গণপিটুনি থেকে বাঁচতে ৯৯৯-এ চোরের কল

আগের সংবাদ

পরিবারের আড়ালে তৎপর দল > খালেদার বিদেশযাত্রা : আলোচনায় জার্মানি > আশাবাদী দল ও পরিবার > অল্প সময়ে সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে যারা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিনোদন প্রতিবেদক : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ পেতে পারেন কারা- এ নিয়ে ইতোমধ্যে কল্পনা-জল্পনা শুরু হয়েছে। চলচ্চিত্রে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ডের চূড়ান্ত সভা। সেই সভায় ২৮টি ক্ষেত্রের মধ্যে ২৬টি ক্ষেত্রে মূল ও বিকল্প শিল্পী-কলাকুশলীর নাম সুপারিশ করা হয়। এই সুপারিশ নিয়ে শিগগিরই জাতীয় পুরস্কারসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনা শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। ২৮টি ক্ষেত্রের মধ্যে প্রথম ক্ষেত্রটি হচ্ছে আজীবন সম্মাননা। এ ক্ষেত্রে ৪ জনের নাম সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী শবনম, অভিনেতা খসরু, অভিনেত্রী রোজিনা ও অভিনেতা তারিক আনাম খান। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে মুহাম্মদ আবদুল কাইউমের ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’। তবে এখানে বিকল্প চলচ্চিত্র হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেনের ‘শিমু’। শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে এস এম কামরুল আহসানের ‘ঘরে ফেরা’। বিকল্প হিসেবে রয়েছেন মেহেজাবীন মাহবুবের ‘ধূসরযাত্রা’। শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র হিসেবে সুপারিশকৃত নাম আল আমীনের ‘একটি দেশের জন্য গান’। এখানে যুগ্মভাবে রয়েছেন ড. এ জে এম শফিউল আলম খানের বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এখানে বিকল্প হিসেবে নাম রাখা হয়েছে। আর এই বিকল্প হচ্ছে ফাখরুল আরেফীন খানের ‘অবিনশ্বর’। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’র নির্মাতা মুহাম্মদ আবদুল কাইউম। তবে এখানে বিকল্প হিসেবে নাম এসেছে ‘শিমু’র নির্মাতা সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে ‘হাওয়া’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য চঞ্চল চৌধুরীকে। বিকল্প হিসেবে নাম এসেছে শরিফুল রাজের। যিনি বিবেচিত হবেন ‘পরাণ’ সিনেমার জন্য। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে ‘বিউটি সার্কাস’র জন্য জয়া আহসানকে। আর যুগ্ম হিসেবে নাম এসেছে রিকিতা নন্দিনীর ‘শিমু’ সিনেমার জন্য। এখানেও বিকল্প হিসেবে নাম সুপারিশ করা হয়েছে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’র জয়িতা মহলানবীশকে। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্বচরিত্রে ‘পরাণ’ সিনেমার জন্য মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন খানকে সুপারিশ করা হয়েছে। বিকল্প হিসেবে নাম সুপারিশ করা হয়েছে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’র বাদল শহীদকে। ‘পাপ পুণ্য’র জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্বচরিত্রে আফসানা মিমি, বিকল্প হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে নভেরা রহমান ওড়িশির নাম (শিমু)। খল চরিত্রের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছে সুভাশীষ ভৌমিকের নাম (দেশান্তর)। বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে ‘বীরত্ব’ সিনেমার জন্য ইন্তেখাব আলমের নাম। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে মো. সাইফুল ইসলাম (অপারেশন সুন্দরবন)। শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী ‘রোহিঙ্গা’ সিনেমার জন্য বৃষ্টি আক্তার। তবে এখানে ‘বীরত্ব’ সিনেমার জন্য মুনতাহা এমিলিয়াকে সুপারিশ করা হয়েছে। শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ সিনেমার জন্য মোছা. ফারজিনা আক্তারের নাম। শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক ‘পায়ের ছাপ’ ছবির জন্য রিপন খান। বিকল্প হিসেবে নাম এসেছে ‘হাওয়া’ ছবির খোন্দকার রাশিদ শরীফের। শ্রেষ্ঠ গায়ক ‘অপারেশন সুন্দরবন’ ছবির জন্য বাপ্পা মজুমদার (এ মন ভিজে যায়)। এখানে যুগ্মভাবে আরো একজনের নাম সুপারিশ করা হয়েছে। তিনি হলেন ‘হৃদিতা’ ছবির জন্য চন্দন সিনহা (ঠিকানাবিহীন তোমাকে)। তবে এখানেও একজন বিকল্প হিসেবে ‘পরাণ’ ছবির জন্য অয়ন চাকলাদার (প্রেমে ভাসিয়া হাসিয়া)। শ্রেষ্ঠ গায়িকা আতিয়া আক্তার আনিসা। ‘পায়ের ছাপ’ ছবির এই শহরের পথে পথে গানের জন্য। বিকল্প হিসেবে রয়েছেন জিনিয়া জাফরিন লুইপা। ‘পরাণ’র ধীরে ধীরে তোর স্বপ্নে গানের জন্য।
শ্রেষ্ঠ গীতিকার রবিউল ইসলাম। ‘পরাণ’ ছবির ধীরে ধীরে তোর স্বপ্ন গানের জন্য। বিকল্প হিসেবে রয়েছেন একই সিনেমার লেখা জনি হকের প্রেমে ভাসিয়া হাসিয়া গানের জন্য। শ্রেষ্ঠ সুরকার শওকত আলী ইমন। ‘পায়ের ছাপ’ ছবির জন্য। বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে মো. নাভেদ পারভেজ। ‘পরাণ’ সিনেমার জন্য। শ্রেষ্ঠ কাহিনিকারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে ফরিদুর রেজা সাগরের নাম। ‘দামাল’ সিনেমার জন্য। শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে ‘শিমু’ সিনেমার জন্য তানসিনা শাওনের নাম। বিকল্প হিসেবে রয়েছেন সাইদ হাসান রবির নাম। ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ সিনেমার জন্য। শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান মো. খোকন মোল্লা। ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার জন্য। বিকল্প হিসেবে রয়েছেন মো. ফরহাদ রেজা মিলন। ‘শিমু’ সিনেমার জন্য।
জানা গেছে, জুরি বোর্ডে মোট ৬৮টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে ৩৭টি পূর্ণদের্ঘ্য, ১২টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ১৯টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র। জুরি বোর্ডের সদস্যরা মোট ৮০টি সভা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়