ফেসবুকে প্রেম করে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

আগের সংবাদ

দাম নির্ধারণের তোয়াক্কা নেই : সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না তিন পণ্য. ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে জরিমানা

পরের সংবাদ

লন্ডনে একাদশ বাংলাদেশ বইমেলা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে লেখক-পাঠক, প্রকাশক, সাংবাদিক, সাহিত্যপ্রেমী ও শুভানুধ্যায়ীদের অংশগ্রহণে সমাপ্ত হলো দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ বইমেলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩। এটি ছিল একাদশ উৎসব। গত ১০ সেপ্টেম্বর ইস্টলন্ডনের দ্য আর্ট প্যাভিলিয়ন, মাইল এন্ড পার্কে উদ্বোধনী অধিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় উৎসবের কার্যক্রম। দুপুরে ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজ্ঞানী একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ড. নুরুন নবী, ডেপুটি হাইকমিশনার হযরত আলী খান, বিজ্ঞানী ড. জীনাত নবী, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদসহ পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি-সাহিত্যিক এবং প্রকাশক, লেখক পাঠক, সাংবাদিকসহ সাহিত্যপ্রেমী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ। সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সদস্য, উদীচী ও সত্যেন সেন স্কুলের শিল্পীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী পর্ব। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবি এ কে এম আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী পর্বে সভাপতি কবি ময়নূর রহমান বাবুল আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান। এ সময় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ‘লন্ডনে এমন ব্যাপক পরিসরে বইমেলার উদ্বোধনী করতে পেরে সত্যিই আমি আনিন্দিত। বাংলাদেশের বাইরে এত সুন্দর আয়োজন  আমাকে মুগ্ধ করেছে।’ ড. নুরুন নবী বলেন, ‘আমি এই মেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত। বহির্বিশ্বে এ ধরনের বিশাল বইমেলার আয়োজন আমাকে মুগ্ধ করেছে।’ এ ধরনের আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। উদ্বোধনী পর্ব শেষে অতিথিরা মেলায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নসহ বাংলাদেশ থেকে আগত প্রকাশনী স্টল পরিদর্শন করেন এবং উপস্থিত প্রকাশকদের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন। মেলায় ১৭টি স্টল এবং স্টেজের সৃজনশীলতায় ভূয়াসী প্রশংসা করেন অতিথিরা।
উল্লেখ্য, ১১তম বাংলাদেশ বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে প্রায় ২১টি প্রকাশনা। মেলায় প্রায় ১৯টি প্রকাশিত বই, ২টি লিটলম্যাগের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়া মূল মঞ্চে সংগঠনের প্রকাশনা ‘তৃতীয় বাংলা’ ২য় সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। দিনজুড়ে সাহিত্য- সংস্কৃতিপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল মেলা প্রাঙ্গণ। উপস্থিত সকলেই মেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত বলে অনুভূতি প্রকাশ করেন।
দুই দিনব্যাপী বইমেলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবে ছিল আলোচনা, শিশুদের পরিবেশনা, মোড়ক উন্মোচন, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, স্বরচিত কবিতা পাঠ, সংগীতসহ নানা আয়োজন। ‘বহির্বিশ্বে বাংলা সাহিত্য চর্চার সাম্প্রতিক প্রবণতা’ এবং ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিলাতের নারী সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার পুরো মেলার মগুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। অ্যাপাসেন লার্নার্স কালচারালাল গ্রুপের পরিবেশনা (লার্নিং ডিসিবিলটি শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনা) ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও উচ্ছ¡াসিত। এই পরিবেশনা মেলায় নিয়ে আসে এক নতুন মাত্রা। এ ধরনের অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দেয়ায় সকলেই ভূয়াসী প্রসংশা করেন। আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন ড. নুরুন নবী (বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিজ্ঞানী, লেখক), রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা (বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী), হযরত আলী খান (ডেপুটি হাইকমিশনার), ড. জিনাত নবী (বিজ্ঞানী, লেখক), সুলতান মাহমুদ শরীফ, সৈয়দ (বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবীদ), সামাদুল হক (সাংবাদিক , ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলা টিভি), ফরিদুর রহমান (বিশিষ্ট সাংবাদিক, চিন্তাবীদ, মুক্তিযোদ্ধা), অরণ্য আনোয়ার (নাট্য নির্মাতা, স্ক্রিপ্ট রাইটার), মাহমু হাসান এমবিই, সালেহা চৌধুরী (বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক), শাগুফতা শারমিন তানিয়া (কথাসাহিত্যিক) প্রমুখ। আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন বাচিক শিল্পী মুনিরা পারভিন। সংগঠনের পক্ষ থেকে এ বছর সম্মাননা পদক (সাহিত্যে ) কবি, সাংবাদিক হামিদ মোহাম্মদকে প্রদান করা হয়।
সমাপ্তি পূর্ব বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী উপস্থিত প্রকাশকদের হাতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট তোলে দেয়া হয়। প্রকাশকদের পক্ষ থেকে সময় প্রকাশনীর কর্ণধার ফরিদ আহমদ মেলা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, প্রবাসে এ ধরনের উৎসবমুখর বইমেলা দেখে আমি অভিভূত।
উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন পর্বে অংশ নেন নুরুল ইসলাম, কাজল রশিদ, আবুল কালাম আজাদ ছোটন, ফারুক আহমেদ, ইকবাল হোসেন বুলবুল, স্মৃতি আজাদ, আতাউর রহমান মিলাদ, আবু মকসুদ, মোস্তফা জামান চৌধুরী, হেনা বেগম, মোসাইদ খান, আনোয়ার শাহজাহান, মুহাম্মদ মুহিদ, মোহাম্মদ ইকবাল, শামীম আহমদ, জুয়েল রাজ, ফারাহ নাজ, রহমত আলী, সৈয়দ হিলাল সাইফ, সাগর রহমান, সাঈম উদ্দিন খন্দকার, সাহাদাত করিম প্রমুখ। বইমেলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফলভাবে সমাপ্ত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়