জামায়াতে ইসলামী : রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন শুনানি ৩১ জুলাই

আগের সংবাদ

ভোটের আমেজে তৃণমূলে ঈদ : শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে এলাকায় আ.লীগ নেতারা

পরের সংবাদ

শাল্লায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ১৫

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শাল্লা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের শাল্লায় ঘর বাঁধাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের ভয়াবহ সংঘর্ষে ২জন নিহত ও পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের সাতপাড়া বাজারে পুলিশের উপস্থিতিতেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কার্তিকপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান ও ইউসুফ মিয়ার গ্রুপের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় থানা পুলিশের একটি টিম সাতপাড়া বাজারে গিয়ে ৯রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে মুজিবুর রহমান গ্রুপের টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমান চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে মারা যান। অন্যদিকে ইউসুফ মিয়া গ্রুপের হেলাল মিয়া নামে আরেকজন মময়মনসিংহে চিকিৎসার জন্যে যাওয়ার পথে তারও মৃত্যুর হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন শাল্লা থানার এসআই আলীম উদ্দিন আহত হয়ে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এসআই আলীম উদ্দিনের নাক ফেটে গেছে। তার মুখেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে শাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার মিয়া বলেন, সংঘর্ষে কার্তিকপুর গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমান নিহত হয়েছেন। তবে কতজন আহত হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। ওই ওয়ার্ডের বর্তামান মেম্বার আমির হামজা বলেন, সাতপাড়া বাজারের পাশে একটি জায়গায় ঘর বাঁধেন কার্তিকপুর গ্রামের নিক্সন মিয়া। তার দাবি জায়গাটি খাস জায়গা। অন্যদিকে একই গ্রামের মুজিবুর রহমান তার রেকর্ডের জায়গা বলে বাধা দেন নিক্সন মিয়াকে। এতেই উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমান মারা যান। পুলিশের একজন এসআইও আহত হন। তিনি আরো বলেন, শুনেছি হেলাল মিয়া নামে আরেকজন মারা গেছে। দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে শাল্লা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষে হাবিবুর রহমান নামে একজন মারা গেছেন। আামাদের একজন এসআই আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৯রাউন্ড ফাঁকা গুলি করতে হয়েছে। অন্যথায় আরো কয়েকটি মার্ডার হয়ে যেতো। আমি এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছি। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়