জামায়াতে ইসলামী : রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন শুনানি ৩১ জুলাই

আগের সংবাদ

ভোটের আমেজে তৃণমূলে ঈদ : শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে এলাকায় আ.লীগ নেতারা

পরের সংবাদ

সুনামগঞ্জ : বিক্রেতারা বলছেন দাম কম, ক্রেতারা বলছেন বেশি

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ থেকে : আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জ জেলায় ৪০০ কোটি টাকার পশু বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর সুনামগঞ্জে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৫০টিরও বেশি গরু-ছাগলের হাট বসছে। জেলার বিভিন্ন হাটে মোট ৪০ হাজার গবাদিপশু উঠবে। যার বাজার মূল্য ৪০০ কোটি টাকা।
ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার পশুরহাটে কুরবানির পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। গত বৃহ¯পতিবার থেকে সুনামগঞ্জ সদও, পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার একাধিক হাট-বাজারে কুরবানির পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। চলবে ঈদের আগের দিন রাত অর্থাৎ বুধবার রাত পর্যন্ত। ংএবারের ঈদুল আজহা বর্ষার শুরুতে হওয়ায় এবং পানি কম থাকায় বিভিন্ন হাট-বাজারে স্থানীয় গরু ও জেলার বাইরের জেলা থেকে গরু আসা শুরু হয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো এবার কুরবানিতে তেমন মূল্য পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন পশু বিক্রেতারা। তবে ক্রেতারা বলছেন অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কুরবানির পশুর দাম অনেক বেশি। সুনামগঞ্জ শহরের সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গতকাল সোমবার থেকে মঙ্গলবার ও ঈদের আগের দিন বুধবারও বসবে পশুরহাট। সুনামগঞ্জ সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঈদের আগের দিন বুধবারও বসবে পশুর হাট।
মঙ্গলকাটা বাজারে কুরবানির পশু বিক্রেতা বুরহান আহমেদ বলেন, যে গরু ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি সে গরু আরো ৪০ হাজার টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি করা যেত। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় কম দামেই গরু বিক্রি করতে হয়েছে। এ বছর পশুর হাটে বাইরের জেলা ও উপজেলা থেকে পশু আসায় বাজারে স্থানীয় গরুর দাম কমে গেছে।
তাহিরপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় গরুরহাট বাদাঘাট বাজারের ক্রেতা আব্দুল জলিল বলেন, গেল বছর যে গরু ৯০ হাজারে কিনেছি এবার সে গরু কিনলাম ১ লাখ ১০ হাজার টাকায়। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক স¤পাদক এডভোকেট বুরহান উদ্দিন বলেন, বর্ষার শুরুতেই ঈদুল আজহা হওয়ায় সব স্থান থেকেই হাট-বাজারে পশু আসতে পারবে। আশা করি গতবারের মতো পশুরহাটে জমজমাট বেচাকেনা হবে। সলুকাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকী তপন বলেন, এবার বর্ষার শুরুতে ঈদুল আজহা হওয়ায় বাইরের জেলা উপজেলা থেকেও নৌ এবং সড়ক পথে কুরবানির পশু আসতে শুরু করেছে। আশা করি গরুর দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। জেলা প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জানান, এ বছর সুনামগঞ্জে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ৫০টিরও বেশি গরু-ছাগলের হাট বসার কথা রয়েছে। জেলার বিভিন্ন হাটে মোট ৪০ হাজার গবাদিপশু উঠবে। যার বাজার মূল্য ৪০০ কোটি টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়