নব্বইয়ের ছাত্রনেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির মৃত্যু

আগের সংবাদ

সংলাপসহ পাঁচ দফা সুপারিশ : বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রশংসা মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের

পরের সংবাদ

পূজায় প্রতিদিনের পোশাক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রোদ-বৃষ্টি যা-ই থাকুক, গরম কমছে না। পূজার ছুটোছুটির পরিকল্পনা- সব মিলে এবারের পূজাতে আরামদায়ক আর ঝামেলাবিহীন পোশাক অনেক তরুণীর পছন্দের তালিকায় থাকছে এবার। সমসাময়িক ট্রেন্ডের মনকাড়া ডিজাইন, উৎসব এবং আবহাওয়াকে উপজীব্য করে দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো সাজিয়েছে পূজার কজি বা আরামদায়ক ফ্যাশন সংগ্রহ।

নাজমুল হক ইমন

পূজা-পার্বণে জমকালো সাজতে চাইলে ঐতিহ্যবাহী কাতান বেনারসি আপনার পছন্দের তালিকায় থাকতে পারে। পছন্দের বেনারসি এখন শুধু বিয়েতে না, বরং পূজার সাজেও এনেছে অন্য ছোঁয়া। অষ্টমীর রাতের জন্য কাতান বেনারসির সঙ্গে গর্জিয়াস সাজ অনবদ্য হবে। বেনারসি শাড়ি আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি পরা হয় বিয়েতে। তবে নিমন্ত্রণ কিংবা রাতে পূজা মন্ডপে যেতে বেনারসি সঙ্গী হতে পারে। সিঁদুর লাল, মরিচ লাল, মিষ্টি লাল, লালচে মেরুন, কালচে মেরুন, নীল, রানী ম্যাজেন্ডা, গাঢ় ম্যাজেন্ডা, গাঢ় গোলাপি, মিষ্টি গোলাপি, সবুজ, ফিরোজা, পেস্ট কালারসহ নানা রং ও ডিজাইনের বেনারসি পাবেন এবারের পূজাতে।
তবে পূজার সময় তাঁত ও থান শাড়িতে নানা ধরনের নকশা করে নতুনত্ব আনা হয়। পূজায় ষষ্ঠী থেকে দশমী এই পাঁচদিনের যেকোনো একদিন ফ্যাশন হাউজের এই সব শাড়ি বেছে নিতে পারেন। এসব একরঙা শাড়িতে ব্লক ও স্ক্রিন প্রিন্ট করে নানা নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। এর সঙ্গে যোগ হয় কারচুপি, মেশিন এমব্রয়ডারি ও হ্যান্ড স্টিচ। এছাড়া এপ্লিক ও প্যাচওয়ার্কেও কাজ করা এমন সব শাড়িও আছে। মোটিফ ও প্যাটার্ননির্ভর এসব শাড়িগুলোও পূজার জন্য অনবদ্য। যারা ট্র্যাডিশনাল থেকে বেরিয়ে নতুন ধরনের শাড়ি পরতে চান তারা সহজেই বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ডিজাইনারস কালেকশন থেকে শাড়ি বেছে নিতে পারেন।
পূজায় চিরায়ত সাজ বেশি ভালো লাগে, তাই পোশাকের মধ্যে শাড়ি বেশি জনপ্রিয়। তবে ফিউশনধর্মী ড্রেসও ইদানীং ফ্যাশন হাউসগুলোতে চোখে পড়ে। এ ক্ষেত্রে পোশাকের কাটছাঁটে পাশ্চাত্য আর দেশীয় ঘরানার মিশেল দেখা যায়। বিবিয়ানার ডিজাইনার লিপি খন্দকার বলেন, সাধারণত টিনএজ থেকে তরুণীদের মধ্যে নতুন ঘরানার পোশাকের প্রতি আগ্রহ বেশি কাজ করে। যেহেতু পূজার উৎসব, তাই এ ধরনের পোশাকের কাটছাঁটে বৈচিত্র্য থাকলেও পোশাকের প্রিন্ট বা মোটিফে পূজার সঙ্গে যায়, এমন নকশাই তুলে ধরা হয়।
পোশাকে পরিমিত ডিজাইন হালের ফ্যাশন। ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর এবারের পূজা সংগ্রহে নকশার এই মাধ্যমগুলো চমৎকারভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। নকশা ফুটিয়ে তুলতে একাধিক মাধ্যম ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাধান্য পেয়েছে পাশ্চাত্য কাটের ফিউশন ও আরামদায়ক পোশাকও। মূলত: করোনা মহামারির সময় থেকে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে এই ফ্যাশন। কারণ, সে সময় থেকে বেশিসংখ্যক পোশাক ব্যবহার না করাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। সব জায়গাতেই পরা যায় এমন পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। আবার যে পোশাকটি অনেকগুলো স্টাইলে পরা যায়, সে ধরনের পোশাকের ধারা ফ্যাশন ট্রেন্ডে জায়গা করে নিতে শুরু করে।
এধরনের ফ্যাশনের আলাদা দিক হলো পোশাকের উপকরণ ও কাটিং। এই পোশাকের উপকরণ আরামদায়ক কিন্তু কাটিং হয় স্টাইলিশ। এ ধরনের পোশাক হতে হবে খুবই হালকা ও ঢিলেঢালা। ওজনে হবে হালকা, যাতে চলাফেরায় পাওয়া যায় আরাম। তাই প্রতিদিনের পোশাক ও ভ্রমণ ফ্যাশনে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ক্যাজুয়াল কজি ফ্যাশন। এতে পোশাকে থাকে না বিশেষ কোনো অর্নামেন্টেশন। আরামের জন্য অলংকরণে ব্যবহার করা হয় হালকা এমব্রয়ডারি, হাতের সেলাই বা প্রিন্ট। পোশাকের জমিন হয় যথারীতি নরম ও পাতলা।
এছাড়াও ট্রেন্ডি তবে ক্যাজুয়াল কমফোর্টেবল ওয়্যার মানে তা হবে ফিটিং বা আঁটসাঁট পোশাকের বিপরীত।
তবে এখন যেহেতু পাশ্চাত্য পোশাক ঘরে-বাইরে দুই জায়গাতেই সমান জনপ্রিয়; তাই পোশাকগুলোর নেক, স্লিভ, লেংথ ও কাটিং এখন বেশি গুরুত্ব পায়।
ফরমাল লুকের তুলনায় তরুণীদের কাছে ক্যাজুয়াল লুকের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। অনেকে আবার বোহেমিয়ান স্টাইলকে কিছুটা ফিউশনের মাধ্যমে কজি লুক তৈরি করছে। এ ছাড়া ওভারসাইজ শার্ট, সিঙ্গেল কুর্র্তি, টপস, পালাজ্জো, ব্যাগি প্যান্ট, ক্রপটপ, জার্সি টপ, টার্টলনেক টপও জায়গা করে নিয়েছে কজি ফ্যাশনে।
ক্যাজুয়াল কমফোর্টেবল ফ্যাশনের আন্তর্জাতিক ট্রেন্ডের সঙ্গে পার্থক্য রয়েছে দেশি কজি ফ্যাশনের। আবহাওয়া, শারীরিক গঠন ও পোশাক নির্বাচনের ধরন আলাদা হওয়ায় মূলত এই পার্থক্য তৈরি হয়েছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ক্যাজুয়াল এসব ফ্যাশনের প্রধান শর্ত হচ্ছে আরাম। তাই অনেকেই একে শুধু ভ্রমণ ফ্যাশন মনে করেন। তবে এধরনের ফ্যাশনকে শুধু ভ্রমণ ফ্যাশন বলা যাবে না। ভ্রমণ ছাড়াও ঘরেবাইরে সব জায়গাতেই পরা যায় আরামদায়ক এবং একই সঙ্গে স্টাইলিশ এই কজি পোশাক।
এটি থাকতে পারে প্রতিদিনের ফ্যাশনেও। হয়ে উঠতে পারে উৎসবে পরিধেয় বর্নিল ট্রেন্ড হিসাবেও।
পোশাক ও ছবি: কে ক্র্যাফট

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়