মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ৫৬

আগের সংবাদ

ছাত্রলীগে এত আগাছা কেন : যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় তিন শতাধিক পদধারী বহিষ্কার

পরের সংবাদ

‘আমার কাজটাকে ইনজয় করি’

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মহানগর, দ্য সাইলেন্স, আমি কী তুমি, আন্তঃনগরের মতো একাধিক
সিনেমা ও ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে দাগ কেটেছেন
শ্যামল মাওলা। ক্যারিয়ারের অন্যতম সফল সময়টা
কেমন কাটছে, শ্যামল মাওলার সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সেই কথাই জানার
চেষ্টা করেছেন মেহেরা রহমান সিমরান

ভাইরাসের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
ভয়ংকর এক অভিজ্ঞতা ছিল। কিছুদিন আগে প্রচণ্ড গরমটা যখন পড়ল, সে সময় আমরা ভাইরাসের শুটিং করছিলাম। আর যে জায়গাটায় শুট করেছি সেখানে কোনো শেল্টার ছিল না। প্রচণ্ড গরম, তার মধ্যে গায়ে চাদর দেয়া। এর মধ্যে ভাইরাসের ভারী মেকআপ। তখন আমার সঙ্গে ছিলেন তারেক আনম খান। আর তিনি তো অনেক সিনিয়র মানুষ। তিনিই যখন গরমে কষ্ট করছিলেন, তখন আমার আর কিসের কষ্ট। আমি শুটিং করতে থাকলাম, কাজ করতে থাকলাম। ভোর ৪টা থেকে আমাদের কলটাইম ছিল। অনেক ভোর থেকেই আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম।

দ্য সাইলেন্সে দর্শকের এত বেশি সাড়া পেয়ে অনুভূতি কেমন?
দর্শকের সেই ভালোবাসার তাগিদে বলতে পারি, আমরা সাইলেন্স টু নিয়ে হাজির হব। সেটার জন্য প্রস্তুতি চলছে।

মেহেজাবীনের সঙ্গে অনেক কাজ করেছেন। সহশিল্পী হিসেবে সে কেমন?
এক কথায় দারুণ। মেহেজাবীন একজন প্রফেশনাল সহশিল্পী। তার মতো মনোভাব সব সময় সবার মধ্যে কাজের ক্ষেত্রে থাকে না। কিন্তু এটা থাকলে ভালো। কারণ আমি নিজেও প্রফেশনাল। এটাতে কাজ ভালো হয়। অন্য যারা টিমে যদি কেউ একটু লুজ থাকে, তখন আমাদের স্পিড দেখে সবাই স্পিড আপ হয়ে যায়। এটা খুবই পজিটিভ ভাইব নিয়ে আসে শুটিং সেটে।

সিনেমার রঙিন দুনিয়ার নানান রঙের ঘটনা কেমন ইনজয় করেন?
এটা খুব ইনজয় করি। অ্যাক্টিংটা ইনজয় করি। অভিনয়ে নানান ক্যারেক্টার করতে হয়। নানান সিচুয়েশনে, নানান কিছুতে বিভিন্ন রকমের চরিত্র ধারণ করতে হয়। আমি আমার কাজটাকে ইনজয় করি, ভালোবাসি। বিভিন্ন ক্যারেক্টারে কাজ করতে ভালো লাগে। এটা এক ধরনের ভালোলাগার বিষয়। যারা অভিনয় করে তারা জিনিসটার সঙ্গে অনেক বেশি কানেক্ট করতে পারে।

শুটিংয়ে সিএনজি চালাতে, গাড়ি চালাতে, প্রেম করতে, ডেটে যেতে ভালো লাগে কিনা?
এটা যখন দর্শক দেখে, তখন জিনিসটা দেখতে দেখা যায় রঙিন। এই যে নৌকা চালাচ্ছি, গাড়ি দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, একটা সুন্দর লোকেশনে শুট করছি। এগুলো যখন দেখা যায় তখনই আসলে সুন্দর। আর এটা সুন্দর করার পেছনে অনেক গল্প, অনেক পরিশ্রম রয়েছে। মানে জিনিসটা এত সুখকর না, যতটা দেখতে মনে হয়। এই যে আমি গাড়ি চালাচ্ছি, এটা একটা আমার কাজ। তখন মাথায় ঘুরে ঠিকভাবে গাড়ি চালাচ্ছি কিনা। গাড়ি রেগুলারই চালাই, কিন্তু ওই সিনের জন্য সব ঠিক হচ্ছে কিনা- এগুলো মাথায় থাকলে তখন আর রঙিন লাগে না। কাজের সময় এ ধরনের কোনো ফ্যান্টাসি কাজ করে না।

অভিনয়ের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হলেন?
আমি ছোটবেলা থেকে থিয়েটার করতাম বাবার হাত ধরে। বাবাকে মঞ্চে পারফরম্যান্স করতে দেখতাম। ছোটবেলা থেকেই বাবার হাত ধরেই থিয়েটার করা শুরু। আর সে সময় আমি কখনো ভাবিনি অ্যাক্টিং করে জীবনে টাকা রোজগার করা যাবে। কারণ থিয়েটারে আমি কখনো টাকা রোজগার করতে দেখিনি। সেই জায়গা থেকে আমার ভাবনা ছিল আমি হয়তো ৯টা থেকে ৫টা অফিস করব। তারপর সন্ধ্যায় ঘুরতে যাব। তারপর রাতে এসে খেয়েদেয়ে ঘুমিয়ে যাব। আবার সকালে অফিসে যাব। এভাবে হবে আমার জীবন। কিন্তু আমি কখনো ভাবিনি যে, যে জিনিসটা আমার ভালো লাগে, যেটা আমি টাকা খরচ করে করতাম, সেখান থেকে টাকা ইনকাম করা যাবে। এবং অভিনয় প্রফেশন হবে, সেটা আসলে মাথায় ছিল না। জানতাম না বিষয়টা তা না, কিন্তু প্ল্যানিংয়ে কখনো ছিল না যে অভিনয় করে টাকা কামাব। তো এর মধ্যে থিয়েটার করতে করতে যখন সিসিমপুরে জয়েন করলাম, তখন দেখলাম একটা পাপেটকে অভিনয় করানোটা আরো বেশি কঠিন। একটা মৃত জিনিসকে লাইফ দেয়াটা অনেক বেশি কমপ্লিকেটেড এবং কঠিন। এর চেয়ে নিজে অ্যাক্টিং করা ভালো। এরপর থেকে নিজে অ্যাক্টিং করা শুরু করলাম। ছোট ক্যারেক্টার দিয়ে শুরু করি। এরপর করতে করতে আজকে এই পর্যন্ত।

আপনাকে প্রিন্স অব ওটিটি বলা হয়, কেমন লাগে?
দর্শকের কাছে ভালোবাসাটাই চাই। এই ভালোবাসার জন্যই এত কষ্ট করি। কিন্তু আমরা ছোটবেলায় যখন আড্ডা দিতাম বন্ধুরা মিলে, তখন আমরা যদি কোনো একজনকে টার্গেট করতাম তখন তাকে হিরো বলে ডাকতাম। তখন তাকে বলতাম, ‘এই হিরো এদিকে আসো তো’। এখনই প্রিন্স অব ওটিটি, আরো দর্শকরা কী কী যে বলে এগুলো যখন শুনি, তখন ছোটবেলার ওই গল্প, ওই ঘটনাগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। বন্ধুদের যে টিটকারী করে হিরো বলতাম সেই ব্যাপারটা। কিন্তু মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য অনেক লোভ আমার। আমি চাই মানুষের বেশি বেশি ভালোবাসা পেতে আর ভালোবাসার জন্যই এত কষ্ট করা, এত পরিশ্রম করা। আর আমি চাই মানুষের ভালোবাসার সঙ্গে আমার ভালো কাজের একটা সংগম করতে। আর এই রকমের একটা ভালোবাসা যদি দর্শকের ভালোবাসার সঙ্গে কানেক্ট করা যায়, তবে আমি সেই ভালোবাসা সারা জীবনের জন্য বয়ে যেতে চাই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়