রোড সেফটি ফাউন্ডেশন : জুলাই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৩

আগের সংবাদ

শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত : ২০ বছর ধরে বিদ্যালয় ভবনে নৌপুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম!

পরের সংবাদ

ইতিবাচক ধারায় ফিরল সূচক : পুঁজিবাজার চিত্র

প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের পুঁজিবাজারে টানা ৩ কার্যদিবস পতন শেষে গতকাল মঙ্গলবার কিছুটা ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকয়টি মূল্যসূচক বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিললেও লেনদেন খরা থেকে বের হতে পারেনি পুঁজিবাজারে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন কমে ৪০০ কোটি টাকার নিচে চলে এসেছে। চলতি বছরের ২৯ মার্চের পর এত কম লেনদেন আর হয়নি।
এর আগে গত সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবস এবং শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে দরপতন হয়। একই সঙ্গে এক মাসের বেশি সময় পর ডিএসইতে ৫০০ কোটি টাকার কম লেনদেন হয়। গত সপ্তাহে শুরু হওয়া লেনদেন খরা চলতি সপ্তাহেও অব্যাহত রয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে লেনদেন খরা আরো প্রকট হয়েছে।
গতকালের বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেয়া এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলিয়ে ১১০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫২টির। আর ১৭৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকয়টি মূল্যসূচক বাড়লেও শুরু থেকেই ডিএসইতে লেনদেনে বেশ ধীরগতি দেখা যায়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এই ধীরগতি অব্যাহত থাকে। ফলে চার মাসের মধ্যে সব থেকে কম লেনদেন দেখতে হয়েছে বিনিয়োগকারীদের।
দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৮৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৮২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে চলতি বছরের ২৯ মার্চের পর ডিএসইতে আবারো ৪০০ কোটি টাকার কম লেনদেন হলো।
এ লেনদেন খরার বাজারে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্টের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৪ কোটি ৮৪ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের ২৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনালী পেপার। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ফু-ওয়াং ফুড, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আরডি ফুড, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, দেশবন্ধু পলিমার, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ এবং রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়