পুলিশ হত্যা মামলা : রিজভী-সোহেলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

আগের সংবাদ

নির্বাচন পর্যন্ত সংস্কারে ছাড় : আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি নিশ্চিত, ঋণ চুক্তির ছয়টি শর্তের মধ্যে চারটি পূরণ হয়েছে

পরের সংবাদ

৫০ হাজার বছর পর জেগে উঠছে জোম্বি ভাইরাস, মহামারির আশঙ্কা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তন বোঝার জন্য এক ফরাসি ভাইরোলজিস্টের গবেষণা নতুন সব বিচলিত করার মতো বাস্তবতার মুখোমুখি করছে। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি একটি ‘জোম্বি’ ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন- যা ৫০ হাজার বছর ধরে চিরহিমায়িত অবস্থায় ছিল।
৭৩ বছর বয়সি জ্য মিশেল ক্লেভরি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গবেষণা চালিয়ে ‘দানবীয়’ ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন। এ ভাইরাসগুলো এতদিন সাইবেরিয়ার ভূগর্ভস্থ চিরহিমায়িত অঞ্চলে ছিল। তার গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে পৃথিবীর উষ্ণায়ন আর চিরহিমায়িত অঞ্চলের বরফ গলার কারণে সুপ্ত রোগজীবাণু, মাইক্রোব, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসগুলো জনস্বাস্থ্যের ওপর নতুন ঝুঁকি তৈরি করছে। খবর ইকোনমিক টাইমসের।
এই হুমকিকে আরো ভালো করে বোঝার জন্য মেডিসিন ও জিনমিক্সের প্রফেসর জ্য মিশেল ক্লেভরি সাইবেরিয়ান চিরহিমায়িত অঞ্চলের মাটি পরীক্ষা করেন। ‘জোম্বি ভাইরাস’-এর খোঁজ করার জন্যই তিনি এ পরীক্ষা করেন। সাধারণত আর্কটিক অঞ্চল, গ্রিনল্যান্ড, আলাস্কা, রাশিয়া, চীন এবং পূর্ব ইউরোপে এমন চিরহিমায়িত অঞ্চল দেখা যায়। এসব জায়গা সাধারণত স্থলে এবং সাগরতটের নিচে পাওয়া যায়- যেখানে তাপমাত্রা কদাচিত হিমায়িত অবস্থার চেয়ে বাড়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, আর্কটিক চিরহিমায়িত অঞ্চলে মাটির বরফ হয়ে থাকা একটি আচ্ছাদন তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে গলে যাচ্ছে এবং এতে যেসব ভাইরাস বহুকাল ধরে সুপ্ত অবস্থায় ছিল সেগুলো জেগে উঠছে।
মার্সেলিতে অবস্থিত অ্যাইক্স-মার্সেলি ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের এমেরিটাস প্রফেসর ক্লেভরি এবং তার দল সাইবেরিয়ান চিরহিমায়িত অঞ্চলের এসব প্রাচীন ভাইরাস সংরক্ষণ করেছেন। ক্লেভরির দল এসব ভাইরাসের সবচেয়ে পুরনো স্ট্রেইন খুঁজে পেয়েছেন। এগুলোর খোঁজ মিলেছে মাটির নিচের একটি হিমায়িত লেক থেকে। এগুলোর বয়স আনুমানিক ৪৮,৫০০ বছর। যেসব নমুনা তারা পশমি ম্যামথের পাকস্থলি থেকে পেয়েছেন সেগুলো ২৭ হাজার বছর পুরনো।
ক্লেভরির মতে, যেসব ভাইরাস বরফ হয়ে যাওয়ার পরেও সংক্রামক থাকে সেগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে। সিএনএনকে তিনি বলেন, আমরা অনেক ভাইরাসের চিহ্ন পেয়েছি। আমরা জানি সেগুলোর অস্তিত্ব রয়েছে। তবে আমরা এখনো নিশ্চিত নই- এই ভাইরাসগুলো বেঁচে আছে কিনা। তবে আমাদের যুক্তি হচ্ছে যদি আমরা অ্যামিবা ভাইরাসগুলোর জীবিত থাকা সমন্ধে নিশ্চিত হই- তবে অন্যান্য ভাইরাসগুলোর না বেঁচে থাকার কোনো কারণ নেই। এগুলো যেখানে আশ্রয় নেয় সেখানে সংক্রমণ ঘটাতেও সক্ষম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ড. মার্গারেট হ্যারিস বলেন, ‘ডব্লিউএইচও তিনশরও বেশি বিজ্ঞানীকে নিয়ে কাজ করছে। চিরহিমায়িত বরফ গলার মাধ্যমে যেসব ব্যাকটেরিয়া মহামারি সৃষ্টি করতে পারে, তাদের নিয়ে গবেষণা করছে এ বিজ্ঞানীরা।’ রাশিয়ার দুই-তৃতীয়াংশ অঞ্চলই বরফে আচ্ছাদিত। এটিই জৈব বস্তুর টিকে থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো পরিবেশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়