাজতান্ত্রিক তথা গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় মানুষ উন্নীত হয়েছে। তাই যে কোনো উৎসব-পার্বণে গণমানুষের সম্পৃক্ততা বেড়েছে। বারোয়ারি বা সর্বজনীন দুর্গাপূজা বা দুর্গোৎসব সেই মানসিকতা বা চেতনাবোধ নিয়েই পালিত হচ্ছে বা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভ্যতার এই যাত্রাপথ মানুষের পরম অর্জন। আর মনুষ্যত্ব অর্জন করাই ধর্মের মর্মবাণী।
বাংলাদেশে দুর্গাপূজা শারদীয় দুর্গোৎসবের রূপ পরিগ্রহ করেছে। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ভাবনা থেকে এমন চেতনার উন্মেষ ঘটেছে। তাই ইদানীং গণকণ্ঠে ধ্বনিত হয়- ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। এখানে আধ্যাত্মিকতার জায়গাটি নির্মল রেখে, উৎসবের আনন্দটুকু সব সম্প্রদায়ের মধ্যে উদযাপনের সুযোগ করে দিয়েছে। এই আনন্দধারায় অবগাহন করে আমরা যেন পরমতসহিষ্ণু হয়ে উঠতে পারি। বিত্ত-বৈভবের গণ্ডি পেরিয়ে দুর্গোৎসব আজ সর্বজনীন। দুর্গাদেবী পূজিত হচ্ছেন বাড়িতে-বাড়িতে, বারোয়ারি মণ্ডপে-মণ্ডপে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়