কাগজ প্রতিবেদক : মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের প্রায় ১১ হাজার সৈন্য আমাদের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে, প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে, শহীদ হয়েছে। সেজন্য ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক, নিবিড়, আত্মিক ও রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। সাংস্কৃতিক বিনিময় এ বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করেছে।
গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে দুই বাংলার ৯২ জন শিল্পী নিয়ে ‘লিভিং আর্ট’ শীর্ষক ‘ইন্দো-বাংলা বন্ধন গ্রুপ শিল্প প্রদর্শনী ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
‘লিভিং আর্ট’ এর পরিচালক ড. বিপ্লব গোস্বামী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ আজম, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিসিআর হিন্দি চেয়ার ড. পুনম গুপ্ত।
কে এম খালিদ বলেন, আগে আমাদের গ্রামে-গঞ্জে জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদী, মারফতি, গাজীর গান প্রভৃতি শোনা যেত। তবে আধুনিকতার সংস্পর্শে আমাদের এসব লোকজ গান ও ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। এখন আমাদের গান চর্চা হচ্ছে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে। তবে সেটি খারাপ কিছু নয়। সেজন্য আমাদের আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের সমন্বয় সাধন করতে হবে।
‘লিভিং আর্ট’ আয়োজিত চিত্রপ্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ৭৬ জন এবং ভারতের ১৬ জন চিত্রশিল্পী অংশগ্রহণ করেছে।