বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট : তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মানে না বিএটি ও জেটিআই

আগের সংবাদ

মাধ্যমিকে ফের একমুখী শিক্ষা : এখন পাঠ্যবই রচনা চলছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো অন্ধকারে

পরের সংবাদ

‘দর্শকদের স্পর্শ করে যাবে এই সিনেমা’

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ওপার বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এসেছেন এপার বাংলায়। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণ হতে যাচ্ছে সিনেমা ‘স্পর্শ’। এটি পরিচালনা করছেন বাংলাদেশের অনন্য মামুন ও কলকাতার অভিনন্দন দত্ত। এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা ও বাংলাদেশের নিরব হোসেন। শুটিংয়ের সূত্রেই অভিনেত্রী ঢাকায় আসেন। শুটিং শেষে গতকালের ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ছেড়েছেন। তবে যাওয়ার আগে শুটিং স্পটে সিমরানের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে, শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ঋতুপর্ণা।
এ দেশে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
গল্প, নির্মাণ, শিল্পীদের অভিনয়- সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হচ্ছে ‘স্পর্শ’ খুব ভালো একটি সিনেমা হয়েছে। এর আগে আমরা কলকাতায় শুটিং করেছি, এবার ঢাকায় করলাম। নিরবের সঙ্গে আমার কেমিস্ট্রিটা দর্শকের ভালো লাগবে আশা করছি। অনন্য মামুন ভীষণ মেধাবী। গুছিয়ে ভীষণ দ্রুত কাজ করে। আর আমার সবসময়ই যৌথ প্রযোজনার কাজ করতে ভীষণ ভালো লাগে। কারণ দুই
বাংলার দর্শকের এ সিনেমা দেখার সুযোগ থাকে। ‘স্পর্শ’র মতো আরো ভালো ভালো যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মিত হলে দুই বাংলার দর্শকের জন্যই তা কল্যাণকর হবে বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশে আবার আসতে চান কিনা?
অগণিতবার আসতে চাই। আমি আগেও অনেকবার এসেছি। এতবার এসেছি যে গুনেও রাখতে পারিনি। এ দেশে বারবার আসতে চাই।

পরবর্তীতে আরো বাংলা সিনেমা করতে চান কিনা?
আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন অব্দি আমি অনেক বাংলা সিনেমায় কাজ করেছি। বাংলাদেশ আমার পুরো ফিল্ম হিস্ট্রি বা ফিল্মোগ্রাফিতে ছড়িয়ে আছে। কিছুক্ষণ আগেই একজন হল মালিক এসেছিল। তিনি জানালেন স্বামী কেন আসামী সিনেমা দিয়ে তার দুটি হল ওপেন হয়েছিল। তখন আমি মনে করলাম নিশ্চয়ই আমি তাদের জন্য অনেক লাকি।

সারা পৃথিবীতে সিনেমার বাজার কেন খারাপ যাচ্ছে?
আমি অনেক পজেটিভ একজন মানুষ। আমি মনে করি ভালো কাজ করলে, অনেক বেশি পরিশ্রম করলে, কাজের প্রতি অনেক বেশি সময় দিলে সেটার আউটপুট ভালো হবে। আবার মানুষ হলমুখী হচ্ছে। আবার মানুষ সিনেমা দেখতে শুরু করেছে। অনেক ছবি সুপারহিট হচ্ছে। তবে এখন যেটা হয়েছে, অনেক অল্টারনেটিভ প্ল্যাটফর্ম এখন এসে গেছে, তাই মানুষ একটু শর্টকার্ট নিতে চায়। তারা ভাবে, আচ্ছা দুদিন পরে ওখানে দেখে নেব। কিন্তু আমি মনে করি সিনেমাগুলো এখন সার্ভাইব করবে এবং বড় পর্দায় মানুষ সিনেমা দেখার আনন্দ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করবে না।

কলকাতায় সিনেমাগুলো কেমন চলছে?
আমাদের কলকাতাতেও বেশ কিছু সিনেমা কয়েকদিন আগে সুপারহিট গিয়েছে। কিন্তু প্রতিটা ইন্ডাস্ট্রিরই একটা ফেজ যায়। একটা ধকল যায়। আর মানুষের মুডেরও পরিবর্তন ঘটে। এক ধরনের সিনেমা এখন মানুষ বেশি দেখছে, কিন্তু আবার দেখবেন একটা বিরাট কমার্শিয়াল হিট হয়ে যাবে। আর বাংলাদেশে বর্তমানে কনটেন্ট এত ম্যাচিউর হচ্ছে, এত সুন্দর সুন্দর সিনেমা বানানো হচ্ছে, যেটা আমি যখন ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম তখন এত বেশি ম্যাচিউর ছিল না। তখন বেশি কমার্শিয়াল কনটেন্টই হতো। কিন্তু এখন অল্টারনেটিভ কন্টেন্ট বা প্যারালাল রুটস সিনেমা বা মিডেল রুটস সিনেমা হচ্ছে। আর সে ধরনের কাজ কিন্তু খুব পপুলার হচ্ছে। এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুব পজিটিভ একটা সাইন।

নিরবের সঙ্গে কাজ করেছেন, আবার শুভর সঙ্গেও কাজ করেছেন, দুজনের মধ্যে পার্থক্য কী?
দুজন দুরকমের পার্সোনালিটির। প্রত্যেকেরই নিজস্ব একটা পার্সোনালিটি থাকে। শুভর এক রকম পার্সোনালিটি, নিরবের এক রকম পার্সোনালিটি। শুভ আমার মনে হয়, ওর কাজটা নিয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস হয়ে যায়। অবশ্যই সেটা ভালো কারণেই হয়। নিজের কাজের প্রতি খুব মনোযোগী থাকে। আর নিরবের ব্যাপারটা যেটা দেখেছি, নিরব খুব এফোটলেসলি কাজ করার চেষ্টা করে। দুজনের মধ্যে আমি এই পার্থক্যটা পেয়েছি। দুজনেরই কাজের এথিকসটা দুরকম। আমার মনে হয় নিরব বেশি রোমান্টিক। ওর মধ্যে রোমান্টিক ব্যাপারটা আছে। যাকে আমরা বলি রোমান্টিক হিরো বা লাভবয় হিরো। অন্যদিকে শুভ একটু অ্যাংরি ইয়াং ম্যানের মতো। ওর মধ্যে একটু রাগী ইমেজটা বেশি আছে।

শাকিব খানের সঙ্গে আবার আপনাকে দেখা যাবে কিনা?
একটা সিনেমা করার কথা ছিল। একবার সেই সিনেমাটি নিয়ে কথা এগিয়েছিল। আমার মনে হয় কোভিডের আগে কথাটা হয়েছিল। এরপর আর এ বিষয়ে কথা হয়নি। এর মাঝখানে শাকিবের সঙ্গে একবার কথা হয়েছিল। হয়তো সামনে কখনো হবে কাজ।

হিন্দি সিনেমায় আপনাকে কবে দেখা যাবে?
শিগগিরই যাব মুম্বাইয়ে। আমার ৩-৪টি ছবি রেডি হয়ে গেছে। রিলিজ হবে। হিন্দিতে নির্মিত হয়েছে সিনেমাগুলো।

বাংলাদেশে কার কার সঙ্গে দেখা করা হয়?
বাংলাদেশে আমার অনেকের সঙ্গেই খুব ভালো সম্পর্ক এবং বাংলাদেশে এলেই সবার সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছা করে। সবার সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছা করে। অনেকেই আমাকে দাওয়াত করে, তাদের দাওয়াত নিতে ইচ্ছা করে। কিন্তু অনেক সময় খুব ব্যস্ততার মধ্যে থাকি বলে এগুলো সম্ভব হয় না। যে রকম আলমগীর ভাইয়ের রুনা আপার বাসায় একদিন যাওয়ারই থাকে।

চিত্রনায়ক ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ আছে?
ফেরদৌস আমার খুবই কাছের বন্ধু এবং তার পরিবারের সঙ্গে আমার খুব ভালো কানেকশন। ফেরদৌসের ওয়াইফ সব সময় বলে দেয়, একটি বা দুটি ইভিনিং আমাদের সঙ্গে রাখতে হবে।

কেমন ছিল বাংলাদেশে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা?
খুবই ভালো ছিল। অনেক স্মৃতি সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছি। আর খুবই ভালো একটি ভিন্ন ধাঁচের ফিল্ম হচ্ছে ‘স্পর্শ’। আশা করি দর্শকদের স্পর্শ করে যাবে এই সিনেমা। কারণ এর মধ্যে গভীর দর্শন আছে। সম্পর্কের বেড়াজাল আছে, কৌতূহল আছে, একটা ম্যাসেজ আছে। এটি রোমান্টিক, কমার্শিয়াল ডিপ ইনসাইড একটি ছবি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়