উইম্বলডনের নতুন রাজা কার্লোস আলকারাজ

আগের সংবাদ

পদযাত্রা-শোভাযাত্রায় স্থবির জীবনযাত্রা : যানবাহন সংকট ও তীব্র যানজটে দুর্ভোগ

পরের সংবাদ

যেখানে অনন্য মুশফিক

প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুলাই ১৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

প্রতি ক্রিকেট দলেই এমন কিছু ব্যাটার থাকে যাদের ওপর ভরসা করা যায়। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য ব্যাট হাতে তার একটি কার্যকরী ইনিংসই যথেষ্ট। এই যেমন ভারতে বিরাট কোহলি, অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন, ইংল্যান্ডের জো রুট কিংবা পাকিস্তানের বাবর। তেমনি বাংলাদেশের ক্রিকেটেও আছেন একজন। তিনি আর কেউ নন মিস্টার ডিপেন্ডেবলখ্যাত মুশফিকুর রহিম।
ক্যারিয়ারে অসংখ্য মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুশফিক। এর মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমে এই ফরম্যাটে নতুন আরেক মাইলফলক স্পর্শ করেন এই অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার কীর্তি তার দখলে ছিল আগে থেকেই। আফগানদের বিপক্ষে সেই সংখ্যাটা বাড়িয়ে নেন তিনি। টাইগারদের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ২৫০তম ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশফিক। বাংলাদেশ দলের হয়ে মুশফিকের প্রায় ১৭ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ার। এছাড়া টাইগার পঞ্চপাণ্ডবেরও অন্যতম একজন খেলোয়াড় মুশফিক। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ২৫০ ম্যাচে ৯ সেঞ্চুরি ও ৪৫ ফিফটিসহ ৭ হাজার ১৮৮ রান করেন মুশফিক। ৭৯.৬৯ স্ট্রাইক রেটে তার ব্যাটিং গড় ৩৭.০৫। তামিম ও সাকিবের পর ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান করা তৃতীয় বাংলাদেশি তিনি। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিকও মুশফিক। এছাড়া বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। শুধু তাই নয়, উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ২৪৯ ম্যাচে ২১২টি ক্যাচ ও ৫৩টি স্ট্যাম্পিং করেছেন ৩৬ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। মোট ২৬৫টি ডিসমিসাল নিয়ে আছেন উইকেটরক্ষকদের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ব্যাট হাতে ফিফটির দেখা পান মুশফিক। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭২ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে এক প্রকার খাদের কিনারায় বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিক। লড়াই করে অবশেষে থেমে যান ৬৯ রানে। যদিও জিততে পারেনি দল। মুশফিকের পরে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪১ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন তামিম ইকবাল। এরপর সাকিব খেলেছেন ২৩৩ ম্যাচ।
মুশফিকের কল্যাণে বহু ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা। যে কারণে তাকে ডাকা হয় মিস্টার ডিপেন্ডেবল নামে। তবে আফগান ও আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে ব্যাট হাতে ছন্দে ছিলেন না মুশফিক। গত বছর এশিয়া কাপে রান না পাওয়ায় নানা কথা শুনতে হয়েছে তাকে। দুই ম্যাচে করেন মাত্র পাঁচ রান। পরে দেশে ফিরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। এরপর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজেও রান পাননি মুশফিক। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে করেন মাত্র ৩৭ রান। আর দুই টেস্টের চার ইনিংস মিলিয়ে করেন মাত্র ৮৬ রান। এ বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচে করেন ৯০ রান। আবারো সমালোচনা শুরু হয় তাকে নিয়ে। আইরিশদের বিপক্ষে স্কোয়াডে তার সুযোগ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এত কিছুর পরও ধৈর্য হারাননি মুশফিক। সমালোচনা পাশ কাটিয়ে অপেক্ষা করেছেন সুসময়ের।
২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ফিফটির পাশাপাশি জয়সূচক রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকেই। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। ২০১৭ সালে সাকিবের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির পথে নিউইল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে ৩৫৯ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। সাকিবের ২১৭-এর বিপরীতে মুশফিক করেন ১৫৯ রান।
: আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়