পুলিশের কাজে বাধা : নুরের বিরুদ্ধে ডিবির মামলা

আগের সংবাদ

মই সরিয়ে নিচ্ছে বিদেশিরা! বিএনপির মূল দাবি ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ইস্যুতে নীরব বিদেশি কূটনীতিকরা

পরের সংবাদ

মীনা কুমারী : জীবন যার ট্র্যাজেডিতে পরিপূর্ণ

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গত ১ আগস্ট ছিল ‘ট্র্যাজেডি কুইন’ মীনা কুমারীর ৯০তম জন্মবার্ষিকী। সুন্দরী এই অভিনেত্রী তার ছবি এবং গানের জন্য স্মরণীয়। মীনা কুমারী চার বছর বয়সে পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং তিনি তার সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হওয়ার জন্য সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। খবর অনুযায়ী, মীনা কুমারী তার সময়ের সবচেয়ে ধনী অভিনেত্রী ছিলেন। যদিও মীনা কুমারী অনেক সাফল্য অর্জনে সফল হন, তার জীবন ছিল ট্র্যাজেডিতে পরিপূর্ণ। তবে তার মৃত্যু ভীষণই বেদনাদায়ক ছিল। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মীনা কুমারী মারা যান।
১ আগস্ট, ১৯৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি তার পরিবারের দ্বিতীয় কন্যা সন্তান ছিলেন। তার বাবা আলী বক্স একটি পুত্রসন্তান চেয়েছিলেন। তাই তিনি মীনা কুমারীকে অনাথ আশ্রমে রেখে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কয়েক মাস পর মীনার মা ইকবাল বেগম তাকে নিখোঁজ দেখেন এবং তারপর তার স্বামীকে মীনাকে এতিমখানা থেকে ফিরিয়ে আনতে অনুরোধ করেন। আলী মীনাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন, কিন্তু তিনি বেশি উপার্জন করতে না পারায় পরিবারকে অনেক কষ্ট করতে হয়। যার ফলে মীনা কুমারীকে মাত্র চার বছর বয়সে কাজ করতে বাধ্য করেছিল।
মীনা কুমারী পাঁচের দশকে একটি বিশাল জনপ্রিয় নাম। এবং তার সময়ের সব বড় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করছিলেন। একজন বিখ্যাত পরিচালক যিনি একবার মীনা কুমারীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন এবং তিনি তার দুর্ব্যবহারের একটি দৃশ্য তুলেও রেখেছিলেন। পরিচালক মীনার প্রতিক্রিয়ায় রেগে যান এবং তিনি চলচ্চিত্রে একটি এমন দৃশ্য যুক্ত করেন, যেখানে অভিনেতা মীনাকে খুব কঠিনভাবে চড় মারার কথা ছিল। পরিচালক তার প্রতিশোধ নিতে মীনা কুমারীকে ৩১ বার চড় মারেন। মীনা কুমারী ছিলেন তার সময়ের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের একজন। ইন্ডাস্ট্রিতে তিনিই একমাত্র অভিনেত্রী, যিনি ইম্পালায় ভ্রমণ করতেন। কথিত আছে যে মীনা কুমারী তার ভালো সময়ে বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়ি এবং সম্পত্তির অধিকারী ছিলেন।
মীনা কুমারী তার পরিবারের সদস্যদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও পরিচালক কমল আমরোহিকে বিয়ে করেছিলেন। কমল আমরোহি নিজেকে একজন ভালো স্বামী প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন এবং তিনি মীনা কুমারীর ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধও আরোপ করেছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, কমল আমরোহি মীনাকে নির্যাতন করতেন এবং তাকে ন্যূনতম সম্মান করতেন না। মীনা কুমারী কয়েক বছর পর কমল আমরোহির বাড়ি ছেড়ে তার বোনের বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কমলের সঙ্গে তার ব্যর্থ বিবাহের পর মীনা কুমারী মদ্যপ হয়ে পড়েন এবং বিভিন্ন রোগের কারণে অল্প বয়সে তিনি মারা যান। মীনা কুমারী তার শেষ দিনগুলোতে আর্থিকভাবে লড়াই করছিলেন এবং আপনি জেনে অবাক হবেন যে তার মৃত্যুর পরে পরিবার হাসপাতালে ৩ হাজার ৫০০ টাকাও দিতে পারেনি। পরিচালক বিমল রায়ের মেয়ে রিঙ্কি রায় ভট্টাচার্য একবার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘অভিনেত্রীর মৃত্যুর দিন লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ৩ হাজার ৫০০ টাকা ছিল না।’

:: মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়